বাতাসের সাথে এমন 'লড়াই' কখনোই করেননি ল্যাবুশেন
কনকনে শীত, সাথে দমকা হাওয়া। ওল্ড ট্রাফোর্ডে কাল অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের আবহাওয়ার সাথে এই ‘লড়াইয়ে’ বেশ বেগ পেতে হয়েছে । বাতাসের কারণে তো মাঝে কয়েকবার বেলই থাকছিল না উইকেটের ওপর। বেল ছাড়াই তাই কয়েক ওভার খেলা চালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন আম্পায়ার! ৬৭ রান করা ল্যাবুশেন দিনশেষে বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে তিনি আগে কখনোই ব্যাটিং করেননি।
শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে তৃতীয় উইকেটে দারুণ ব্যাটিং করেছেন ল্যাবুশেন-স্মিথ জুটি। ব্যাটিংয়ের সময় বারবার ল্যাবুশেনদের মনোযোগ নষ্ট করছিল বাতাস, সাথে ছিল গ্যালারি থেকে উড়ে আসা চিপসের প্যাকেট ও বিচ বল। তীব্র বাতাসের কারণে বোলার-ব্যাটসম্যান দুই পক্ষের বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। এসবের মাঝে বেশ কয়েকবার বেল পড়ে গেছে উইকেট থেকে। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়েই দুই প্রান্তের বেল তুলে নিয়ে খেলা চালিয়ে গেছেন দুই আম্পায়ার।
ল্যাবুশেন বলছেন, এরকম কন্ডিশনে আগে কখনোই ব্যাট করতে হয়নি তাকে, ‘সবাই আসলে একটু হতাশ ছিল কন্ডিশন নিয়ে। এক পর্যায়ে ভেবেছিলাম আমিই বেল ফেলে দিয়েছি! পরে দেখি বেল নিজের জায়গাতেই আছে। এরপর চিপসের প্যাকেট ও বিচ বলও সরাতে হয়েছে ব্যাট দিয়ে। সব মিলিয়ে খুবই হতাশাজনক পরিস্থিতি। ইংল্যান্ডও খুব বিরক্ত ছিল। আম্পায়াররা বেল সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। এরকম কন্ডিশনে আগে কখনোই খেলিনি আমি। বেল না থাকা অবস্থায় ব্যাটিং করাটা একটু অন্যরকম অভিজ্ঞতা ছিল।’
কঠিন কন্ডিশনেও দলের প্রয়োজনে রান করতে পেরে খুশি ল্যাবুশেন, ‘বাতাসের কারণে ক্রিজে থিতু হওয়া কঠিন ছিল। বাতাস ছাড়াও অনেক ব্যাপার মনোযোগ নষ্ট করেছে বারবার। তাও যেভাবেই হোক রান পেয়েছি, এটাই বড় ব্যাপার। প্রথম ইনিংসে আমাদের ভালো একটা স্কোর করা খুব দরকার। তাহলে ম্যাচের শেষভাগে আমাদের স্পিনাররা ভালো কিছু করার মতো সুযোগ পাবে, পিচে যথেষ্ট টার্ন দেখতে পাচ্ছি।’
দিনশেষে স্মিথ অপরাজিত থাকলেও ক্রেইগ ওভারটনের দারুণ এক ইনসুইঙ্গারে বোল্ড হয়েই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয়েছে ল্যাবুশেনকে। ওভারটনের বলের প্রশংসা করলেন তিনিও, ‘বলটা ভালো ছিল। বেশিরভাগ সময়ই তার বল আউটসুইং হচ্ছিল। হুট করেই ওই বলটা ভেতরের দিকে আসে। আমাকে এরকম বল সামলানোর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’