• জাতীয় ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    রাব্বির ৬ উইকেট, নুরুজ্জামানের ৩ উইকেট ০ রানে

    রাব্বির ৬ উইকেট, নুরুজ্জামানের ৩ উইকেট ০ রানে    

    তৃতীয় দিনশেষে 
    সিলেট ১ম ইনিংস ৮৬ অল-আউট ও ২য় ইনিংস ২৭/২*
    বরিশাল ২৩১/৮ ডিক্লে. 
    সিলেট ৮ উইকেটে ১১৮ রানে পিছিয়ে 


    ৭৪ ম্যাচের ক্যারিয়ার, এর আগে কামরুল ইসলাম রাব্বির পাঁচ উইকেট ছিল একবার। নুরুজ্জামান মূলত ব্যাটসম্যান, তবে কিপটে বোলিংয়ের রেকর্ডা আছে তার। ২ বার এর বেশি উইকেট ইনিংসে নিয়েছেন তিনি একবার, ২০১৪-১৫ মৌসুমে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন ২ রানে। রাজশাহীতে সিলেটকে দুমড়ে-মুচড়ে দিলেন এ দুজন, রাব্বি নিয়েছেন ৬ উইকেট, নুরুজ্জামান ৩ নিতে খরচ করেননি কোনও রান।

    রাজশাহীতে ১৭ উইকেট পড়লো একদিনেই। প্রথম ইনিংসে ৮৬ রানে অল-আউট হয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে আবারও ২৭ রান তুলতে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে সিলেট। মাঝে শাহরিয়ার নাফীস ও ফজলে রাব্বির ফিফটির পরও ব্যাটিং ধসের মুখে পড়েছিল বরিশাল, তবে ৮ উইকেটে ২৩১ রান নিয়েই ইনিংস ঘোষণা করে দিয়েছিল তারা।

    আগের দিন ৩ উইকেটে ৬৮ রানে দিন শেষ করেছিল সিলেট। এদিন তারা বাকি উইকেটগুলি হারিয়েছে এতো রানে- ৬৮, ৬৮, ৭০, ৮৫, ৮৬, ৮৬, ৮৬! অলক কাপালি একটু ঝুলে ছিলেন, ৮ম ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি আউট হয়েছেন নুরুজ্জামানের বলে। 

    সিলেটের শেষ ৬ ব্যাটসম্যানের রান এমন- ০, ০, ৮, ০, ০, ০*। রাব্বি সব মিলিয়ে নিয়েছেন ৬ উইকেট, ১৬.১ ওভারে তিনি দিয়েছেন মাত্র ২৪ রান। আগেরদিন ২ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি, এদিন পূর্ণ করেছেন ক্যারিয়ারের ২য় ৫ উইকেট। রাব্বির একমাত্র ৫ উইকেট ছিল এর আগে ২০১২-১৩ মৌসুমে জাতীয় লিগে। আর নুরুজ্জামানের বোলিং ফিগার তো অদ্ভুত : ৩-৩-০-৩! 

    ১ম ইনিংসে ব্যাটিংয়ের শুরুটা দারুণ ছিল বরিশালের, নাফীস ও রাফসান মাহমুদ ওপেনিংয়ে তুলেছিলেন ৮০ রান। রেজাউর রহমানের বলে ৩৩ রান করে রাফসান এলবিডব্লিউ হয়েছেন, ২য় উইকেটে রাব্বির সঙ্গে আরও ৫১ রান যোগ করেছেন নাফীস। ৯৭ বলে ১০ চারে ৬৩ রান করে ফিরেছেন নাফীস, রাব্বি আউট হয়েছেন ৯২ বলে ১১ চার ও ১ ছয়ে ৭০ রান করে। 

    রাব্বির উইকেটের আগে-পরে ৪২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল বরিশাল, ৮ম উইকেটে শামসুল ইসলাম ও রাব্বি যোগ করেছেন আরও ২৭ রান। এরপরই ইনিংস ঘোষণা করে দিয়েছে বরিশাল। দ্বিতীয় দফা ব্যাটিংয়ে নেমে তৌফিক খান ও রাহাতুল ফেরদৌসকে হারিয়ে ফেলেছে সিলেট, উইকেট দুটি ভাগ করে নিয়েছেন নুরুজ্জামান ও তৌহিদুল।