হঠাৎ উত্তেজনার পর ড্র ঢাকা মেট্রো-চট্টগ্রামের ম্যাচ
চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস ২৯০ অল-আউট ও ২য় ইনিংস ২২৭/৫
ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস ৩৫৪
ম্যাচ ড্র
উত্তেজনা ছড়িয়েও শেষ পর্যন্ত ড্র হয়েছে চট্টগ্রাম ও ঢাকা মেট্রোর ম্যাচ। দ্বিতীয় ইনিংসে হুট করেই ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল চট্টগ্রাম, দ্রুত তাদেরকে অল-আউট করে দিতে পারলে জয়ের সম্ভাবনাও তৈরি হতো মেট্রোর। তবে তাসামুল হক ও মাসুম খানের জোড়া ফিফটিতে সে শঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছে চট্টগ্রাম, ৫ম উইকেটে দুজন মিলে তুলেছেন ১১৫ রান। ৫৩ রান করে আল-আমিনের বলে তাসামুল ক্যাচ দিয়ে ফিরলেও ছিলেন মাসুম। ঘন্টাখানেক খেলা বাকি থাকতে ড্র মেনে নিয়েছে দুই দলই। এ ম্যাচে অবশ্য একটু হলেও ‘প্রাপ্তি’ বেশি চট্টগ্রামেরই, সব মিলিয়ে তাদের সংগ্রহ ৩ পয়েন্ট, মেট্রো পেয়েছে ২.৯৯।
ঢাকা মেট্রোকে অল-আউট করে দেওয়ার পর তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেনিংয়ে এদিন পাঠানো হয়েছিল পিনাক ঘোষকে। দুজনের ওপেনিং জুটি ছাড়িয়েছে ১০০। তামিম এবারও ছিলেন সতর্ক, সুযোগ পেলে অবশ্য শট খেলেছেন ঠিকই। তবে পিনাক ঘোষ আধিপত্য বিস্তার করেছেন বেশি, ৫৭ রানের ইনিংসে পিনাক মেরেছেন ৯টি চার, ১টি ছয়। তামিম করেছেন ৪৬ রান, এবার খেলেছেন ১১২টি বল। দুই ইনিংস মিলিয়ে তামিম ক্রিজে কাটালেন ২৭৪ মিনিট, খেলেছেন ২১৭টি বল।
১০২ রানের ওপেনিং জুটি, এরপর ৬ রানের ব্যবধানে নেই ৪ উইকেট। হুট করেই একটা ঝড় বয়ে গেল চট্টগ্রামের ইনিংসে। প্রথম ব্রেকথ্রুটা দিলেন মাহমুদউল্লাহ, পিনাক ঘোষ ডিফেন্ড করতে গিয়ে মিস করে হয়েছেন এলবিডব্লিউ। ঠিক পরের বলেই স্লিপে আল-আমিনের ভাল ক্যাচে পরিণত হয়েছেন মুমিনুল হক। লেগসাইডের ক্লোজ-ইনে তিনজনের সঙ্গে এক স্লিপ নিয়ে হ্যাটট্রিক বল করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ, তবে বাইরের বলটা খেলার প্রয়োজন বোধ করেননি তাসামুল হক।
পরের ওভারে এসে তামিমের সঙ্গে খন্ডযুদ্ধটা জিতেছেন মাহমুদউল্লাহ। তামিম এর বারকয়েক স্টাম্প ছেড়ে দিয়ে আবার এসে মাহমুদউল্লাহকে ব্যতিব্যস্ত রাখতে চেয়েছিলেন, তামিমের সরে যাওয়া দেখে একবার মাঝপথে থেমেও গিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। শেষ পর্যন্ত তামিম তার বলেই হয়েছেন এলবিডব্লিউ। তবে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অবশ্য খুব বেশি সন্তুষ্ট হতে পারেননি তিনি, একই অবস্থা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনেরও। এবার আরাফাত সানির বলে দেওয়া আম্পায়ারের সিদ্ধান্তটা মানতে পারছিলেন না তিনি। দুজনই মাঠ ছেড়েছেন বেশ কিছুক্ষণ সময় নিয়ে। তবে সেসবা আগুনে জল ঢেলেছে তাসামুল-মাসুমের ওই জুটি। মাসুম ফিফটি পূর্ণ করেছেন ১০৮ বলে, শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ১২৩ বলে ৬১ রান।
এর আগে সকালে আগের দিনের সঙ্গে মাত্র ৫ রান যোগ করতে শেষ ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে ঢাকা মেট্রো। আগেরদিন শহিদুল ইসলাম ও জাবিদ হোসেনের প্রতিরোধ এদিন ভেঙে গেছে তাড়াতাড়িই। দিনের দ্বিতীয় ওভারে পরপর দুই বলে শহিদুল ও মেহরাব হোসেনকে ফিরিয়েছেন মেহেদি হাসান, প্রথমজন দিয়েছেন ক্যাচ, পরেরজন হয়েছেন এলবিডব্লিউ। পরের ওভারে নোমান চৌধুরির বোল্ড হয়েছেন জাবিদ, ক্যারিয়ারসর্বোচ্চ ৯১ থেকে ৬ রান কম করে। প্রথম ইনিংসে ঢাকা মেট্রো লিড নিয়েছিল ৬৪ রানের।