• জাতীয় ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    তাইজুলের ৫ উইকেটের দিনে জহুরুলকে টলাতে পারলো না ঢাকা

    তাইজুলের ৫ উইকেটের দিনে জহুরুলকে টলাতে পারলো না ঢাকা    

    ঢাকা ১ম ইনিংস ২৪০ অল-আউট ও ২য় ইনিংস ২৫৪ অল-আউট
    রাজশাহী ১ম ইনিংস ১৯৭ অল-আউট ও ২য় ইনিংস ১০৬/৫
    ম্যাচ ড্র 


    আগের দিন ৩ উইকেট নিয়েছিলেন, এদিন আরও ২ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ারে ২২তম বার ৫ উইকেট পূর্ণ করলেন তাইজুল ইসলাম। আর ২৯৮ রানের লক্ষ্য দিয়ে রাজশাহীর দ্রুত দুই উইকেট নিলেও শেষ পর্যন্ত ড্র মেনে নিতে হয়েছে ঢাকাকে, জহুরুল ইসলামকে একপাশ থেকে টলাতে পারেনি তারা। 

    প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ঢাকার সর্বোচ্চ রান তাইবুর রহমানের, প্রথম ইনিংসের মতো এবারও তিনি করেছেন ওই ৮৮-ই। ৮ম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফরহাদ রেজার বলে আউট হওয়ার আগে তিনি খেলেছেন ১৯৫ বল, মেরেছেন তিনটি করে চার-ছয়। 

    দিনের ৬ষ্ঠ ওভারে এসে প্রথম সাফল্য পেয়েছিল রাজশাহী, তাইজুল ইসলামের বলে ক্যাচ দিয়েছিলেন সুমন খান। এরপর নাজমুল ইসলামের উইকেট দিয়ে ৫ উইকেট পূর্ণ করেছেন তাইজুল, ইনিংসে খরচ করেছেন ১০৫ রান, করেছেন ৪১.২ ওভার। 

    তাইবুরের পর শাহাদাত ও নাজমুল যোগ করতে পেরেছিলেন আর ১৭ রান, ২৫৪ রানে দাঁড়িয়েই শেষ দুই উইকেট হারিয়ে রাজশাহীকে ২৯৮ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছিল তারা, যেটি শেষ পর্যন্ত হয়ে গেছে তাদের জন্য নিরাপদ দূরত্বে হাঁটা। এদিন তারা ১৪ ওভার ব্যাটিং করে তুলেছে ৩৩ রান। 

    রানতাড়ায় নিশ্চিতভাবেই ড্রয়ের পথে এগুতে চেয়েছে রাজশাহী। অবশ্য দ্রুত দুই উইকেটে আশা পেয়েছিল ঢাকা। মিজানুর রহমান বোল্ড হয়েছিলেন শাহাদাত হোসেনের বলে, সুমন এলবিডব্লিউ করেছিলেন জুনাইদ সিদ্দিককে। এরপর জহুরুল ও অভিষেক মিত্র মিলে ব্যাটিং করেছেন প্রায় ১৮ ওভার, সুমনই ভেঙেছেন সে জুটি। 

    প্রথম ইনিংসে রাজশাহীকে উদ্ধার করা জহুরুল-মুশফিক আবার দাঁড়িয়ে গেলেন, এবার খেললেন অবশ্য ২০ ওভার, তবে যথেষ্ট হলো সেটিই। শুভাগত দ্রুত ফেরালেন মুশফিক ও সাব্বিরকে-- মুশফিক দিয়েছেন ক্যাচ, ১৩ বলে খেলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে রানের কলাম থেকে ০ সরাতে পারেননি সাব্বির রহমান। 

    সাখির হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে এরপর রাজশাহীকে ড্রয়ের দিকে নিয়ে গেছেন জহুরুল। অভিজ্ঞ এই উইকেটকিপার খেলেছেন ১৮১ বল, ক্রিজে ছিলেন ২৭৪ মিনিট। ৪০ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। 

    দুই ইনিংসেই ৮৮ রানের জোড়া ইনিংস ম্যাচসেরার পুরস্কার এনে দিয়েছে তাইবুরকে।