রাজার চার উইকেট, তামিমের অভাব বুঝতে দিচ্ছেন না অংকন-ইয়াসির
চট্টগ্রাম-বরিশাল
১ম দিন শেষে
চট্টগ্রাম ৯০ ওভারে ২৬১/৪
সবকিছুই ঠিক ছিল, খেলারও কথা ছিল তামিম ইকবালের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আজ ছিটকে গেছেন চোট পেয়ে। ফতুল্লায় চট্টগ্রাম বিভাগকে অন্তত প্রথম দিনে সেই অভাবটা বুঝতে দেননি ইরফান শুক্কুর, মাহিদুল অংকন আর ইয়াসির আলী। টিয়ার টুতে বরিশালের বিপক্ষে প্রথম দিন শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৬১ রান তুলেছে চট্টগ্রাম।
তামিমের জায়গায় আজ পিনাক ঘোষের সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছিলেন ইরফান শুক্কুর। ১১ ওভারের ভেতরেই দুজন তুলে ফেলেন ফিফটি। এরপর পিনাক ১৯ রান করে এলবিডব্লু হয়ে যান মনির হোসেনের বলে। তিন নম্বরে নেমে মুমিনুল হকও তেমন কিছু করতে পারেননি, মোহাম্মদ আশরাফুলের বলে এলবিডব্লু হওয়ার করেছেন ১৫ রান। শুক্কুর ফিফটি পেয়েছিলেন, তবে টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ৫৭ রান করে হয়ে গেছেন রান আউট, ১০২ রানে তখন তিন উইকেট হারিয়ে ফেলেছে চট্টগ্রাম। আগের রাউন্ডে ভালো করা তাসামুল আজ তেমন কিছু করতে পারেননি, ২৮ রান করে মনির হোসেনের বলে হয়ে গেছেন স্টাম্পড। ১৪৪ রানে চতুর্থ উইকেট হারিয়েছে চট্টগ্রাম, ১৬৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে গেছে চা বিরতিতে।
এর পরের সেশনটা পুরোপুরি নিজেদের করে নিয়েছেন ইয়াসির ও অংকন। ইয়াসির একটু সতর্ক ছিলেন, ফিফটি করতে খেলেছেন ১২১ বল। অংকনই বেশি আগ্রাসী ছিলেন, ৮৩ বলেই পেয়ে গেছেন ফিফটি। দিনের বাকি সময় কোনো উইকেট না হারিয়েই পার করে দিয়েছেন দুজন। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে উঠেছে ১১৭। ৬৮ রানে অরাজিত আছেন ইয়াসির।, ৬৯ রানে ব্যাট করছেন অংকুন। ২৬১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে দিন শেষ করেছে চট্টগ্রাম।
***********
ঢাকা মেট্রো-সিলেট
১ম দিন শেষে
ঢাকা মেট্রো ২৪৬ অলআউট
সিলেট ৫/১
বগুড়ায় সিলেট-ঢাকা মেট্রোর ম্যাচটা অবশ্য এতোটা ব্যাটসম্যানদের পক্ষে যায়নি। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৩৮ রানেই প্রথম উইকেট হারায় মেট্রো, রেজাউর রহমানের বলে ফিরে যান রাকিন আহমেদ। আজ দ্বিতীয় প্রথম শ্রেণি ম্যাচ খেলতে নামা সিলেটের পেসার রেজাউর রহমান রাজার এটি ছিল প্রথম উইকেট।
শামসুর রহমান এরপর কোনো রান না করেই আউট হয়ে গেছেন এনামুল জুনিয়রের বলে। নাইম শেখ আজ প্রথমবারের মতো নেমেছিলেন জাতীয় লিগে, কিন্তু ২৩ রান করে রেজার দ্বিতীয় শিকার হয়ে আউট হয়ে গেছেন। ৪৩ রানে তখন ৩ উইকেট নেই মেট্রোর। মাহমুদউল্লাহ ও আল আমিন জুনিয়র এরপর ৪০ রানের জুটি গড়েছিলেন, এরপর আল আমিন জুনিয়রকে ২০ রানে ফিরিয়ে দেন এনামুল জুনিয়র।
জাবির হোসেন ১২ রানে ইমরান আলীর বলে ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটের পেছনে, টি-টোয়েন্টি অভিষেকে হইচই ফেলে দেওয়া আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ৩ রান করেই আউট হয়ে গেছেন রাজার বলে। মাহমুদমুল্লাহ অন্য প্রান্ত থেকে ভালোই খেলছিলেন, ফিফটিও পেয়ে গিয়েছিলেন। প্রথম শ্রেণিতে ৬ হাজার রানও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বড় করতে পারেননি ইনিংস, ৬৩ রান করে রেজার চতুর্থ শিকারে পরিণত হয়েছেন। ১৫১ রানে তখন ৭ উইকেট নেই মেট্রোর। ঢাকা মেট্রো এরপর ২০০ পেরিয়েছে মূলত শহীদুল ইসলামের জন্য। আবু হায়দারকে নিয়ে সপ্তম উইকেটে যোগ করেছেন ৪৭ রান। ২৫ রানে হায়দার আউট হয়ে গেলেও শহীদুল ছিলেন শেষ পর্যন্ত। ৫৪ রানে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছেন, মেট্রোও অলআউট হয়েছে ২৪৬ রানে।
এরপর ব্যাট করতে নেমে চার ওভারই খেলতে পেরেছে সিলেট। তবে সেই চার ওভার ছিল ঘটনাবহুল। হায়দার রনির প্রথম ওভারেই এলবিডব্লু হয়েছেন ইমতিয়াজ হোসেন, পরের ওভারে আহত অবসরে গেছেন তৌফিক খান। সিলেট ১ উইকেটে ৫ রান নিয়ে শেষ করেছে দিন।