• জাতীয় ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    জাতীয় লিগে লেগস্পিনার না খেলানোয় কোচদের ডেকে পাঠিয়েছে বিসিবি

    জাতীয় লিগে লেগস্পিনার না খেলানোয় কোচদের ডেকে পাঠিয়েছে বিসিবি    

    জাতীয় লিগে লেগস্পিনার কেন খেলানো হচ্ছে না, সে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান। ঢাকা ও রংপুরের দুই কোচকে এজন্য ডেকে পাঠিয়েছে বিসিবি, জবাবদিহিতার জন্য। তবে নাজমুল যে দুজন লেগস্পিনারের কথা বলছেন, সেই জুবাইর হোসেন ও রিশাদ হোসেনের একজন নেই স্কোয়াডেই। ঢাকার স্কোয়াডে থাকা জুবাইর প্রথম রাউন্ডে খেলেননি, দ্বিতীয় রাউন্ডে তিনি খেলবেন বলে বিসিবি ‘নিশ্চিত থাকলেও’ তাকে নামানো হয়নি রংপুরের বিপক্ষে ম্যাচে। আর রিশাদ তার ক্যারিয়ারে খেলেছেন দুটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ, তবে জাতীয় লিগে এখনও খেলেননি তিনি। 

    বিপিএলের এবার বিশেষ সংস্করণে প্রতিটি একাদশে একজন করে লেগস্পিনার খেলানো বাধ্যতামূলক করে দিতে যায় বিসিবি। আজ মিরপুরে এক অনানুষ্ঠানিক সভার পর জুবাইর- ‘রিশাদ’কে ‘না খেলানোর’ প্রসঙ্গ টেনেছেন নাজমুল, “সমস্যা কেন যে হয়, বলা মুশকিল। লেগস্পিনার নিয়ে এতো কথা বলছি। এনসিএলে রিশাদ, লিখন-- ওদেরকে খেলানো হয়নি। এত কিছু বলার পরও। আমরা বলেছি, আমরা তো নিশ্চিত ছিলাম আজকে খেলাবে। কিন্তু খেলানো হয়নি। তাহলে এখানে আমাদের করণীয় কী। এই নিয়ন্ত্রণটা আমাদের হাতে কেন নেই। এনসিএলে কেন খেলানো হয়নি, সেই দুই কোচকে ডাকা হয়েছে আজ। তাদেরকে অবশ্যই উত্তর দিতে হবে।”


    আপডেট- ইএসপিএনক্রিকইনফো বলছে, লেগস্পিনার ইস্যুতে রংপুর কোচ মাসুদ পারভেজ রাজন ও ঢাকা কোচ জাহাঙ্গীর আলমকে এরই মাঝে বহিষ্কার করেছে বিসিবি। তাদের দুজনের জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যথাক্রমে জাফরুল এহসান ও মোহাম্মদ সেলিমকে।  


    “বলে দেওয়ার পরও খেলাচ্ছে না। লেগস্পিনারকে তো খেলাতে হবে। আরও জিনিস আছে। পজিশন আছে। বিপিএল পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে দেখতে চাচ্ছি। আমাদের সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে, এর আগে কোনও ক্রিকেটার পাই কিনা (সেটি দেখব)।”

    লেগস্পিনারের সঙ্গে ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করতে পারা পেসারদের রাখার ব্যাপারটিও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি, “প্রথম কথা স্কোয়াডে থাকতে হবে (লেগস্পিনারদের), স্থানীয় কেউ যদি থাকে। তাহলে অবশ্যই সেরা একাদশে খেলাতে হবে। এছাড়া যেসব পেসার আনি বাইরে থেকে, ফাস্ট বোলার যারা ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করতে পারে নূন্যতম, তাদেরকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। তাদেরকে খেলাব।”

    “এটা একটা প্রস্তুতি। গত ওয়ার্ল্ড কাপ পর্যন্ত একরকম হয়েছে। সেগুলো স্বল্প-মেয়াদী ছিল। এখন দীর্ঘ-মেয়াদী প্রক্রিয়ায় যাচ্ছি। গত বিশ্বকাপে তো দেখা হয়নি। এখন থেকে প্রতিটি খেলায় নতুন ছেলেকে দিয়ে চেষ্টা করে দেখা হবে।”

    লেগস্পিনার-পেসারদের সঙ্গে প্রতিটি দলে ব্যাটসম্যানদের পজিশনও ঠিক করে দিতে চায় বিসিবি, “টপ অর্ডার না, যে যেমন পজিশনে খেলে। ধরেন, মোহাম্মদ মিঠুন। তাকে যদি চার-পাঁচে খেলাবো ভাবি, তাকে সাত-আটে খেলাচ্ছে। প্রত্যেকটা পজিশনে, আমরা যাকে ধারণা করেছি, এখানে ভাল করতে পারে, সেখানে খেলাব।”