মিরাজ-মোস্তাফিজের ফেরার দিনে আবার সেঞ্চুরি সাইফের
ঢাকা বিভাগ-রংপুর বিভাগ
প্রথম দিন শেষে ঢাকা ৩১৪/৪
মাত্রই এ দলের হয়ে শ্রীলংকা থেকে সেঞ্চুরি করে ফিরেছেন। সাইফ হাসান সেই ফর্ম টেনে নিয়ে এলেন জাতীয় লিগেও। আজ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে ঢাকা বিভাগের হয়ে রংপুরের বিপক্ষে পেয়েছেন সেঞ্চুরি। আর তাতেই প্রথম দিন শেষে শক্ত অবস্থানে চলে গেছে ঢাকা বিভাগ।
আজ ঢাকার হয়ে অবশ্য ইনিংসের শুরুটা করেছিলেন আবদুল মজিদ ও রনি তালুকদার। ২০ ওভারের মধ্যে দুজন তুলে ফেলেছিলেন ৬৬ রান, এরপর সোহরাওয়ার্দী শুভর বলে ১৭ রানে ক্যাচ দেন আবদুল মজিদ। রনি এরপর পেয়েছেন ফিফটি, লাঞ্চের আগে ১ উইকেটই হারিয়েছে ঢাকা। তবে দলের রান ১০০ হওয়ার ঠিক আগে সেই শুভ-নাসির যুগলবন্দিতেই ফিরে গেলেন। আউট হয়ে গেছেন ৬৫ রানে। এরপরেই সাইফের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন রকিবুল হাসান।
দুজন মিলে চা বিরতির আগে আর কোনো উইকেট হারাতে দেননি। এর মধ্যে সাইফ ৭৭ বলে পেয়ে গেছেন ফিফটি, আর রকিবুলের ফিফটির জন্য খেলতে হয়েছে ৬৯ বল। তবে রকিবুল থাকেননি বেশিক্ষণ, এর পরেই ফিরে গেছেন ৫৭ রানে। দুজন ১২৭ রান যোগ করেছেন তৃতীয় উইকেট জুটিতে। সাইফ অবশ্য ততক্ষণে সেঞ্চুরির কাছে চলে এসেছেন, শেষ পর্যন্ত ১৪৫ বলে পেয়ে গেছেন ক্যারিয়ারের একাদশ প্রথম শ্রেণি সেঞ্চুরি। ১১টি চারের সঙ্গে ছিল তিনটি ছয়ও। ১২০ রানে অবশ্য আহত অবসরে যেতে হয়েছে তাকে। এরপর তৈয়বুর ফিরেছেন ৩৫ রানে, দিন শেষে অপরাজিত আছেন শুভাগত হোম ও সুমন খান।
********
খুলনা বিভাগ-রাজশাহী বিভাগ
১ম দিন শেষে রাজশাহী ২৬১ রানে অলআউট
বিশ্রাম আর চোট কাটিয়ে অবশেষে খুলনার হয়ে জাতীয় লিগে ফিরেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ আর মোস্তাফিজুর রহমান। প্রথম দিন দুজনেই বল হাতে ছিলেন উজ্জ্বল, মিরাজ অবশ্য ছাড়িয়ে গেছেন সবাইকে। আর তাতেই রাজশাহী প্রথম দিনে অলআউট হয়ে গেছে ২৬১ রানে। ইনিংসের একমাত্র ফিফটি করেছেন জুনাইদ সিদ্দিকী।
অনেক দিন পর আজ নতুন লাল বল হাতে পেয়েছিলেন মোস্তাফিজ। সাফল্য পেয়েছেন নিজের দ্বিতীয় ওভারেই, মিজানুরকে বোল্ড করে পেয়েছেন নিজের প্রথম উইকেট। এরপর দুই অভিজ্ঞ জুনাইদ ও ফরহাদ হোসেন মোটামুটি প্রতিরোধ গড়েছিলেন, দ্বিতীয় উইকেটে দুজন যোগ করেছেন ৮১ রান। ফরহাদকে ৪৫ রানে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে সেই জুটি ভেঙেছেন মোস্তাফিজই।
রাজশাহীর পথ হারিয়ে ফেলার শুরু এর পরেই। নাজমুল হোসেন শান্ত মাত্র ২৩ রান করে বোল্ড হয়ে যান রুবেলের বলে। জুনাইদ এরপর ফিফটি পেয়েছেন, তার আগে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের ৭ হাজার রানও হয়ে গেছে। কিন্তু ৫১ রান করেই বোল্ড হয়ে গেছেন মিরাজের বলে। এরপর শাকির হোসেনকে বোল্ড করে নিজের প্রথম উইকেট পেয়েছেন আবদুর রাজ্জাক। মুশফিক ছিলেন ভরসা হয়ে, কিন্তু ২৪ রান করে এলবিডব্লু হয়ে গেছেন আল আমিনের বলে। ১৭০ রানে তখন ৬ উইকেট নেই রাজশাহীর।
অবস্থাটা আরও খারাপ হতে দেননি ফরহাদ রেজা ও সানজামুল। দুজন সপ্তম উইকেটে যোগ করেছেন ৫৬ রান, এর মধ্যে ফরহাদ প্রথম শ্রেণিতে পেয়ে গেছেন পাঁচ হাজার রানও। শেষ পর্যন্ত সানজামুলকে ২৩ রানে ফিরিয়ে জুটি ভেঙেছেন মিরাজ, এরপর ফরহাদকেও আউট করেছেন ৪১ রানে। রাইজুল নিজের ব্যাটিং সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়ে করেছেন ২৯, প্রথম শ্রেণিতে নিজের এক হাজার রানও হয়ে গেছে। এরপর মিরাজের চতুর্থ শিকার হয়ে ফিরে গেছেন। আর শফিউলকে আউট করে লেজটা ছেঁটে দিয়েছেন রুবেল।