• জাতীয় ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    নাসিরের সেঞ্চুরির দিনে রুবেলের ক্যারিয়ারসেরা ৭ উইকেট

    নাসিরের সেঞ্চুরির দিনে রুবেলের ক্যারিয়ারসেরা ৭ উইকেট    

    ১ম স্তর, বগুড়া, ৩য় দিনশেষে 
    রংপুর ১ম ইনিংস ২৩৪ (শুভ ৫৭, নাসির ৭০, নাজমুল ৫/৬৫) ও ২য় ইনিংস ২০০/৫* (নাসির ১০৪*, তাইবুর ২/২৭)
    ঢাকা ১ম ইনিংসে ২২২ (মজিদ ৫২, রকিবুল ৬৭, মুকিদুল ৫/৩৭)
    রংপুর ২১২ রানে এগিয়ে


    নাসির হোসেনের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট বাকি রেখে ২১২ রানে এগিয়ে গেছে রংপুর। এর আগে ঢাকাকে সকালে দ্রুতই গুটিয়ে দিয়েছিল তারা। 

    আগেরদিনের স্কোরের সঙ্গে আর ২৭ রান তুলতেই শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল ঢাকা। নাদিফ চৌধুরি ও শাহাদাত হোসেনের উইকেট দিয়ে ক্যারিয়ারে প্রথমবার পাঁচ উইকেট পেয়ছেন ১৯ বছর বয়সী পেসার মুকিদুল ইসলাম, খরচ করেছেন ৩৭ রান। বাকি উইকেটগুলির ২টি নিয়েছেন আলাউদ্দিন বাবু, ১টি নিয়েছেন নাসির। আগের দিন বেশ ভাল অবস্থায় থেকেও লিড নেওয়ার বদলে উলটো ১২ রানে পিছিয়ে থেকে প্রথম ইনিংস শেষ করেছে ঢাকা। 

    দ্বিতীয় ইনিংসে ২০ রানে ২ উইকেটের পর ৪২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল রংপুর। রিশাদ হোসেন ও মেহেদি মারুফের উইকেট নিয়েছেন আরাফাত সানি জুনিয়র, মাঝে সোহরাওয়ার্দি শুভকে ফিরিয়েছেন আগের ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া নাজমুল। 

    চতুর্থ উইকেটে আরিফুল হক ও নাসির হোসেন রংপুরকে টেনে তোলার প্রথম কাজটা করেছেন ৫৯ রান যোগ করে। ৩০ রান করে তাইবুরের বলে স্টাম্পড হয়েছেন আরিফুল, দ্রুতই তাইবুরের দ্বিতীয় শিকার তানভীর হায়দার। নাসির-নাঈমের জুটি এরপরই, যা দিনশেষে অবিচ্ছিন্ন ৮৭ রানে। 

    নাসির অপরাজিত আছেন ১০৪ রানে, ২০৫ বল খেলে এখন পর্যন্ত মেরেছেন ১১টি চার। ১১৪ বলে ফিফটি পূর্ণ করা তিনি তিন অঙ্কে গেছেন ২০০ বলে। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে এটি ৭ম সেঞ্চুরি নাসিরের, জাতীয় লিগের এ মৌসুমে এর আগে পেয়েছিলেন দুটি ফিফটি। দিনশেষে নাসিরের সঙ্গী নাঈম ২৬ রানে অপরাজিত আছেন ১০৬ বল খেলে। 


    ****


    ১ম স্তর, মিরপুর, ৩য় দিনশেষে  
    রাজশাহী ১ম ইনিংস ১৫১ অল-আউট (সানজামুল ৪৮, রুবেল ৭/৫১) 
    খুলনা ১ম ইনিংস ১৫৪/৪* 
    খুলনা ৩ রানে এগিয়ে


    রুবেল হোসেনের ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে রাজশাহীকে প্রথম ইনিংসে উড়িয়ে দিয়েছে খুলনা। এরপর অমিত মজুমদার ও তুষার ইমরানের দুই ফিফটিতে ৩ রানের লিড নিয়েছে তারা। ম্যাচের একদিন বাকি থাকতে তবুও ড্র ছাড়া ভিন্ন কোনও ফল আসতে এ ম্যাচে ঘটতে হবে মহা নাটকীয় কিছু। 

    আগের দিন কোনও উইকেট না হারিয়ে ৩৬ রান তোলা রাজশাহী এদিন প্রথম ঘন্টায় হারিয়েছিল ৩ উইকেট- ৯ রান করা অভিষেক মিত্র ও ৪৩ রান করা মিজানুর রহমানকে ক্যাচ বানিয়েছিলেন রুবেল, ২৩ রান করে জুনাইদ সিদ্দিক ক্যাচ দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমানের বলে। 

    ড্রিংকসের পর প্রথমে আঘাত করেন আব্দুর রাজ্জাক, ৯ রান করা অধিনায়ক ফরহাদ হোসেন ও কোনও রান না করা শাখির হোসেনকে ফেরান তিনি। লাঞ্চের আগে-পরে রুবেল হোসেন এরপর স্টিমরোলার চালান রাজশাহীর ওপর। 

    সাব্বির রহমান, মুক্তার আলি ও ফরহাদ রেজা ফিরেছেন লাঞ্চের আগেই। লাঞ্চের পর সুজন হাওলাদার ও সানজামুল ইসলামও হার মানেন রুবেলের কাছে। একদিকে দাঁড়িয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করছিলেন সানজামুল, তার ৪৮ রানের ইনিংসেই ১৫১ পর্যন্ত যেতে পেরেছে রাজশাহী। 

    রুবেল ৭ উইকেট নিয়েছেন ৫১ রানে, এর আগে তার সেরা বোলিং ফিগার ছিল ২২ রানে ৫ উইকেট। 

    ব্যাটিংয়ে নেমে ১০ রানে প্রথম উইকেট হারানো খুলনা দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছে ৪৫ রানে। এরপর অমিত মজুমদার ও তুষার ইমরানের ৯৬ রানের জুটি। দুজন ফিরেছেন ৫ রানের ব্যবধানে- প্রথমে ৫৮ রান করা তুষার, এরপর ৫৯ রান করা অমিত। এ ৪টি উইকেট ভাগ করে নিয়েছেন মোহর শেখ ও মুক্তার আলি। দিনশেষে ৬ রান করে নিয়ে ব্যাটিং করছেন নুরুল হাসান ও নাহিদুল ইসলাম।