রনির ৫ উইকেট, অঙ্কনের ৯১, সিলেটের লড়াই
২য় স্তর, ২য় দিনশেষে
চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস ৩৫৬
বরিশাল ১ম ইনিংস ১০৪/৪*
বরিশাল ১ম ইনিংসে ২৫২ রানে পিছিয়ে ৬ উইকেট নিয়ে
মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ৯১, ইয়াসির আলি রাব্বির ৭০, মাসুম খানের অপরাজিত ৫০ রানে প্রথম ইনিংসে ৩৫৬ রান তোলার পর হঠাৎ ঝড়ে বরিশালের ৪ উইকেট নিয়েছে চট্টগ্রাম, এ ম্যাচ দিয়েই খেলায় ফেরা নাঈম হাসান নিয়েছেন ২ উইকেট। ৯২ রানে ১ উইকেট থেকে ৯৫ রানে ৪ উইকেটে পরিণত হয়েছিল বরিশাল, দিনশেষে তাদের রান ১০৪।
আগের দিনের স্কোরের সঙ্গে আর ৯৫ রান যোগ করতে পেরেছিল এদিন চট্টগ্রাম, বাকি ৬ উইকেট নিয়ে। সকালে দ্রুতই ফিরেছিলেন ইয়াসির, আগের দিনের সঙ্গে আর মাত্র ২ রান যোগ করার পর। অঙ্কন ও মাসুম খান ৬ষ্ঠ উইকেটে তুলেছিলেন ৩৯ রান। মনির হোসেনের বলে ক্যাচ দিয়ে ৯ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেছেন অঙ্কন, ১৫৮ বল খেলে ৮টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ২টি ছয়।
এরপর শেষ ৪ ব্যাটসম্যানকে আর ৫২ রান যোগ করতে পেরেছেন মাসুম। শেষ পর্যন্ত ৫০-এর ওপরে যেতে পারেননি তিনি সঙ্গীর অভাবেই। ৯৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ইনিংসে বরিশালের সেরা বোলার মনির, শেষদিকে এসে মোসাদ্দেক হোসেন নিয়েছেন ২ উইকেট।
জবাবে ২৯ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছে আগের রাউন্ডে একমাত্র জয় পাওয়া দল বরিশাল। শাহরিয়ার নাফীস ক্যাচ দিয়েছেন নোমান চৌধুরির বলে। ফজলে রাব্বি ও রাফসান মাহমুদের জুটি এগিয়ে নিচ্ছিল বরিশালকে, তাদের ৬৩ রানের জুটি ভেঙেছেন নাঈম হাসান, রাব্বিকে এলবিডব্লিউ করে। পরে নাঈম ফিরিয়েছেন ৪৯ রান করা রাফসান মাহমুদকেও। আর মাঝে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে আসা কামরুল ইসলাম রাব্বির উইকেট নিয়েছেন মিনহাজুল আবেদিন আফ্রিদি। দিনশেষে অপরাজিত আছেন মোহাম্মদ আশরাফুল ও মোসাদ্দেক হোসেন, দুজনেরই রান ৪।
****
ঢাকা মেট্রো-সিলেট
ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস ২৪৬ অল-আউট ও ৯/০*
সিলেট ১ম ইনিংস ৩১৯ অল-আউট
আগের রাউন্ডে একমাত্র দল হিসেবে হেরেছিল সিলেট, মূলত তাদের ডুবিয়েছিল ব্যাটিং-ব্যর্থতা। বগুড়ায় আবারও তাদের চোখ রাঙাচ্ছিল সেই ব্যর্থতা, ৭ রানেই তারা হারিয়ে ফেলেছিল ২ উইকেট। তবে তৌফিক খান, জাকির হাসান, অলক কাপালি ও জাকের আলির চার ফিফটিতে প্রথম ইনিংসে ৬৩ রানের লিড নিয়েছে সিলেট। অবশ্য তাদেরকে আরও বেশিদূর এগুতে দেননি দুই পেসার-- আবু হায়দার রনি নিয়েছেন ৫ উইকেট, ৩টি নিয়েছেন শহিদুল ইসলাম।
আগের দিন ০ রানেই ১ উইকেট হারানো সিলেট এদিন শুরুতেই হারিয়ে ফেলে এনামুল হক জুনিয়রকেও। তৌফিক ও জাকির এরপর যোগ করেছেন ১১৯ রান, ৬১ রান করে আবু হায়দারের বলে ক্যাচ দিয়েছেন তৌফিক। জাকির ও কাপালির জুটি অবশ্য টেকেনি বেশিক্ষণ, ৭১ রান করে আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন জাকির।
আফিফ হোসেনের সঙ্গে কাপালির জুটি ৩৫ রানের, তবে ঢাকা মেট্রোকে ভুগিয়েছে সিলেটের এরপরের জুটিটি, যেখানে কাপালির সঙ্গে জাকের তুলেছেন ৯৯ রান। প্রথমে কাপালি ফিরেছেন ৫৪ রান করে, শহিদুলের বলে। এরপর রাহাতুল ফেরদৌস ও আবু জায়েদকে ফিরিয়েছেন আবু হায়দার, ২ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট হারিয়েছে সিলেট। জাকের শেষ পর্যন্ত করেছেন ৭১ রান, শেষদিকে রেজাউরের ২০ বলে ১৯ রানে সিলেট গিয়েছিল ৩১৯ রান পর্যন্ত। রনি ৫ উইকেট নিয়েছেন ৫৫ রানে, ক্যারিয়ারে এটি দ্বিতীয় ৫ উইকেট তার। শহিদুল ৩ উইকেট নিয়েছেন ৪৮ রানে।
শেষবেলায় ৭ ওভার ব্যাটিং করেছে ঢাকা মেট্রো, দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও রাকিন আহমেদ থেকেছেন নিরাপদই।