• অ্যাশেজ ২০১৯
  • " />

     

    অ্যাশেজে ব্যাট হাতেও কিছু করতে চান আর্চার

    অ্যাশেজে ব্যাট হাতেও কিছু করতে চান আর্চার    

    বল হাতে তো সিরিজজুড়েই অস্ট্রেলিয়াকে স্বস্তিতে রাখেননি জফরা আর্চার। আর্চার অবশ্য নিজের ব্যাটিং দিয়েও অস্ট্রেলিয়ানদের পরীক্ষা নিতে চান। ওল্ড ট্রাফোর্ডে চতুর্থ টেস্টের আগে এই ইংলিশ পেসার বলছেন, দলকে অ্যাশেজ জেতাতে ব্যাট হাতেও ভালো কিছু করতে চান তিনি। 

    প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আর্চারের ব্যাটিং রেকর্ডটা কিন্তু খুব একটা মন্দ নয়। ৩০ ম্যাচে রান ১০৩৭, গড় ২৯.৬২, হাফ সেঞ্চুরি আছে ছয়টি। ৮১ রানের সর্বোচ্চ স্কোরও আছে আর্চারের। অভিষেকের পর অ্যাশেজের ২ ম্যাচে করেছেন ৩৫ রান, সর্বোচ্চ রান ১৫। 

    বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে দলকে সহায়তা করতে চান আর্চার, ‘এই সিরিজের অনেকটা সময় বাকি, ব্যাট হাতে কিছু করতে চাই। সিরিজটা দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে, সামান্য কিছুই অনেক বড় প্রভাব ফেলতে পারে। শুধু আমি না, সবার ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য।’ 

    অস্ট্রেলিয়ান পেসাররা আর্চার ক্রিজে আসলেই দিয়েছেন একের পর এক বাউন্সার। সেটাকে অবশ্য ভালোভাবেই সামলেছেন আর্চার। তবে হেডিংলির দ্বিতীয় ইনিংসে নিজের আউট নিয়ে কিছুটা অসন্তুষ্ট তিনি, ‘আমি আগের ইনিংসগুলোতে বাউন্সার ভালোভাবেই সামলেছি। এজন্যই ওইভাবে আউট হওয়া নিয়ে কিছুটা হতাশ ছিলাম। বোলাররাও ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। আমরাই তাদের ওপর চড়াও হতে পারতাম। কিন্তু তেমনটা করতে পারিনি।’ 

     

     

    বেন স্টোকসের অবিশ্বাস্য সেই ইনিংসে অ্যাশেজ জয়ের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে ইংল্যান্ড। রোমাঞ্চকর বিশ্বকাপের ফাইনালের পর এমন অ্যাশেজ ক্রিকেটের দর্শকসংখ্যা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে বলেই বিশ্বাস আর্চারের, ‘শুধু শিশু নয়, বয়স্করাও ক্রিকেট খেলা শুরু করেছে। অ্যাশেজের দর্শকসংখ্যা আমাকে অভিভূত করেছে। সব সেশনের তারা মাঠ মাতিয়ে রেখেছিল। যখন ম্যাচে কিছুই হচ্ছিল না, তখন তারা গান গেয়েছে, স্লোগান দিয়েছে। শুধু ক্রিকেটার নয়, দর্শকও ম্যাচে প্রভাব ফেলে।’