• জাতীয় ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    সুযোগ পেয়ে ৫ উইকেট পেলেন রিশাদ, বিজয়ের সেঞ্চুরি

    সুযোগ পেয়ে ৫ উইকেট পেলেন রিশাদ, বিজয়ের সেঞ্চুরি    

    ১ম দিন শেষে রাজশাহী বিভাগ ২০১ অলআউট

    রংপুর বিভাগ ৩২/২

     

    কদিন থেকেই নিম্নচাপের প্রভাবে সারাদেশে ঝিরঝিরে বৃষ্টি। সেটা আজও ছিল, জাতীয় লিগের দ্বিতীয় স্তরে বগুড়ায় বরিশাল-ঢাকা মেট্রো এবং রাজশাহীতে চট্টগ্রাম-সিলেটের ম্যাচ দুইটির টসি হয়নি। অথচ কক্সবাজারে সকাল থেকে রোদ, সেখানে প্রথম স্তরের দুইটি ম্যাচ হয়ে গেছে নির্বিঘ্নে। খুলনার হয়ে সেঞ্চুরি পেয়েছেন এনামুল হক বিজয়। তবে দিনের সবচেয়ে বড় ঘটনা সম্ভব লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের ৫ উইকেট।

    রিশাদ হোশেন বলেই এই ৫ উইকেট নিয়ে আলোচনা একটু বেশি হচ্ছে। জাতীয় লিগের আগের রাউন্ডেই একাদশে কোনো লেগ স্পিনার না রাখার জন্য বরখাস্ত হয়েছিলেন ঢাকার কোচ জাহাঙ্গীর আলম এবং রংপুর কোচ মাসুদ পারভেজ রাজন। বিসিবি থেকে লেগ স্পিনার খেলানোর এই শক্ত নীতির পক্ষে এসেছিল মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এক জাতীয় দৈনিককে সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ দলের কোচ রাসেল ডমিঙ্গোই বলেছিলেন, জোর করে লেগ স্পিনার খেলানো উচিত কি না সেটি নিয়ে তিনি নিশ্চিত নন। আজ লেগ স্পিনার রিশাদ সুযোগ পেলেন, নিজের তৃতীয় প্রথম শ্রেণির ম্যাচেই পেলেন ৫ উইকেট। ঢাকার হয়ে সুযোগ পেয়েছেন লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেন লিখনও, তবে তিনি পেয়েছেন কেবল এক উইকেট।

    রাজশাহীর বিপক্ষে রংপুরকে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছেন সাজেদুল ইসলাম। সাব্বির হোসেনকে ৫ রানে বোল্ড করেছেন, এরপর জুনাইদ সিদ্দিকীকে ৭ রানে ক্যাচ বানিয়েছেন উইকেটের পেছনে। ২৯ রানে তখন ২ উইকেট নেই রাজশাহীর। এরপর মিজানুর রহমান ও নাজমুল হোসেন শান্ত হাল ধরেছিলেন কিছুক্ষণ, তৃতীয় উইকেটে দুজন যোগ করেছিলেন ৪৬ রান। মিজানুরকে ২৪ রানে ফিরিয়ে নিজের প্রথম উইকেট পেয়েছেন রিশাদ। বড় ধাক্কাটা দিয়েছেন এর পরেই, ৩৪ রানে এলবিডব্লু করেছেন শান্তকে। ৮২ রানে তখন ৪ উইকেট নেই রাজশাহীর। সাব্বির রহমান ভারত সিরিজের জন্য জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছেন আগেই, আজও রান পেলেন না। আগের ম্যাচে বাদ পড়ার পর আজ করলেন মাত্র ৮ রান। সেই উইকেটও রিশাদের, সেটি ছিলতার তৃতীয় উইকেট।

    সানজামুলও এরপর টেকেননি বেশিক্ষণ, ১০ রানে আউট হয়ে রিশাদকে দিয়ে এসেছেন তার চতুর্থ উইকেট। এরপর টেল এন্ডারদের নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন অধিনায়ক ফরহাদ হোসেন। তবে কেউই বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি। মুক্তার আলী হয়েছেন রান আউট, শাকির হোসেন স্টাম্পড হয়ে গেছেন সোহরাওয়ার্দী শুভর বলে। ফরহাদ ৬০ রান করে আউট হয়েছেন রিশাদের বলে, পঞ্চম উইকেট পেয়েছেন এই লেগ স্পিনার। ২০১ রানে অলআউট হয়ে গেছে রাজশাহী। ব্যাট করতে নেমে রংপুরের শুরুটাও ভালো হয়নি, ৩২ রানের ভেতর হারিয়ে ফেলেছে ২ উইকেট।

                                                  *******

     

    ১ম দিন শেষে

    খুলনা বিভাগ ৯১ ওভারে ২৯০/৬


    ঢাকার বিপক্ষে শুরুটা ভালো হয়নি খুলনার। ১৬ রানের ভেতর সুমন খান তুলে নেন ওপেনার রবিউল ইসলাম রবি ও মাহেদী হাসানকে। এরপরেই এনামুল হক বিজয় ও তুষার ইমরানে ঘুরে দাঁড়ায় খুলনা। লাঞ্চের আগে আর কোনো উইকেট হারাতে দেননি দুজন, পরের সেশনেও অনেকটা সময় অবিচ্ছিন্ন ছিলেন। দুজন তুলেছেন ১৬৬ রান, ৫৫ রানে এরপর আউট হয়েছেন তুষার। নুরুল হাসান এরপর টেকেননি বেশিক্ষণ, ১ রান করে আউট হয়েছেন তাইবুরের বলেই। ৩ উইকেটে ২০৩ রান নিয়ে চা বিরতিতে গেছে খুলনা।

    ততক্ষণে সেঞ্চুরি পেয়ে গেছেন এনামুল হক বিজয়, ১১২ রান করে আহত হয়ে মাঠ ছেড়েছেন। মোহাম্মদ মিঠুন ৪৮ বলে ৪৫ রান করে ফেলেছিলেন, তাকে ফিরিয়েছেন লিখন। জিয়া ২৭ রান করে ফিরেছেন সালাউদ্দিন শাকিলের বলে। দিন শেষে ৩০ রানে ব্যাট করছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৪ রানে ব্যাট করছিলেন আবদুর রাজ্জাক