তাইবুরের পর জহুরুল-মুশফিকের লড়াই
ঢাকা ১ম ইনিংস ২৪০ অল-আউট
রাজশাহী ১ম ইনিংস ১৭৩/৬*
রাজশাহী ১ম ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়ে ৬৭ রানে পিছিয়ে
তাইবুর রহমানের লড়াকু ৮৮ রানের পর সুমন খানের তোপে ফতুল্লায় রাজশাহীকে চেপে ধরেছিল ঢাকা। তবে মুশফিকুর রহিম ও জহুরুল ইসলামের দারুণ দুই ফিফটিতে ফিরে এসেছে রাজশাহী। ১৪ রানেই ৩ উইকেট হারানোর পর রাজশাহীকে টেনে তুলেছেন জহুরুল-মুশফিক, এর আগে ১৪৩ রানে ৭ উইকেট নিয়ে ব্যাটিং করতে নামা ঢাকাকে যেমন টেনেছিলেন তাইবুর, প্রায় একা হাতেই।
দিনের শুরুতেই ঢাকা হারিয়ে ফেলেছিল নাজমুল ইসলামকে, কোনও রান না করেই ফরহাদ রেজার বলে এলবিডব্লিউ হয়েছিলেন নাজমুল ইসলাম। ৯ম ও ১০ম উইকেটে এরপর যথাক্রমে সুমন খান ও সালাউদ্দিন শাকিলকে নিয়ে ৪৮ রানের দুটি জুটি গড়েছেন তাইবুর, যাতে তার সঙ্গীর রান যথাক্রমে ১০ ও ৫।
সুমনকে শফিকুল ও শাকিলকে ফিরিয়েছেন রেজা, ওপাশে অপরাজিত ছিলেন তাইবুর, ৮৮ রানে। ১২৩ বল খেলেছেন তিনি, ৯টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ১টি ছয়।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই সুমনের তোপে পড়েছিল রাজশাহী, ১৪ রানেই তারা হারিয়েছিল ৩ উইকেট। ইনিংসের ১৪ ওভার শেষে সুমনের বোলিং ফিগার ছিল এমন : ৭-৫-২-৩!
চা-বিরতির আগে ঢাকাকে আর উইকেট পেতে দেননি জহুরুল ও মুশফিক। দুজনের ১২১ রানের জুটি ভেঙেছেন শুভাগত হোম, তার বলে ক্যাচ দিয়েছেন ৭৫ রান করা মুশফিক। ১১৬ বল খেলে ৭ চারের সঙ্গে মুশফিক মেরেছেন ৩ ছয়, যার মধ্যে দুটি ছয় টানা মেরেছেন নাজমুলকে। শুভাগতকে মেরেছিলেন চারের পর ছয়।
মুশফিকের উইকেটের পর জহুরুলের সঙ্গে জুটিতে ২০ রানের বেশি তুলতে পারেননি সাব্বির, ৪ রানের ব্যবধানে ফিরেছেন তিনি ও সাখির হোসেন। সাব্বিরকে ফিরিয়েছেন নাজমুল, সাখিরের উইকেট নিয়েছেন শাকিল। দিনশেষে জহুরুলকে সঙ্গ দিচ্ছেন ১৩ বলে ১৪ রানে অপরাজিত ফরহাদ রেজা।
দিনশেষে অপরাজিত তানভীর ও শুভ/ওয়ালটন
রংপুর ১ম ইনিংস ১৬৯/৫* বনাম খুলনা
খুলনার বিপক্ষে রংপুরকে টেনে তোলার কাজটা করছেন তানভীর হায়দার, এর আগে যেটি করেছেন নাঈম ইসলাম। প্রথম দিন ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয় দিনের খেলা খুলনায় শুরু হয়েছিল সকাল সোয়া এগারটায়। টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল খুলনা, ইনিংসের প্রথম বলেই তাদেরকে সাফল্য এনে দিয়েছেন আল-আমিন হোসেন। তার বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন মাইশুকুর রহমান।
৩০ রানে ২য় উইকেট হারিয়েছে তারা, এবারও ঘাতক আল-আমিন, এবার হামিদুল ইসলামকে বোল্ড করেছেন তিনি। এরপর পালা আব্দুর রাজ্জাকের, মাহমুদুল হাসানকে এলবিডব্লিউ করার পর অধিনায়ক নাসির হোসেনকে বোল্ড করেছেন তিনি। চাপে পড়া রংপুরকে এরপর টেনে তোলার চেষ্টা করেছেন নাঈম ইসলাম ও তানভীর।
দুজন মিলে ৫ম উইকেটে যোগ করেছেন ৪৮ রান, ৪৮ রান করে মইনুলের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন নাঈম। সোহরাওয়ার্দি শুভকে নিয়ে এরপর ৬ষ্ঠ উইকেটে ৪৫ রান তুলে অবিচ্ছিন্ন তানভীর। তিনি অপরাজিত ৪০ রানে, তার সঙ্গী শুভর রান ৩১।