• অ্যাশেজ ২০১৯
  • " />

     

    পেইনদের রিভিউয়ের ব্যবহার হতাশ করেছে ল্যাঙ্গারকে

    পেইনদের রিভিউয়ের ব্যবহার হতাশ করেছে ল্যাঙ্গারকে    

    টিম পেইন হয়তো এখনো মাথা কুটে মরছেন, কেনো শেষ রিভিউটা প্যাট কামিন্সের বলে ব্যবহার করেছিলেন! ওই রিভিউটা থাকলেই যে হেডিংলি টেস্টের ফলাফল অন্যরকম হয়ে যেতো। ইংল্যান্ডের যখন দুই রান দরকার, লাথান লায়নের বল বেন স্টোকসের পায়ে লাগলে এলবিডব্লিউ দেননি আম্পায়ার। তবে রিপ্লেতে দেখা যায় বল স্টাম্পেই লাগতো। রিভিউ থাকলেই ম্যাচ জিতে যেত অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের অবিশ্বাস্য এক জয়ের পর অস্ট্রেলিয়া কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার বলছেন, পুরো সিরিজজুড়েই অস্ট্রেলিয়ানদের রিভিউয়ের ব্যবহার হতাশ করেছে তাকে। 

    লেগ স্টাম্পের অনেক বাইরে পড়া বল লেগেছিল জ্যাক লিচের পায়ে। তখন ইংল্যান্ডের দরকার ছিল পাঁচ রান। কামিন্সের সেই বলে রিভিউ নেন পেইন, নষ্ট হয় অস্ট্রেলিয়ার শেষ রিভিউ। কিছুক্ষণ পরেই লায়নের বলে সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হতে পারতেন স্টোকস। রিভিউটা থাকলে আউটই হতেন স্টোকস, এক রানে ম্যাচ জিতে অ্যাশেজ নিয়ে বাড়ি ফেরা নিশ্চিত হতো অস্ট্রেলিয়ার। 

    শুধু এই ম্যাচে নয়, প্রথম তিন টেস্টে রিভিউ নেওয়াতে খুব বেশি সাফল্য পায়নি অস্ট্রেলিয়া। মোট ২৩ বার রিভিউ নিয়েছেন তারা, এর মাঝে নষ্ট হয়েছে ১৪টি, আম্পায়ার্স কল হয়েছে তিনটি। মাত্র ছয়বার নিজের সিদ্ধান্ত বদলাতে হয়েছে আম্পায়ারদের। অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা নিয়েছেন ১৪টি রিভিউ, এর মাঝে ছয়টি নষ্ট হয়েছে, আম্পায়ার্স কল হয়েছে দুইটি, আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদলাতে হয়েছে ছয়বার। বোলিংয়ের সময় অজিদের রিভিউ ভাগ্য সবচেয়ে বেশি খারাপ। ৯ বারের মাঝে আটবারই রিভিউ নষ্ট করেছেন পেইন, একটি হয়েছে আম্পায়ার্স কল। অন্যদিকে ইংল্যান্ড রিভিউ নিয়েছে ২৭বার, এর মাঝে নষ্ট হয়েছে ১৩টি, আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদলাতে হয়েছে ১৩ বার, আম্পায়ার্স কল হয়েছে একবার। 

    অস্ট্রেলিয়ার এমন রিভিউ নষ্ট করা নিয়ে মোটেও খুশি নন ল্যাঙ্গার, ‘পুরো সিরিজেই আমরা রিভিউ নেওয়ার ক্ষেত্রে ভালো করতে পারিনি। এটা নিয়ে দলের মাঝে আলোচনাও হয়েছে। লর্ডসে এটা বেশি হয়েছিল। কামিন্সের বলের সেই রিভিউটা নিয়ে বলতে পারি, আসলে ওই সময় সবাই খুব বেশি মরিয়া ছিল উইকেটের জন্য। এরকম অনেক সময়ই হয়।’ 

    রিপ্লেতে দেখা যায়, লায়নের বল স্টোকসের স্টাম্পে লাগতো। অনেকে আম্পায়ারের সমালোচনা করলেও ল্যাঙ্গার কিন্তু সেটা করতে নারাজ, ‘আম্পায়ারের যা সঠিক মনে হয় উনি সেটা করবে। তাঁর যদি মনে হয় এটা আউট তাহলে আউট দেবেন, আউট মনে না হলে আঙ্গুল তুলবেন না। রিভিউ পদ্ধতি কখনো আপনার পক্ষে যাবে, কখনো যাবে না। এটা মানতেই হবে।’ 

    এদিকে স্টোকস বলছেন, কীভাবে রিপ্লেতে বল স্টাম্পে লাগলো, সেটা তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না, ‘আমি ওই রিপ্লেটা দেখেছি। সেখানে দেখাচ্ছিল বল স্টাম্পে লাগবে, কিন্তু সেটা পুরোপুরি ভুল। বল আমার সামনের প্যাডে লেগেছে, স্পিনও করেনি। এটা কীভাবে স্টাম্পে লাগল বুঝতে পারছি না। আর রিভিউ সঠিক সময়ে ব্যবহার করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা আবার বুঝা গেলো। অস্ট্রেলিয়ার যদি ওই মুহূর্তে রিভিউ থাকতো, তারাই ম্যাচতা জিততো।’