• অ্যাশেজ ২০১৯
  • " />

     

    'অ্যাশেজে নতুন মাত্রা যোগ করেছে আর্চারের বোলিং'

    'অ্যাশেজে নতুন মাত্রা যোগ করেছে আর্চারের বোলিং'    

    ইনজুরির কারণে প্রথম টেস্টে ছিলেন না জফরা আর্চার। লর্ডসের অভিষেক টেস্টেই বল হাতে আগুন ঝরিয়েছেন এই ইংলিশ পেসার। তাঁর বাউন্সারেই ঘাড়ে আঘাত পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন এই সিরিজে ইংল্যান্ডের মাথাব্যাথার প্রধান কারণ স্টিভ স্মিথ। শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া লর্ডস টেস্ট বাঁচালেও ইংলিশ অধিনায়ক জো রুট বলছেন, আর্চারের বোলিং এই অ্যাশেজ সিরিজে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। 

    দুই ইনিংস মিলিয়ে লর্ডসে আর্চার নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। তবে আর্চারের ৯০ মাইলের বেশি গতির বল ম্যাচজুড়েই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের হ্যাপা দিয়েছে। একের পর এক বাউন্সারে নাকাল অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা খুব কষ্টেই সামলেছেন আর্চারের বল। স্মিথ তো একটি বাউন্সার বল ছেড়ে দিতে গিয়েও ছাড়তে পারেননি। সেই বল তাঁর ঘাড়ে লাগায় বেশ কিছুক্ষণের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে তাঁকে। পরবর্তীতে স্মিথের বদলি হিসেবে নেমেছেন মার্নাস ল্যাবুশেন। 

    রুট জানালেন, আর্চারের এমন বোলিং সিরিজের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে, ‘সে দলে এসেই বড় একটা প্রভাব ফেলেছে। আমাদের বোলিংয়ে নতুন মাত্রা যোগ করেছে সে। অস্ট্রেলিয়া এটা নিয়ে অবশ্যই এখন থেকে বেশি ভাববে।’ 

    লর্ডসে ঘণ্টায় ৯৬.১ মাইল গতিতেও বল করেছেন আর্চার। বেশিরভাগ বলই ছিল ঘণ্টায় ৯০ মাইলের কাছাকাছি। আর্চারের গতিতে মুগ্ধ রুট, ‘ক্রিকেট বিশ্বে অনেকেই যা পারে না, আর্চার সেটাই করে দেখায়। তাঁর বোলিংয়ের গতিটা স্বভাবজাত। যে পিচেই খেলুক না কেনো, তাঁর বলে গতি থাকবেই। অভিষেকেই এমন বোলিং দেখে সবাই মুগ্ধ। তাঁকে নিয়ে যে প্রত্যাশা ছিল সেটা সে পূরণ করেছে।’ 

    ২০১৩-১৪ অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার মিচেল জনসনের গতিতে নাকানিচুবানি খেয়েছিল ইংল্যান্ড ব্যাটিং লাইনআপ। ৫-০ ব্যবধানের সিরিজে হারে বড় প্রভাব রেখেছিল জনসনের বোলিংই। রুটের ধারণা, এবার আর্চারের বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার ক্ষেত্রে তেমনটা হতে পারে, ‘আর্চারের বোলিং প্রতিপক্ষকে ভাবনায় ফেলে দিয়েছে। এটা আমাদের জন্য বাড়তি পাওনা।’