• বাংলাদেশের ভারত সফর
  • " />

     

    সাকিবের শাস্তির ব্যাপারে এখনও বিসিবিকে কিছু জানায়নি আইসিসি

    সাকিবের শাস্তির ব্যাপারে এখনও বিসিবিকে কিছু জানায়নি আইসিসি    

    ক্রিকেটারদের ধর্মঘট, এরপর গ্রামীণফোনের সাথে চুক্তিসংক্রান্ত কারণে বিসিবির সঙ্গে জটিলতা- এসব মিলেই সাকিব আল হাসানের ভারতে যাওয়া নিয়ে দানা বাঁধছিল সংশয়ের মেঘ। কিন্তু ধাক্কাটা এলো একদম অন্য দিক থেকেই। জুয়াড়ির কাছ থেকে অনৈতিক প্রস্তাব পাওয়ার খবর আইসিসিকে না জানানোয় নিষেধাজ্ঞা পেতে যাচ্ছেন সাকিব বলে জানিয়েছে আজ দেশের একটি শীর্ষ পত্রিকা। বিসিবি থেকে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু নিশ্চিত করা হয়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেছেন, এখনো আইসিসির কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বার্তা পায়নি বিসিবি। পেলে সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবে তারা। এদিকে ক্রীড়মন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, সাকিবের পাশেই আছেন তারা।

    সাকিবকে নিয়ে বড় কোনো খবর যে আসছিল, সেই আভাস পাওয়া যাচ্ছিল বিভিন্নভাবে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান দেশের এক শীর্ষ দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, আরও বড় খবর আসছে সামনে। ম্যাচ ফিক্সিং নিয়ে আভাস দিয়েছিলেন ওই সাক্ষাৎকারে। এর মধ্যে সাকিব একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেছিলেন, চাপমুক্তির অভিনয় করে যাচ্ছেন তিনি। তবে আইসিসির এই অভিযোগ এলো বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো। জানা গেছে, দুই বছর আগে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব। আইসিসির আইন অনুযায়ী, এরকম প্রস্তাব পেলে সেটি দুর্নীতি দমন ইউনিট আকসুকে জানিয়ে দেওয়ার নিয়ম। কিন্তু সাকিব সেটি জানাননি। ভুলে হোক আর যে কোনো কারণেই হোক, ব্যাপারটা তিনি জেনে গিয়েছিলেন। পরে ব্যাপারটা আইসিসি জানতে পেরে তদন্ত শুরু করে। সাকিবও এরপর তার ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন। এবং আইসিসির তদন্তে সহায়তাও শুরু করেছেন। তবে শাস্তিটা এড়াতে পারছেন না সম্ভবত।

    পুরো ব্যাপারটা নিয়ে এর মধ্যেই দফায় দফায় সাকিবের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে বিসিবি কর্তাদের। সাকিবকে সব ধরনের আইনি সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। সাকিবও শুরু থেকে তদন্তকাজে সহায়তা করেছেন বলে শাস্তিটা নূন্যতম হতে পারে বলে জানাচ্ছে বাংলাদেশের শীর্ষ ওই পত্রিকা। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী এক্ষেত্রে ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত সাজার বিধান আছে। এই বিপিএলেই ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব গোপন করার জন্য শ্রীলংকার ক্রিকেটার কৌশল লোকুয়ারাচ্চিকে ১৮ মাস নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

     ২০১০ সালেও একবার ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব। সেবার আকসুকে জানিয়েছেন সঙ্গে সঙ্গে। তবে এবার কেন জানাননি, সেটা নিয়েই এখন বড় প্রশ্ন।