• অ্যাশেজ ২০১৯
  • " />

     

    এজবাস্টনের প্রথম দিনে আম্পায়ারদের ভুল এবং পন্টিংয়ের দাবি

    এজবাস্টনের প্রথম দিনে আম্পায়ারদের ভুল এবং পন্টিংয়ের দাবি    

    এজবাস্টন টেস্টের প্রথম দিনেই প্রশ্নবিদ্ধ আম্পায়ারিং। দুই আম্পায়ার আলিম দার ও জোয়েল উইলসনের দিনটা ভালো যায়নি একদমই। অন্তত ছয়বারের বেশি প্রশ্নবিদ্ধ ছিল তাদের সিদ্ধান্ত।

    ওভার ১.১

    দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বল। ব্রডের বলটা লেগ সাইডে খেললেন ওয়ার্নার, শুধু ব্রডই আবেদন করলেন। কিন্তু আলিম দার  আউট দিলেন না, ইংল্যান্ডও নিল না রিভিউ। রিপ্লেতে দেখা গেল ওয়ার্নার ফ্লিক করার সময় ব্যাট মাটিতে লেগেছিল ঠিকই, কিন্তু আল্ট্রা এজ বলছে সামান্য পরিমাণ ছুঁয়ে গেছে বলও। কিন্তু কেউই বোঝেননি, বেঁচে গেছেন ওয়ার্নার।  

    ওভার ৩.৫

    এবার বলতা ছিল ফুল লেংথের, মিডল এবং লেগের মাঝামাঝি পড়েছে বলেই মনে হচ্ছিল। রিভিউ নেওয়ার কথা চিন্তাও করলেন না ওয়ার্নার। হাঁটা দিলেন প্যাভিলিয়নের দিকে। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা গেল বল ইঞ্চিরও কম ব্যবধানে লেগ স্টাম্প মিস করছে। রিভিউ নিলে বেঁচে যেতেন ওয়ার্নার।

    ওভার ১৪.২

    ওকসের বলে আবেদন হলো ক্যাচের, কিন্তু আম্পায়ার সাড়া দিলেন না তাতে। কিছুক্ষণ আলোচনা করে রিভিউ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন রুট। এবং সুক্ষ্ম একটা এজ ধরা পড়ল। ফিরে যেতে হলো খাওয়াজাকে, কাজে এলো ইংল্যান্ডের রিভিউ

    ওভার ৩৩.৫

    ব্রডের বল লাগল স্মিথের প্যাডে, আবেদনে আঙুল তুলে দিলেন আলিম দার।  স্মিথ রিভিউ নিলেন, এবং রিপ্লেতে দেখা গেল বল ইঞ্চির ব্যবধানেই স্টাম্প মিস করছে। আউট হলেন না স্মিথ, অস্ট্রেলিয়া কাজে লাগাল রিভিউ

    ওভার ৩৪.৬

    ওকসের বলটা ম্যাথু ওয়েডের প্যাডে লাগল। কিন্তু জোয়েল উইলসন আঙুল তুললেন না। শুরুতেই মনে হচ্ছিল উচ্চতা ছাড়া আর কোনো সংশয় ছিল না আম্পায়ারের। রিপ্লে বলল, সেটাটেও সমস্যা নেই। মিডল ও অফের ওপরের দিকেই লাগছিল বল, তিনটি লাল সংকেত দেখা গেল। কাজে এলো ইংল্যান্ডের রিভিউ, আউট ওয়েড।

    ওভার ৩৯.৬

    প্যাটিনসন ব্রডের ইনসুইঙ্গার খেলতে পারলেন না ঠিকমতো। প্যাডে লাগল, আলিম দারও আঙুল নিতে খুব একটা ভাবলেন না। প্যাটিনসন রিভিউ নিলেন না, স্মিথ থাকায় সম্ভবত নষ্টও করতে চান না। কিন্তু নিলেই ভালো করতেন, কারণ রিপ্লেতে দেখা গেল বল লেফ স্টাম্প মিস করছে

    ওভার ৪৬.১

    ওকসের বল সিডলের প্যাডে লাগল, আবারও আবেদনে উঠল আম্পায়ারের আঙুল। তবে এবার ইনসাইড এজ পরিষ্কার দেখা গেল, সিডল সেটা জানতেন বলেই রিভিউ নিয়েছিলেন সঙ্গে সঙ্গে। আম্পায়ারদের দুঃস্বপ্নের দিনের শেষটা এর চেয়ে বাজে হতে পারত না।

    আম্পায়ারিং নিয়ে এত সমালোচনার পর বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অসি অধিনায়ক রিকি পন্টিং দাবি তুলেছেন, দুই পাশে নিরপেক্ষ আম্পায়ারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আইসিসির ভেবে দেখা উচিত। ২০০২ সাল থেকে আইসিসি টেস্টে নিরপেক্ষ আম্পায়ার বাধ্যতামূলক করে। অ্যাশেজে তাই অনেক দিন থেকেই ইংলিশ আর অস্ট্রেলিয়ান আম্পায়াররা নেই। কিন্তু আম্পায়ারিংয়ের এই অধোগতির সময় পন্টিং বলেছেন আগের নীতিটা ফেরানোর ব্যাপারে ভাবা উচিত আইসিসির। তিনি নিজেই এটা এমসিসির সভায় উত্থাপন করবেন।