যে কারণে জাতীয় লিগে নেই সাকিব, তাসকিন, শরিফ
প্রথম শ্রেণিতে দেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ পেসারের নাম মোহাম্মদ শরিফ, ক্যারিয়ারে তার উইকেট ৩৯৩টি। আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের নাম ফরহাদ হোসেন, প্রথম শ্রেণিতে তার রান ৮২৪৩। এবারের জাতীয় লিগে নির্বাচকদের ঘোষিত স্কোয়াডে জায়গা হয়নি এ দুজনের। এছাড়া তুষার ইমরান, সোহাগ গাজিদের দলে জায়গা পাওয়া নির্ভর করছে ফিটনেস টেস্টে পার হওয়ার ওপর। বিপ টেস্ট উৎরাতে পারেননি তারা, আবার সেটি দিতে হবে তাদের। এ দুজন ছাড়াও বিপ টেস্টের ওপর ঝুলে আছেন ঢাকার আব্দুল মজিদ, বরিশালের তৌহিদুল ইসলাম রাসেল।
ভারত সফরের আগে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা খেলতে পারবেন এই টুর্নামেন্টের দুই রাউন্ড। সর্বশেষ আফগানিস্তান টেস্টের স্কোয়াড থেকে জাতীয় লিগে নেই সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, মোহাম্মদ মিঠুন, তাসকিন আহমেদরা।
সাকিব টেস্ট ছাড়া শেষ প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছিলেন ২০১৫ সালে, জাতীয় ক্রিকেট লিগেই। এর আগে শেষ ঘরোয়া প্রথম শ্রেণিতে খেলেছিলেন ২০১০ সালে, কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে। তিনি বর্তমানে আছেন ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ খেলতে। সাকিবের মতো ওপেনার লিটন দাসও খেলতে গিয়েছিলেন সিপিএল। অবশ্য সাকিবের দল এখনও ফাইনালের আশায় থাকলেও বাদ পড়ে গেছে লিটনের দল। তবে জাতীয় লিগে নেই তিনি।
বিসিবির সর্বশেষ ঘোষিত কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সাকিব-লিটন ছাড়াও জাতীয় লিগের প্রথম দফা ঘোষিত স্কোয়াডে নেই- মাশরাফি বিন মুর্তজা, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন ও খালেদ আহমেদ। মাশরাফি গত পাঁচ বছরে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন তিনটি- ২০১৭ সালে জাতীয় ক্রিকেট লিগে দুটি ম্যাচের পর গত বছর বিসিএলে একটি। সাইফ উদ্দিন ও খালেদ ভুগছেন চোটে। ‘এ’ দলের হয়ে শ্রীলঙ্কা সফরে আছেন মোহাম্মদ মিঠুন, তাসকিন আহমেদ আবার পড়েছেন চোটে। এছাড়া নুরুল হাসান সোহান, এনামুল হক বিজয়, সানজামুল ইসলামরাও আছেন শ্রীলঙ্কায়।
১০ অক্টোবর শুরু হচ্ছে ২১তম জাতীয় লিগ। দুইটি স্তরে খেলবে আটটি দল, খেলা হবে মোট ৯টি ভেন্যুতে হবে খেলা। ঢাকা ও সিলেট বাদে প্রতিটি স্কোয়াডে আছেন ১৪ জন করে ক্রিকেটার। এই দুই দলে আছেন ১৫ জন করে ক্রিকেটার।