• জাতীয় ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    আরাফাত সানির ৬ উইকেটের দিনে তাসামুলের ১০ রানের আক্ষেপ

    আরাফাত সানির ৬ উইকেটের দিনে তাসামুলের ১০ রানের আক্ষেপ    

    চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস ২৯০ অল-আউট
    ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস ৬৬/২*


    তাসামুলের ১০ রানের আক্ষেপের দিনে পাঁচ উইকেটের স্বাদ পেয়েছেন আরাফাত সানি। দ্বিতীয় স্তরে মিরপুরে চট্টগ্রাম ও ঢাকা মেট্রোর ম্যাচে দিনশেষে ৮ উইকেট নিয়ে ২২৪ রানে পিছিয়ে আছে মেট্রো। সানির ৬ উইকেটের তোপে বেশ ভাল অবস্থা থেকে ২৯০ রানে গুটিয়ে গেছে চট্টগ্রাম, ক্যারিয়ারে এটি ১৯তম বার পাঁচ উইকেট তার। 

    প্রথম দিনের মতো এদিনও প্রথম সেশনে শুধু একটি উইকেট হারিয়েছে চট্টগ্রাম। দারুণ বোলিংয়ের পুরস্কার পেয়েছেন শহিদুল ইসলাম, তার বলে কট-বিহাইন্ড হয়েছেন পিনাক ঘোষ। এরপরই তাসামুল ও অঙ্কনের ঘুরে দাঁড়ানো। লাঞ্চের আগে-পরে দুজনের জুটিতে উঠেছে ৬৭ রান। তাদের জুটি ভেঙে মেট্রোকে ব্রেকথ্রুটা দিয়েছেন আরাফাত সানি, তার বলে ৩০ রান করে ক্যাচ দিয়েছেন অঙ্কন। 

    তাসামুলের সঙ্গে এরপর ৫৭ রানের জুটি মাসুম খানের, সে জুটিও ভেঙেছেন সানি। শুধু সে জুটি ভাঙেননি, চা-বিরতির আগে-পরে এরপর চট্টগ্রামের ওপর তান্ডব চালিয়েছেন তিনি। ২৭ রানে মাসুম ক্যাচ দেওয়ার ঠিক পরের বলেই বোল্ড হয়েছেন মিনহাজুল আবেদিন আফ্রিদি, সানি অবশ্য হ্যাটট্রিকটা পাননি শেষ পর্যন্ত। 
     


    পাঁচ উইকেট আরাফাত সানির/ওয়ালটন


    ৭ উইকেটে ২৮৬ রান নিয়ে চা-বিরতিতে গিয়েছিল চট্টগ্রাম। বিরতির পর দ্বিতীয় বলেই আঘাত করেছেন সানি, এবার এলবিডব্লিউ হয়েছেন মেহেদি হাসান। এক বল পর বোল্ড হয়েছেন রনি চৌধুরি। এ উইকেট দিয়েই পাঁচ পূর্ণ হয়েছে সানির।

    ওপাশে দাঁড়িয়ে নিজের হতাশা লুকাতে পারছিলেন না তাসামুল, তবে তাকেও বনতে হয়েছে সানির শিকারই। চার বল ধরে রান বের করতে পারছিলেন না তাসামুল, এবার নীচু হওয়া বলে হয়েছেন বোল্ড। সানি শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট নিয়েছেন ৮৭ রানে, বোলিং করেছেন ৩৯.৫ ওভার।

    ব্যাটিংয়ে নেমে সাদমান ইসলামকে দ্রুতই হারিয়েছে ঢাকা মেট্রো, নোমান চৌধুরির বলে তিনি দিয়েছেন ক্যাচ। এরপর রাকিন আহমেদ রান-আউট হয়েছেন একটু অদ্ভুতভাবে। নোমানকে পুল করেছিলেন রাকিন, ফিল্ডাররা চার ভেবে সেটির হাল ছেড়েই দিয়েছিলেন প্রায়। তামিম জোর করেই কিছুটা পাঠিয়েছেন ফিল্ডারকে, তিন রান নিতে গিয়ে রান-আউটই হয়ে গেছেন রাকিন। 

    এরপর অবশ্য আর উইকেট পায়নি চট্টগ্রাম, মেট্রোর দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মার্শাল আইয়ুব ও শামসুর রহমান দিনশেষে অপরাজিত আছেন যথাক্রমে ২১ ও ২৬ রানে। যে পাঁচজন বোলিং করেছেন এদিন চট্টগ্রামের হয়ে, তাদের মিলিত প্রথম শ্রেণির অভিজ্ঞতা এ ম্যাচের আগে ছিল শুধু এক ম্যাচ, চারজনের অভিষেক হয়েছে এ ম্যাচে। কোচ আফতাব আহমেদ ম্যাচের আগে বলেছিলেন, তামিমের সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করাটা তাদের জন্য হবে দারুণ অভিজ্ঞতা। ফিল্ডিং সেটিং থেকে শুরু করে রান-আউটের সেই 'অবদান' রেখে তামিম নিশ্চয়ই খুশিই করতে পেরেছেন কোচকে। 
     


    আরেকটি উইকেট নিয়ে উল্লাস রাব্বির/ওয়ালটন


    সিলেট ১ম ইনিংস ৬৮/৩* বনাম বরিশাল


    আগের দিন বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল পুরোটাই, এদিনও রাজশাহীতে সিলেট-বরিশালের খেলা শুরু হতে হতে বেজেছে বিকাল ৩ টা। ৩১ ওভার ব্যাটিং করে তাতে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে সিলেট, জাকির হাসানের অপরাজিত ৩২ রানের ইনিংস না হলে তাদের অবস্থা হতে পারতো আরও বাজে। 

    টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়ে সফলও হয়েছে বরিশাল। ৩৬ রানেই তারা হারিয়েছিল ৩ উইকেট। দুই ওপেনার ইমতিয়াজ আহমেদ ও তৌফিক খানের উইকেট নিয়েছেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। আর রাহাতুল ফেরদৌসকে ফিরিয়েছেন তৌহিদুল ইসলাম। 

    তৃতীয় উইকেটে অভিজ্ঞ অলক কাপালিকে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন আছেন জাকির। ১৩ ওভারে ১০ রান দিয়েছেন মাত্র রাব্বি, তার ২ উইকেট নিতে।