'দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা', সঙ্গে 'এক্সপেরিমেন্ট' করতে চায় বিসিবি
পরের বিশ্বকাপ সামনে রেখে জাতীয় দল নিয়ে ‘এক্সপেরিমেন্ট’ বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান। এসব সামনে রেখে বিভিন্ন 'দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা' গ্রহণ করছেন তারা। সেক্ষেত্রে তাদের মূল নজরটা হবে গোড়ার দিকে, এইচপি থেকে শুরু করে বয়সভিত্তিক দলে। তারই ধারাবাহিকতায় ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিটনেসের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিশ্বকাপের পর কোচরা ফিল্ডিংয়ে উন্নতির জন্য ফিটনেসের ওপর জোর দিতে বলেছিলেন, “ফিল্ডিং নিয়ে কোচ সাজেশন দিয়েছিল যে, ফিটনেস (এর দিকে নজর দিতে)। (তাদের ফিল্ডিংয়ের) বেসিক (ঠিক) নাই। ৪-৫ জন আছে, যারা নাকি বেসিক-ই জানে না। ৪-৫ জন আছে, থ্রো করতে পারে না। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এসে যদি বিশ্বকাপে এসব শেখাতে হয়! এসব তো নিচের থেকে আসতে হয়। তাই ভিন্ন দিক দিয়ে শুরু করছি।”
“আগে জাতীয় দল নিয়েই শুধু ভাবতাম। এখন মূল লক্ষ্য হচ্ছে- প্রত্যেকটা সেক্টরেই ভাল কোচ, ট্রেইনার দিতে চাই।”
জাতীয় ক্রিকেট লিগে গতবারের মতো এবারও হয়েছে বিপ টেস্ট, তবে শেষ মুহুর্তে গিয়ে এটির সিদ্ধান্ত জানানোয় কিছুটা ‘অপ্রস্তুত’ ছিলেন ক্রিকেটাররা। নাজমুল বলছেন, পরের বছর থেকে আগেই জানিয়ে দেওয়া হবে এটি, সঙ্গে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগেও থাকবে বিপ টেস্ট।
ক্রিকেটারদের ফিটনেস রক্ষায় অবকাঠামোর উন্নয়নও করার কথা বলেছেন তিনি, “প্রিমিয়ার ডিভিশনেও ফিটনেস টেস্ট পাশ করেই আসতে হবে। সব টেস্ট ঢাকায় হবে। বাইরে দিলে হবে না। তাদের উন্নতি করা উচিৎ। শ্রীলঙ্কায় গেল যে দলটা, তারা জিতে এসেছে-- কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে গিয়েই দেখি আর পারছে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এসব গ্রহণযোগ্য না। তবে আমার বিশ্বাস ওরা পারবে। বিশেষ করে পেসাররা। ফিটনেসে যদি হাত না দেই, তাহলে চলবে না।”
বিসিবিতে নিয়মিত মিটিংয়ের পর নাজমুল জানিয়েছেন, “অবকাঠামো নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সবই করব। কিছু জিনিস প্রস্তুত না হয়েও বলতে হচ্ছে যে আমরা করব। কিন্তু একটা জায়গায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ২০২১ সালে যে দলটা নিতে চাই, সেটা দরকার।”
“আর নতুন ছেলের খোঁজ চলবে”, বলছেন নাজমুল, “‘এক্সপেরিমেন্ট’ হবে। এতদিন শুধু জেতার জন্য খেলেছি। এখন আমরা এক্সপেরিমেন্ট করব। অনেক কিছু হচ্ছে। অনেক কিছু হবে। হয়তো মনে হবে, কেন হচ্ছে। কিন্তু এগুলো দীর্ঘমেয়াদি। ২০২০ পর্যন্ত অনেক কিছুই হবে। কিন্তু ২০২১ সালে গিয়ে আমরা যে দলটা বানাবো, সেটা ২০২২ (২০২৩) বিশ্বকাপ খেলার জন্য দৃঢ় দল বানাব।”
ঘরোয়া ক্রিকেটে অবকাঠামোর সঙ্গে আসে ক্রিকেটারদের আর্থিক দিকও। নাজমুল বলছেন, প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিনিয়োগ বাড়িয়েছেন তারা, বাড়াবেন আরও, “যথেষ্ট বলে কিছু নেই। যতো বেশি দেন, ততো ভাল। যতো দেন, মনে হবে যে আরেকটু দিলে ভাল হতো। আগে কী ছিল? আমরা এসে প্রত্যেকটা জায়গায় অনেক বিনিয়োগ করেছি। আমরা সব জায়গায় বাড়িয়েছি। শুধু ছেলেদের না। মেয়েদেরও। এটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। বাড়বে ধীরে ধীরে।”