• বাংলাদেশের ভারত সফর
  • " />

     

    গ্রামীণফোনের সাথে চুক্তিতে সাকিবকে আইনি নোটিশ পাঠাচ্ছে বিসিবি

    গ্রামীণফোনের সাথে চুক্তিতে সাকিবকে আইনি নোটিশ পাঠাচ্ছে বিসিবি    

    ক্রিকেটারদের ১৩ দফা দাবি নিয়ে সাকিব আল হাসানদের সাথে বিসিবির বড় ধরনের একটা টানাপোড়নই গেলো গত সপ্তাহে। শেষ পর্যন্ত ক্রিকেটারদের সাথে ঝামেলা মিটে গেলেও সাকিবের সাথে নতুন করে দ্বন্দ্বের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন, টেলিকম কোম্পানি গ্রামীণফোনের সাথে চুক্তি করায় সাকিবের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বোর্ড। 

    গ্রামীণফোনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ২৩ অক্টোবর নতুন একটি চুক্তি করেছে সাকিব। ডিজিটাল সমাজ নির্মাণে সবাইকে উজ্জীবিত করাই হবে তার কাজ। তবে বিসিবির নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ক্রিকেটার টেলিফোন কোম্পানির সাথে চুক্তি করতে পারবেন না। 

     নাজমুল হাসান কালের কণ্ঠকে বলেছেন, নিয়ম ভেঙে গ্রামীণফোনের সাথে চুক্তি করেছেন সাকিব, ‘সাকিব টেলিকম কোম্পানির সাথে চুক্তি করতে পারে না। কেনো সে এটা করতে পারে না সেটা আমাদের চুক্তিপত্রে পরিষ্কার বলা আছে। রবি আমাদের টাইটেল স্পন্সর ছিল। গ্রামীণফোন এই নিলামে অংশ নেয়নি, উল্টো আমাদের কয়েকজন ক্রিকেটারকে দুই-এক কোটি টাকা দিয়ে বাগিয়ে নিয়েছে। শেষ পর্যন্ত কী হলো? তিন বছরে বোর্ডের ৯০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্রিকেটাররা লাভবান হলেও বোর্ডের ক্ষতি হচ্ছে। এটা হতে দেওয়া যায় না। মন্ত্রণালয় থেকেও নির্দেশ আছে ক্রিকেটাররা যেন এরকম চুক্তি না করে। তাহলে সাকিব কীভাবে আমাদের না জানিয়ে এই চুক্তি করলো? আর চুক্তির সময়টা দেখুন, যখন ক্রিকেটাররা সবাই ধর্মঘটে ছিল।’ 

    সাকিবের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারেও জানিয়েছেন নাজমুল হাসান, ‘আমরা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এরকম ব্যাপারে আমরা কাউকে ছাড় দিতে রাজি নই। গ্রামীণফোন ও সাকিব দুই পক্ষের কাছেই জানতে চাইব কেনো তারা এমনটা করেছে। আমি এটা ২৩ অক্টোবর শুনেছিলাম। এরপর সাকিব ও গ্রামীণফোনকে লিগাল নোটিশ পাঠাতে বলেছি। আমরা চাই সাকিব আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পান। তবে আমরা যদি জানতে পারি এটা সে বোর্ডকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর জন্য করেছে, তাহলে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নেব।’ 

    এদিকে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী ক্রিকবাজকে জানিয়েছেন, সাকিবের ঐ চুক্তির ব্যাপারে বোর্ড কিছুই জানতো না, ‘গ্রামীণফোনের সাথে সাকিবের চুক্তির ব্যাপারে আমরা কিছুই জানতাম না। আমরা এরকম টেলিকম কোম্পানির সাথে ক্রিকেটারদের চুক্তি করাকে উৎসাহিত করি না। এটা জাতীয় দলের স্পন্সরদের সাথে সাংঘর্ষিক একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। এই মুহূর্তে ইউনিলিভার আমাদের জাতীয় দলের স্পন্সর, কিন্তু সেটার মেয়াদ দ্রুতই শেষ হচ্ছে। আমাদের ক্রিকেটাররা যদি টেলিকম কোম্পানির সাথে চুক্তি করে, তাহলে অন্য টেলিকম কোম্পানি জাতীয় দলের স্পন্সর হতে চাইবে না।'