'আর্চার তো আমাকে আউট করতে পারেনি'
জফরা আর্চারের সেই বাউন্সার স্টিভ স্মিথকে লর্ডস টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামতে দেয়নি। কনকাশন টেস্টে উতরাতে না পেরে স্মিথ খেলতে পারেননি হেডিংলিতেও। সুস্থ হয়ে আবারও মাঠে ফেরার অপেক্ষায় আছেন স্মিথ, ওল্ড ট্রাফোর্ডের চতুর্থ টেস্টেই অস্ট্রেলিয়া একাদশে দেখা যেতে পারে তাকে। সেই টেস্টে আবার আর্চারের মুখোমুখি হওয়ার অনুভূতিটা কেমন হবে? স্মিথ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আর্চার যেহেতু তাকে আউট করতে পারেননি তাই তাঁর বোলিং নিয়ে খুব বেশি ভাবছেন না তিনি।
ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে ট্যুর ম্যাচ খেলার জন্য গত কয়েকদিন ধরেই অনুশীলন করছেন স্মিথ। যে আর্চারের বাউন্সারে এতদিন মাঠের বাইরে থাকতে হলো, তাঁর বোলিং নিয়ে বেশি মাথা ঘামাতে চান না স্মিথ, ‘অনেকেই তাঁর সেই বাউন্সার নিয়ে অনেক কথা বলেছে। কিন্তু সে তো আমাকে আউট করতে পারেনি! তাঁর বল আমার মাথায় লেগেছিল। অন্য বোলাররা আমার বিপক্ষে বেশি সাফল্য পেয়েছে। হয়তো তাদের আমি একটু বেশি খেলেছি আর্চারের চেয়ে।’
বোলাররা বাউন্সার দিলে খুব বেশি ‘রাগ’ করার প্রশ্নই আসে না, জানালেন স্মিথ, ‘বোলার যদি বেশি বাউন্সার দেয়, তাহলে বুঝতে হবে সে আমাকে আউট করতে পারছে না! আমার স্টাম্প কিংবা প্যাডে লাগাতে পারছে না বলেই এমন বাউন্সার দিতে হচ্ছে।’
ঘাড়ের কাছে বিশেষ গার্ড কখনোই ব্যবহার করেন না স্মিথ। বাউন্সারে আঘাত পাওয়ার ওই ঘটনার পর পরের ম্যাচে কি এটা পরে নামবেন? স্মিথ অবশ্য বলছেন, হেলমেটের পেছনে থাকা ওই গার্ড পরে ব্যাটিং করতে একদমই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না তিনি, ‘আমি এটা পরে আগেও অনুশীলনে ব্যাটিংয়ের চেষ্টা করেছি। আমার হৃদকম্পন হুট করেই বেড়ে যায় কেনো যেন! মনে হয় এমআরআই স্ক্যানের মেশিনের মাঝে আটকে আছি! তবে খুব তাড়াতাড়ি এটা বাধ্যতামূলক করা হতে পারে। তাই এটার সাথে মানিয়ে নিতেই হবে। লর্ডসে এটা ব্যবহার করলেও খুব একটা লাভ হয়তো হতো না। তবে সর্বোচ সতর্কতা মেনেই ক্রিজে নামা উচিত।’