ড্র ম্যাচে শুধু শুভর একজন সঙ্গী ও ৮ রানের আক্ষেপ
১ম স্তর, চট্টগ্রাম
ঢাকা ১ম ইনিংস ৫৫৬/৮ ডিক্লে. ও ২য় ইনিংস ১০/০
রংপুর ১ম ইনিংস ৫০৮
ম্যাচ ড্র
ড্র ছাড়া চট্টগ্রামে অন্য কোনও ফল হলে সেটি হতো বেশ নাটকীয়। তেমন কিছু হয়নি। ঢাকা-রংপুরের ম্যাচে শুধু ৮ রানের আক্ষেপে পুড়েছেন সোহরাওয়ার্দি শুভ। আট নম্বরে নেমে ক্যারিয়ারের ৫ম সেঞ্চুরির খুব কাছে চলে গিয়েছিলেন এই বাঁহাতি, তবে তাকে সঙ্গ দেওয়ার মতো থাকেননি রংপুরের কেউ। ১ম ইনিংসে ৪৮ রানের লিড নেওয়ার পর ৩ ওভার ব্যাটিং করেছে ঢাকা, এরপরই ড্র মেনে নিয়েছে দুই দল। দ্বিতীয় ইনিংসে আব্দুল মজিদের সঙ্গে নাজমুল ইসলাম অপুকে ওপেনিংয়ে পাঠিয়েছিল ঢাকা।
তৃতীয় দিনশেষে রংপুর ২২২ রানে পিছিয়ে ছিল ৫ উইকেট বাকি রেখে। আগের দিন যেখান থেকে শেষ করেছিলেন, এদিন যেন সেখান থেকেই শুরু করলেন নাঈম ইসলাম ও তানভীর হায়দার। হুট করেই ৩ বলের ব্যবধানে ফিরে গেছেন দুজন। প্রথমে ৩২৪ বলে ১৩ চার ও ১ ছয়ে ১৩৫ রান করে সালাউদ্দিন শাকিলের বলে ক্যাচ দিয়েছেন নাঈম, এরপর তানভীর হায়দার শুভাগত হোমের বলে ক্যাচ দেওয়ার করেছেন ১৪৫ বলে ৯ চারে ৭৮ রান।
তাইবুর রহমানও ফিরেছেন দ্রুতই, সাজিদুল ইসলামের বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে তিনি করেছেন ১১ রান। শুভকে এরপর দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন রবিউল হক। লাঞ্চে রংপুর গেছে ২ উইকেট হাতে নিয়ে, ১৫২ রানে পিছিয়ে থেকে।
শুভ-রবিউলের জুটিতে উঠেছে ৯৬ রান, ১০৭ বল খেলে ৩৪ রান করে নাজমুলের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন রবিউল। সেঞ্চুরি থেকে তখনও ২০ রান দূরে ছিলেন শুভ। সনজিত সাহা এসে শুভকে সমর্থন দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, নাজমুল ইসলামের বলে বোল্ড হয়েছেন তিনি মুখোমুখি হওয়া ২৩ বলে। ওপাশে দাঁড়িয়ে থাকা শুভ তখন ১৯৮ বলে ৯২ রানে অপরাজিত, ৫ টি চারের সঙ্গে মেরেছিলেন ১টি ছয়। ক্যারিয়ারে এই প্রথম নড়বড়ে নব্বইয়ে কাটা পড়তে হলো তাকে।
এ ম্যাচে ৩.৪ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম স্তরের টেবিলের দুইয়ে আছে ঢাকা, মোট ৬.৯৪ পয়েন্ট তাদের। তিনে থাকা রংপুরের পয়েন্ট ৫.২২।