• অ্যাশেজ ২০১৯
  • " />

     

    ওভালে স্মিথের দিন হতে দিলেন না আর্চার-কারান

    ওভালে স্মিথের দিন হতে দিলেন না আর্চার-কারান    

    দ্বিতীয় দিন শেষে

    ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস ২৯২ এবং ৯/০

    অস্ট্রেলিয়া ২২৫ অলআউট


    অ্যাশেজে কিছু কিছু ব্যাপার হয়ে গিয়েছিল নিত্যবৃত্ত বর্তমানের মতো। তার কয়েকটি হলো আজ, আবার কয়েকটি হলো না। স্টিভ স্মিথ যেমন রান পাবেন, সেটা একরকম নিয়মই হয়ে গেছে। এবার অবশ্য সেঞ্চুরিটা পেলেন না, সেটাই যা একটু অবাক করার। আবার ডেভিড ওয়ার্নার দুই অঙ্কের আগেও আউট হবেন, সেটাও যেন নিয়ম হয়ে গেছে। অনিয়মের মধ্যে শুধু সেই উইকেটটা এবার স্টুয়ার্ট ব্রড পেলেন না। জফরা আর্চার উইকেট পাবেন, সেটাও মোটামুটি অনুমিত ছিল। তবে তার রথের সারথী যে স্যাম কারান হয়ে যাবেন , সেটা আবার হয়নি আগে। সব মিলে দ্বিতীয় দিনটা ইংল্যান্ডেরই হলো, আপাতত ওভালে পাল্লাটা ত্রাদের দিকেই হেলে।

    ৮ উইকেটে ২৭১ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। জস বাটলার ছিলেন ক্রিজে, কিন্তু সকালে বড্ড তাড়াহুড়ো করতে গেলেন। শেষ পর্যন্ত প্যাট কামিন্সকে মারতে গিয়ে বোল্ড হয়ে গেলেন ৭০ রানে। জ্যাক লিচকে ২১ আরনে ফিরিয়ে পঞ্চম উইকেট পেয়েছেন মিচেল মার্শ, টেস্ট ক্যারিয়ারে যা তার প্রথমবার। ২৯৪ রানেই তাই থেমে যেতে হয়েছে ইংল্যান্ডকে।

    ওয়ার্নারের শুরুটা হয়েছে তার মতোই। আবারও অফ স্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে দিয়েছেন ক্যাচ। তবে এবার কিছুটা বিতর্ক ছিল। শুরুতে আম্পায়ার আউট দেননি, ইংল্যান্ডের রিভিউটা মনে হচ্ছিল বিফলে গেছে। কিন্তু আল্ট্রা এজে ধরা পড়েছে চির, যদিও পরে ছবিতে দেখা গেছে ব্যাট আর বলের ছায়ার মধ্যে ফাঁক ছিল। ওয়ার্নার অবিশ্বাসে হাসতে হাসতে মাঠ ছেড়েছেন, ফিরেছেন ৫ রানে। মার্কাস হ্যারিসের দুর্দশাও কাটেনি, স্লিপে স্টোকসের দুর্দান্ত ক্যাচ হয়ে ফিরেছেন ৩ রানে। ও হ্যাঁ, দুইটি উইকেটই আর্চারের।

    ক্রিজে ল্যাবুশেন আর স্টিভ স্মিথ। অ্যাশেজে অস্ট্ররেলিয়ার এবারের সাফল্যের দুই কুশীলব। স্মিথ আরও একবার আর্চার-ব্রডদের বিপক্ষে স্বচ্ছন্দ, তবে সম্ভবত এই সিরিজে তাকে প্রথমবারের মতো সত্যিকারের অস্বস্তিতে ফেললেন স্যাম কারান।

    এসব পেরিয়ে ল্যাবুএশ্ন আর স্মিথ অস্ট্রেলিয়াকে আরও একবার এগিয়ে নিচ্ছিলেন কিন্তু সেটা ভালো থেকে দারুণ হলো না আর্চারের জন্য। ৪৮ রান করে এলবিডব্লু হয়ে গেলেন ল্যাবুশেন, ফিফটি পাওয়া হলো না। ওদিকে কারানও সুইং দিয়ে চাপে রেখেছেন অস্ট্রেলিয়াকে। শেষ পর্যন্ত ম্যাথু ওয়েডকে এলবিডব্লু করে সেটার পুরস্কার পেলেন। রিভিউ দেখে যদিও মনে হয়েছে, আউট না দিলেও পারতেন ধর্মসেনা।

    স্মিথ অবশ্য নিবিষ্ট সন্নাসীর মতো ওদিকে ব্যাট করে যাচ্ছেনই। মিচেল মার্শও ১৭ রান করে ফিরে গেছেন আর্চারের বলে। পেইনকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়েছেন কারান্‌, দারুণ এক ইন্সুইঙ্গারের প্রথম বলে কামিন্সকে ফিরিয়ে পেয়েছিলেন হ্যাটট্রিকের সুযোগ। সেটা অবশ্য হয়নি। তবে স্মিথ একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু কারান বা আর্চার নয়, ক্রিস ওকসের সোজা একটা বল মিস করে ৮০ রানে হয়ে গেছেন এলবিডব্লু।

     

     

    লায়ন আর সিডনের ৩৭ রানের জুটি ২০০ পেরুতে অবশ্য সাহায্য করেছে অস্ট্রেলিয়াকে। শেষ পর্যন অবশ্য ২২৫ রানেই অলআউট হয়ে গেছে তারা। ৬ উইকেট নিয়েছেন আর্চার, কারান তিনটি। এরপর ব্যাট করতে নেমে শেষ ওভারেই দুবার উইকেট হারাতে পারত ইংল্যান্ড। একবার হ্যারিস মিস করেছেন ডেনলির সহজ ক্যাচ। আরেকবার বার্নসকে আউট দিয়ে দিয়েছিলেন ধর্মসেনা, রিভিউ নিয়ে বেঁচেছেন ইংল্যান্ড ওপেনার।