• জাতীয় ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    বোলিংয়ের আত্মবিশ্বাস ব্যাটিংয়ে কাজে লাগিয়ে 'সেরা' মাহমুদউল্লাহ

    বোলিংয়ের আত্মবিশ্বাস ব্যাটিংয়ে কাজে লাগিয়ে 'সেরা' মাহমুদউল্লাহ    

    প্রথম ইনিংসে তামিম ইকবালের সঙ্গে চট্টগ্রামের হয়ে ওপেনিং করেছিলেন সাদিকুর রহমান। তাদের ৮০ রানের জুটি ভেঙেছিলেন মাহমুদউল্লাহ, সাদিকুরকে আউট করে। এরপর তামিম ইকবাল ও মুমিনুল হকের উইকেটও নিয়েছিলেন তিনি। 

    দ্বিতীয় ইনিংসে তামিমের সঙ্গে ওপেনিংয়ে এলেন পিনাক ঘোষ, তাদের জুটি তো ছাড়িয়ে গেল শতরান। এবারও ঢাকা মেট্রোর ‘ম্যান উইথ দ্য গোল্ডেন আর্ম’ মাহমুদউল্লাহ, সোজা হওয়া বলে এলবিডব্লিউ করলেন পিনাককে। ঠিক পরের বলেই ক্যাচ দিলেন মুমিনুল, হ্যাটট্রিকটা অবশ্য পাওয়া হলো না মাহমুদউল্লাহর। 

    তবে প্রথম ইনিংসের মতো এই ইনিংসেও চট্টগ্রামের টপ-থ্রিকে ফেরালেন তিনি, তামিমের উইকেটটা পেয়ে। দুই ইনিংস মিলিয়ে মাহমুদউল্লাহ করলেন ৩৯ ওভার। তিনি শেষ ২০ ওভারের ওপরে এক ম্যাচে বোলিং করেছিলেন শেষ যেবার ঘরোয়া প্রথম শ্রেণিতে খেলেছিলেন, সেই ২০১৫ সালে জাতীয় লিগে। 

    চার বছর পর খেলতে নেমে জাতীয় লিগে পার্থক্য দেখতে পাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ, সঙ্গে টানা বোলিং করে যাওয়া তাকে দিচ্ছে তৃপ্তি, “মাঝে কাঁধের চোটের কারণে সাত মাসের মতো আমি বোলিং করতে পারিনি। সত্যি বলতে তাই আমি উদগ্রীব ছিলাম কিছু ওভার বোলিং করতে। আলহামদুলিল্লাহ, বোলিং করতে পেরেছি। আমার বোলিং অনুশীলনটাও ভালো হলো। কারণ, আমিও চাচ্ছিলাম যতোটা বেশি ওভার বলা করা যায়। এটাই মূল উদ্দেশ্য ছিল।”

    মাঝে কাঁধের ওই চোটের কারণে ত্রিদেশীয় সিরিজ ও বিশ্বকাপে বোলিং করতে পারেননি। শ্রীলঙ্কায় গিয়ে ৩ ম্যাচ মিলিয়ে করেছিলেন ৪ ওভার, আর দীর্ঘ সংস্করণে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে করেছিলেন ৪ ওভার। বোলিংটা তার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয় বলে বলছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫০টি উইকেট নেওয়া মাহমুদউল্লাহ, “বোলিং আমি সবসময় করতে চাই। আমি মনে করি এটা আমাকে বাড়তি সুবিধা বা বাড়তি আত্মবিশ্বাস দেয় আমার ব্যাটিংয়ে।”

    প্রথম ইনিংসের বোলিং তার সূত্র অনুযায়ী অবশ্য কাজে দিয়েছে ঠিকই। রনি চৌধুরির বলে আলগা ক্যাচ দেওয়ার আগে করেছিলেন ৬৩ রান। তবে চেয়েছিলেন তিন অঙ্ক পর্যন্ত যেতে, “যদি তিন অঙ্ক ছুঁতে পারতাম তাহলে আরেকটু ভালো লাগতো। আমি চেষ্টাও করছিলাম। পিচে দ্বিতীয় এমনকি তৃতীয় দিনেও বোলারদের জন্য সুবিধা ছিল। সেটা স্পিনার ও পেসার সবার জন্য। আর ব্যাটসম্যানরা সবাই চেষ্টা করছিল, আমিও চেষ্টা করছিলাম।”

    ক্রিজে টিকে থাকার চেষ্টা করছিলেন অবশ্য তামিম ইকবালও। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও তামিম দীর্ঘ সময় ক্রিজে থাকতে চেয়েছিলেন, তার ব্যাটিংয়ের ধরন বলছিল এমনই। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ও ত্রিদেশীয় সিরিজে বিশ্রামে থাকা তামিমের ব্যাটিং দেখে মাহমুদউল্লাহ বলছেন, তার সতীর্থ আছেন ঠিক পথেই, “তামিম বেশ ভালোই ব্যাটিং করছিল। আমার কাছে মনে হয় সে সত্যি কঠোর পরিশ্রম করছে। হয়তো বড় রান করতে পারেনি। তবে ওর ব্যাটিংয়ের ছন্দ দেখে মনে হচ্ছে ও খুব ভালো ব্যাটিং করছে। গত কয়েক মাস ধরে ও অনেক কষ্ট করছে- ফিটনেস নিয়ে এবং ব্যাটিং নিয়ে। সে ঠিক পথে আছে। সবকিছু ওর জন্য দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে আশা করি।”