দেশের জন্য টাকা ছাড়াই খেলতে রাজি জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটাররা
বেতন ভাতা নিয়ে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটারদের অভিযোগটা অনেক পুরনো। গত দুইমাস ধরে কোনো বেতনও পাচ্ছেন না তাঁরা। মরার উপর খাড়ার ঘা হিসেবে যোগ হয়েছে আইসিসির সদস্যপদের স্থগিতাদেশ। জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ যখন অন্ধকার, এমন অবস্থায় দলের দুই সিনিয়র ক্রিকেটার ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে জানিয়েছেন, তাঁরা জাতীয় দলের স্বার্থে কোনো টাকা ছাড়াই খেলতে রাজি আছেন।
ক্রিকেট বোর্ডের ওপর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগে জিম্বাবুয়ের সদস্যপদ স্থগিত করেছে আইসিসি। ফলে আইসিসির টুর্নামেন্টে খেলতে পারবেন না জিম্বাবুয়ের পুরুষ ও নারী দল। এতে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে খেলাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে জিম্বাবুয়ের। এরই মাঝে বাংলাদেশের মাটিতে হতে যাওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে সরে দাঁড়িয়েছে জিম্বাবুয়ে। নারী দলের ক্রিকেটারদেরও শেষ মুহূর্তে বাদ দেওয়া হয়েছে গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগ থেকে।
গত দুইমাস ধরে বেতন পাননি জিম্বাবুয়ের নারী ও পুরুষ দলের ক্রিকেটাররা। আয়ারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজে ম্যাচ ফিও দেওয়া হয়নি হ্যামিল্টন মাসাকাদজাদের। নাম প্রকাশ না করা দলের এক সিনিয়র ক্রিকেটার জানিয়েছেন, তাঁরা জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ খেলতে টাকাও চান না, ‘যতদিন কোনো আশার আল দেখা যায় ততদিন আমরা টাকা ছাড়াই খেলবো। আমাদের পরের লক্ষ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব। যদি পরবর্তীতে আমাদের পাওনা শোধ করার নিশ্চয়তা দেওয়া হয় তাহলে আমি এই মুহূর্তে টাকা ছাড়া খেলতে রাজি আছি। জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের স্বার্থে আমরা বেতন, ম্যাচ ফি ছাড়াই বাছাইপর্ব খেলবো। তবে কখনোই আমাদের টাকা দেওয়া হবে না, এটা মানা যায় না।’
আরেকজন ক্রিকেটার জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে দলের অনেকেই ভবিষ্যতের কথা ভেবে বেতন ছাড়াই খেলা চালিয়ে যেতে চান, ‘যতক্ষণ এই দেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ আছে এবং সবাই দেখছে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে, তখন অনেকেই টাকা ছাড়া খেলতে রাজি হবে।’
সদস্যপদ স্থগিত হওয়ায় আইসিসি টুর্নামেন্টে খেলতে না পারলেও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে বাঁধা নেই জিম্বাবুয়ের। তবে সেক্ষেত্রে আইসিসির ফান্ডিংয়ের দিকে চেয়ে থাকতে হবে জিম্বাবুয়েকে। ক্রিকেটারদেরও খেলতে হবে টাকা ছাড়াই। এসব কারণেই জিম্বাবুয়ের আসন্ন সব দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নিয়েই সংশয় জেগেছে।