নাঈম-নোমান হুমকি কাটিয়ে ড্র বরিশালের
২য় স্তর, ফতুল্লা
চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস ৩৫৬ ও ২য় ইনিংস ১৯৫/৬ ডিক্লে.
বরিশাল ১ম ইনিংস ২১৬ ও ২য় ইনিংস ১৭৪/৭
ম্যাচ ড্র
১১৩ রানে ১ উইকেট থেকে বরিশাল হুট করেই পরিণত হলো ১২৭ রানে ৬ উইকেটে। চট্টগ্রাম হয়তো স্বপ্ন দেখছিল, নাঈম হাসান-নোমান চৌধুরিরা এনেছিলেন জয়ের সুবাস। তবে মোসাদ্দেক হোসেন ও শামসুল ইসলামের ৭ম উইকেট জুটি হতাশ করলো তাদের, ফতুল্লায় দুই দলের ম্যাচ শেষ পর্যন্ত হলো ড্র-ই। তবে উঠে গেল প্রশ্ন, চট্টগ্রাম কি পারতো না আরেকটু আগে ইনিংস ঘোষণা করতে?
আগের দিনই বোর্ডে ১৯০ রানে এগিয়ে ছিল চট্টগ্রাম, এদিন তারা ব্যাটিং করেছে আরও ২৮ ওভার। সে ২৮ ওভারে অবশ্য তারা রান তুলেছে ৫.১৭ হারে। পিনাক ঘোষ পেয়েছেন ফিফটি, ৭৪ বলে করেছেন ৫৪ রান। মুমিনুল হক করেছেন ৪৯ বলে ৩০, ৫২ বলে ৪৩ রান করেছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। মাসুম খান অপরাজিত ছিলেন ২২ বলে ২৭ রান করে। ৪৩ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন কামরুল ইসলাম রাব্বি, ১টি করে নিয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল, নুরুজ্জামান, মনির হোসেন ও তানভীর ইসলাম।
৩৩৬ রানের লক্ষ্যে প্রথম ওভারেই চট্টগ্রাম হারিয়ে ফেলেছে রাফসান আল মাহমুদকে, নাঈমের বলে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি কোনও রান না করেই। ২য় উইকেটে এরপর প্রতিরোধ গড়েছিলেন শাহরিয়ার নাফীস ও মোহাম্মদ আশরাফুল। দ্বিতীয় সেশনে একটি উইকেটও হারায়নি আর বরিশাল।
এ দুজনের ১১৩ রানের জুটি ভেঙেছেন মাসুম খান, ১০৮ বলে ৬০ রান করে তার বলে বোল্ড হয়েছেন আশরাফুল। এরপর আবার তোপ শুরু করেছিলেন নাঈম, তার বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে নাফীস করেছেন ১৩১ বলে ৪২ রান। মাঝে নুরুজ্জামান ও সোহাগ গাজিকে আউট করেছেন নোমান চৌধুরি, নুরুজ্জামান ক্যাচ দিয়েছেন, সোহাগ হয়েছেন হিট-উইকেট। এরপর ফজলে রাব্বিকে এলবিডব্লিউ করে চট্টগ্রামের আশা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন নাঈম।
সে আশায় গুঁড়েবালি হলো মোসাদ্দেক-শামসুলের জুটিতে। যতক্ষণে মোসাদ্দেক ক্যাচ দিলেন নাঈমকে, ততক্ষণে বিদায়ঘন্টা বেজে গেছে ম্যাচের। সেটিই হয়ে থেকেছে ম্যাচের শেষ বল।
এ ম্যাচ দিয়ে ৩.৯ পয়েন্ট পেয়েছে চট্টগ্রাম, বরিশাল পেয়েছে ২.৫ পয়েন্ট। তবে এর সঙ্গে জয়ের ৮ পয়েন্টের আক্ষেপটা কি থেকে গেল চট্টগ্রামের?