• জাতীয় ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    সাইফের ডাবল সেঞ্চুরি, ইমরুলের ৭ রানের আক্ষেপ

    সাইফের ডাবল সেঞ্চুরি, ইমরুলের ৭ রানের আক্ষেপ    

    ১ম স্তর, ২য় দিনশেষে
    ঢাকা ১ম ইনিংস ৫৫৬/৮ ডিক্লে. 
    রংপুর ১ম ইনিংস ৭১/২*
    রংপুর ৪৮৫ রানে পিছিয়ে 


    সাইফ হাসানের ডাবল সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়ার পর সালাউদ্দিন শাকিলের জোড়া আঘাতে রংপুরকে চেপে ধরেছে ঢাকা, যদিও লিটন দাস দিচ্ছেন অন্যরকমের ইঙ্গিত। ৫৫৬ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছিল ঢাকা, এরপর রংপুর ৭১ রান তুলেছে ২ উইকেট হারিয়ে। 

    ৩১৪ রানে প্রথম দিন শেষ করা ঢাকাকে এদিন রংপুর একটু চেপে ধরতে পেরেছিলেন সনজিত সাহার জোড়া আঘাতে। শুভাগত হোমের সঙ্গে এদিন আরও ৩৫ রান যোগ করে প্রথমে সনজিতের বলে স্টাম্পড হয়েছিলেন সুমন খান, ২ বল পর ক্যাচ দিয়েছিলেন শুভাগত। 

    সুমন আউট হওয়ার পরই আবার নেমেছিলেন সাইফ, গতকাল ১২০ রান করে উঠে গিয়েছিলেন হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট নিয়ে। এরপর নাদিফ চৌধুরির সঙ্গে ৭ম উইকেটে সাইফ তুলেছেন ১০০ রান, সোহরাওয়ার্দি শুভর বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে নাদিফ করেছেন ৭৫ বলে ৬১ রান। এ ম্যাচ দিয়েই জাতীয় লিগ শুরু হলো ঢাকা অধিনায়ক নাদিফের, প্রথম ম্যাচ তিনি খেলতে পারেননি বিপ টেস্টে পাশ করতে না পেরে। 

    এরপরের দুই উইকেটে জয়রাজ শেখ ও নাজমুল ইসলামের সঙ্গে যথাক্রমে ৫০ ও ৫৬* রানের জুটি গড়েছেন সাইফ। চা-বিরতির আগে তিনি অপরাজিত ছিলেন ১৮৯ রানে, এরপর তানভীর হায়দারের বলে ডাবলস নিয়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন ৩১৬ বলে। ২০১৬-১৭ জাতীয় লিগে ঢাকার হয়েই বরিশালের বিপক্ষে ২০৪ রান করেছিলেন এর আগে সাইফ। 

    ১৬০ ওভার ব্যাটিং করেছে ঢাকা, রংপুরের ৮ম বোলার মাহমুদুল হাসানই করেছেন ১৯ ওভার। ৮৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরের সেরা বোলার সনজিত, শুভ ৩ উইকেট নিয়েছেন ১৮৯ রানে। একটি উইকেট নিয়েছেন মাহমুদুল। 

    প্রথম ইনিংসে রংপুরের ব্যাটিংয়ে একদিকে হামিদুল ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান ফিরলেও ঝড়ো ফিফটি করেছেন লিটন। দিনশেষে ৬৪ বলে ৫১ রানে অপরাজিত আছেন তিনি, মেরেছেন ৮টি চার। তবে ঢাকার কাছাকাছি যেতে লিটন বা কাউকে খেলতে হবে সাইফের মতো কোনও বড় ইনিংস। 


    ****


    ১ম স্তর, ২য় দিনশেষে
    রাজশাহী ১ম ইনিংস ২৬১ অল-আউট
    খুলনা ১ম ইনিংস ২২৭/৬*
    খুলনা ১ম ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়ে ৩৪ রানে পিছিয়ে 


    আগের ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি, এবার সেঞ্চুরি-- ইমরুল কায়েসের জন্য কী দারুণ ব্যাপারই না হতে পারত! অবশ্য ৭ রানের জন্য সেটি হয়নি, খুলনার ব্যাটসম্যান হয়েছেন রান-আউট-- আফসোসটা হয়তো আরেকটু বেড়েছে তাতেই! এমনিতে খুলনার মন্থর দিনে ম্যাচে অবস্থা দুই দলেরই প্রায় সমান। 

    আগের দিন ২৬১ রান রাজশাহী অল-আউট হয়ে যাওয়ার পর এদিন নেমেছিল খুলনা। শফিউল ইসলামের বলে বোল্ড হয়ে শূন্যতেই ফিরেছেন সৌম্য, সময়টা ভাল যাচ্ছে না তার। এনামুল হক বিজয় ও ইমরুল ২য় উইকেটে যোগ করেছেন ৭৫ রান, তাইজুলের বলে ৩৪ রান করে এনামুল বোল্ড হওয়াতে ভেঙেছে সে জুটি। 

    তৃতীয় উইকেটে তুষার ইমরান ও ইমরুল যোগ করেছেন আরও ৮৫ রান। সে জুটি ভেঙেছে ইমরুলের রান-আউটে। ১৯০ বলে ১০ চারে ৯৩ রান করেছিলেন ইমরুল। এরপর আরও তিন উইকেট নিয়েছে রাজশাহী, তুষারের পর নুরুল ছাড়া সে অর্থে থিতুও হতে পারেননি আর কেউ। সানজামুলকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন, ৪ রান করে। তাইজুলকে ক্যাচ দিয়েছেন ৪৩ রান করা তুষার, আর ৪২ বলে ৫ রান করে শফিউলের শিকার হয়েছেন মিরাজ। 

    দিনশেষে ৩৫ রানে অপরাজিত থাকা নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গী ৭ রানে ব্যাটিং করা অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাক। এদিন ৯০ ওভারে ২.৫২ হারে রান তুলেছে খুলনা।