• জাতীয় ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    তামিমের হতাশার দিনে মাহমুদউল্লাহ-তাইজুল-শফিউলের বোলিং ঝলক

    তামিমের হতাশার দিনে মাহমুদউল্লাহ-তাইজুল-শফিউলের বোলিং ঝলক    

    বৃষ্টি, বজ্রপাত, তামিম ইকবালের হতাশাজনক ফেরা, সাদিকুরের ফিফটি, মাহমুদউল্লাহর টানা বোলিং, আর শফিউল-তাইজুলে এলোমেলো ঢাকা- জাতীয় ক্রিকেট লিগে প্রথম দিনের হাইলাইটস। সব ম্যাচই পড়েছে বৃষ্টির কবলে। মিরপুরে দ্বিতীয় স্তরে চট্টগ্রাম-ঢাকা মেট্রো ও ফতুল্লায় ঢাকা-রাজশাহীর ম্যাচ হয়েছে যথাক্রমে ৫১ ও ৫১.৫ ওভার। খুলনা ও রাজশাহীর ম্যাচ দুটিতে মাঠে গড়ায়নি একটি বলও। 


    চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস ১৪৭/৩

    মিরপুরেও সকাল থেকেই মেঘাচ্ছন্ন ছিল আকাশ। ঢাকা মেট্রোর দুই পেসার শহিদুল ইসলাম ও মেহরাব হোসেন ঠিক চেপে ধরতে পারেননি অবশ্য চট্টগ্রামকে। তামিম ও সাদিকুর রহমানের জুটি উলটো হতাশ করে গেছে তাদের। দুই মেরুতে দাঁড়িয়ে যেন ব্যাটিং করছিলেন চট্টগ্রামের দুই ওপেনার- সাদিকুর ছিলেন আক্রমণাত্মক, তামিম ছিলেন অতি-সতর্ক। 

    মাত্র ৬৭ বলে ফিফটি পূর্ণ করেছেন সাদিকুর, লাঞ্চের আগেই। তবে ফিরেছেন ফিফটির ঠিক পরপরই, মাহমুদউল্লাহকে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে খেলতে গিয়ে হয়েছেন স্টাম্পড। শহিদুল-মেহরাবের সঙ্গে সৈকত আলিকে আনার পর দিনের প্রথম স্পিনার হিসেবে ইনিংসের ১৬তম ওভারে বোলিংয়ে এসেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। এরপর দিনে সবচেয়ে বেশি বোলিং করেছেন তিনিই- ১৮ ওভার। দিনের সবচেয়ে সফল বোলারও তিনি। 

    লাঞ্চের আগে আরেকটি উইকেট পেতে পারতো চট্টগ্রাম, তবে শর্ট লেগে ক্যাচ তুলেও বেঁচে গেছেন পিনাক ঘোষ। চট্টগ্রাম লাঞ্চে গেছে ১ উইকেটে ৮৮ রান নিয়ে।
     

     
    তামিমের ক্যাচ ধরছেন মাহমুদউল্লাহ, জাতীয় লিগ, মিরপুর


    লাঞ্চের পরও খোলস থেকে বের হননি তামিম, ক্রিজে আটকে থাকাই যেন লক্ষ্য ছিল তার। মাহমুদউল্লাহর শর্ট অফ আ লেংথ বলে পুল করতে গিয়ে আলগা হয়ে গেছে তার শট, বিপত্তি ঘটেছে তাতেই- খাড়া ক্যাচ তুলেছেন বোলারের হাতেই। মুমিনুল হক এসেছেন, বাজে শটে আউট হয়েছেন তিনিও। তুলে মারতে গিয়ে আউটসাইড-এজড হয়ে ধরা পড়েছেন গালিতে। 

    চট্টগ্রামকে এরপর আগলে রেখেছিলেন পিনাক ও তাসামুল হক। মাঝে বৃষ্টি-বাধায় খেলা বন্ধ ছিল, এরপর শুরু হওয়ার আগেই আরও কিছুক্ষণ থেমে গিয়েছিল বজ্রপাতে-- সতর্কতাস্বরুপ ক্রিকেটারদের উঠিয়ে নিয়েছিলেন আম্পায়াররা। পিনাক-তাসামুল উইকেট ধরে ছিলেন, শহিদুলের এক ওভারে দুই চার মেরে খোলস ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পিনাক। তবে তার আগেই নামা বৃষ্টিতে এরপর আর শুরু হতে পারেনি প্রথম দিনের খেলা। 


     

    ঢাকা ১ম ইনিংস ১৪৩/৭*
     
    ফতুল্লায় ঢাকা ও রাজশাহীর ম্যাচ শুরু হয়েছে ১২.৫০-এর দিকে। টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়া রাজশাহী প্রথম ব্রেকথ্রু পেয়েছে ১২তম ওভারে গিয়ে। তাইজুল ইসলামের বলে ক্যাচ দিয়েছিলেন আব্দুল মজিদ। ২য় উইকেটে রনি তালুকদার ও জয়রাজ শেখ মিলে তুলেছিলেন ৮০ রান। 

    শেষ সেশনে এসে সব এলোমেলো হয়ে গেছে ঢাকার। তাইজুল-শফিউলের মিলিত আক্রমণে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে তারা। জয়রাজকে এলবিডব্লিউ করে সে জুটি ভেঙেছিলেন তাইজুল, এরপর শফিউল ফিরিয়েছেন ৬৩ রান করা রনিকে। 

    উইকেটের মিছিলে যোগ দিয়েছেন ঢাকার ব্যাটসম্যানরা, ২৫ রানের ব্যবধানে তারা হারিয়েছে ৬ উইকেট। রকিবুল হাসান ও শুভাগত হোম বোল্ড হয়েছেন যথাক্রমে শফিউল ও তাইজুলের বলে, মোহাম্মদ শাকিল ও শাহাদত হোসেন এলবিডব্লিউ হয়েছেন ওই দুই বোলারেরই বলে একই ক্রমে। শফিউল ৩ উইকেট নিয়েছেন ৪০ রানে, তাইজুল ৪ উইকেট নিতে খরচ করেছেন ৫৫ রানে। 

    দিনশেষে ১২ রানে তাইবুর ও ০ রানে অপরাজিত নাজমুল ইসলাম।