সিলেটকে হারাতে দুই দিনই যথেষ্ট হলো বরিশালের
দ্বিতীয় স্তর, রাজশাহী
সিলেট ১ম ইনিংস ৮৬ অল-আউট ও ২য় ইনিংস ১৩২ অল-আউট
বরিশাল ২৩১/৮ ডিক্লে.
বরিশাল ইনিংস ও ১৩ রানে জয়ী
প্রথম দিন খেলা হয়নি, দ্বিতীয় দিন হয়েছিল মাত্র ৩১ ওভার। তবে সব মিলিয়ে দুই দিন সময় ও এক ইনিংসে ২৩১ রানই বরিশালের জন্য যথেষ্ট হলো সিলেটকে হারিয়ে দিতে। শেষদিন ৮ উইকেট বাকি ছিল সিলেটের, তানভীর ইসলাম ও মনির হোসেনের তোপে চা-বিরতির আগেই গুটিয়ে গেছে সিলেট, হেরেছে ইনিংস ও ১৩ রানে।
আগের দিনের সঙ্গে আর ২৩ রান যোগ করে প্রথম উইকেট হারিয়েছিল সিলেট, তানভীরের বলে এলবিডব্লিউ হয়েছিলেন এনামুল হক জুনিয়র। এরপর ৭০ রানে দাঁড়িয়ে ২ উইকেট হারিয়েছে সিলেট-- জাকির হাসান ক্যাচ দিয়েছেন নুরুজ্জামানের বলে, পরের ওভারে ইমতিয়াজ হাসান ক্যাচ দিয়েছেন তানভীরের বলে।
অলক কাপালি ও জাকের আলি অনিক আশা জোগাচ্ছিলেন সিলেটকে, অন্তত বরিশালকে আরেকবার ব্যাটিং করানো তখন ছিল খুব সম্ভব। দুজন মিলে প্রায় ২৮ ওভার ব্যাটিং করে তুলেছিলেন ৫১ রান। মনির এসে দিয়েছেন ব্রেকথ্রু, তার বলে ১৬ রান করে ক্যাচ দিয়েছেন কাপালি। তিনি খেলেছিলেন ৭৮ বল।
জাকের একপাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তবে শীঘ্রই তিনি হয়ে পড়লেন দর্শক। ১১ রানের ব্যবধানে সিলেট হারিয়ে ফেলেছে তাদের শেষ ৫ উইকেট। শাহনূর রহমান ও রেজাউর রহমান শিকার তানভীরের, ইমরান আলি ও রুহেল মিয়ার উইকেট নিয়েছেন মনির। সিলেটের শেষ চার ব্যাটসম্যান মিলিয়ে খেলেছেন ১৬ বল, রান করতে পারেননি কোনও। একদিকে জাকের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৪৫ রানে, তিনি খেলেছেন ১১৪ বল।
দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেটশূন্য থাকলেও প্রথম ইনিংসের ৬ উইকেটের জন্য ম্যাচসেরা হয়েছেন কামরুল ইসলাম রাব্বি।
বোনাস পয়েন্টসহ বরিশাল পেয়েছে ৯.৫, বোলিং থেকে ১ পয়েন্ট বোনাস পেয়েছে সিলেটের। রাজশাহীতে তাদের দুই ইনিংসজুড়ে ব্যাটিং ব্যর্থতার পর একমাত্র প্রাপ্তি ওই পয়েন্টটিই।