প্রথম দফায় ফিটনেস পরীক্ষায় উৎরাতে পারলেন না আশরাফুল-রাজ্জাকরা
ক্রিকেটারদের জন্য আজকের দিনটা খানিকটা মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকের স্মৃতি ফিরিয়ে আনল যেন। এসএসসি-এইচএসসির ফলের মতো আজ মিরপুরে এ ওর থেকে স্কোর জানতে চাইছিলেন। কামরুল ইসলাম রাব্বি ও শাহরিয়ার নাফীসের মতো অনেকে আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের পয়েন্ট নিয়ে স্ট্যাটাসও দিয়েছেন। কামরুল ও নাফীস দুজনেই ১১ পেরিয়েছেন, তবে তাদের মতো ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়নি সব ক্রিকেটারের। জাতীয় লিগের প্রাথমিক ফিটনেস পরীক্ষায় আপাতত উৎরাতে পারেননি আবদুর রাজ্জাক-আশরাফুল-ইলিয়াস সানি-নাসির হোসেনরা। যদিও সবাই ১০ অক্টোবর লিগ শুরুর আগে আরও কয়েকবার বিপ টেস্ট দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
গত বার নূন্যতম ৯ পয়েন্ট থেকে এবার বিপ টেস্টের জন্য নূন্যতম পয়েন্ট ১১ করায় চাপা একটা উদ্বেগ ছিল ক্রিকেটারদের। কদিন ধরেই ফিটনেস অনুশীলনে বেশ মনযোগী দেখা গেছে ক্রিকেটারদের। আজ অনেকেই প্রথম দফায় পাশ করতে পারেননি। আশরাফুল-রাজ্জাক দুজনেই স্কোর ছিল ৯ থেকে দশের মধ্যে। সেটি অবশ্য একেবারে খারাপ নয়। আর অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হিসেবে কেউ কেউ একটু ছাড় পেতে পারেন, সেই আভাস কাল দিয়েছিলেন জাতীয় নির্বাচক হাবিবুল বাশার। আজ অবশ্য সেরকম কিছু বললেন না, তবে সার্বিকভাবে ফলে বেশ সন্তুষ্টই, ‘ গতবার যে স্কোরটা ছিল এবার তারচেয়ে একটু বেশি। এটা খেলোয়াড়রা সবাই জানত। নতুন কিছু না। আলোচনা একটু বেশি হয়েছে হয়ত যেহেতু লেভেলটা একটু বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু আমার মনে হয় যে যাই বলুক খেলোয়াড়রা কিন্তু এটি খুব ইতিবাচকভাবে নিয়েছে। এটা খেলোয়াড়দের জন্যই ভালো কিন্তু সবাই এটা উপলব্ধি করতে পেরেছে যে কারণে আমি খুবই খুশি। যতদূর দেখলাম এখন পর্যন্ত ঢাকাতে, ঢাকার বাইরের ফলাফল আমরা এখনও হাতে আসেনি। ঢাকাতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৯৬ পারসেন্ট পাশ করে গেছে। যে লক্ষ্যটা দেয়া হয়েছিল সেটা ফুলফিল করতে পেরেছে।’
আশরাফুল, রাজ্জাক, নাসিরের মতো আজ ফিটনেস টেস্টে উৎরাতে পারেননি বর্ষীয়ান ইলিয়াস সানিদের মতো আরও কেউ কেউ। তবে হাবিবুল বললেন, যতবার ইচ্ছে পরীক্ষা দিয়ে ১১ পেলেই জাতীয় দলের জন্য বিবেচিত হবেন তারা, ‘দরকার হলে ৫ বার পরীক্ষার সুযোগ দেব। গতবারও দিয়েছি। ৪-৫ জন পারেনি লেভেল ছুঁতে। তাদেরকে রাখা হয়নি এবং সময় দেয়া হয়েছিল বলা হয়েছিল তোমরা যখনই পারবা এটা করলেই পরদিন টিমে ঢুকে যাবা। গতবার এভাবে কিন্তু ৩-৪ জন ঢুকেও গিয়েছিল।’
জাতীয় দলের কাছাকাছি থাকা ক্রিকেটার আবু হায়দার রনিও ফিটনেস নিয়ে কড়াকড়ি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন, ‘আমি মনে করি এটা ভালো একটা উদ্যোগ। আমরা যেহেতু পেশাদার ক্রিকেটার আমাদের ফিটনেস খুব গুরুত্বপূর্ণ। যারা তরুণ ক্রিকেটার আছেন তারা কিন্তু আমাদেরই দেখবে যারা বয়সভিত্তিক ক্রিকেট খেলছে এখন। তারা কিন্তু ফার্স্ট ক্লাস, প্রিমিয়ার লিগের ক্রিকেটাররা কী করছে সেটা দেখবে। এখানে যদি আমাদের ফিটনেস লেভেল হাই থাকে তাহলে তারাও মানসিকভাবে প্রস্তুত হবে যে ভালো লেভেলে খেলতে হলে ফিটনেস অবশ্যই ভালো লাগবে। আর একটা সীমারেখা করে দিয়েছে ১১। তাতে আমার মনে হয় ক্রিকেটারদের মধ্যে নতুন করে কাজ করার আগ্রহ আরও বেড়েছে। কারণ ফিটনেস নিয়ে সবাই কাজ করছে এখন। আমাদের টিমের এক-দুইজন বাদে সবাই ১১ পার করেছে এটা ভালো একটা দিক।’