খেলোয়াড় ছাড়েনি বসুন্ধরা, পিছিয়ে গেল এসএ গেমসের ক্যাম্প
আজ থেকে এসএ গেমসের জন্য বাংলাদেশ অলিম্পিক দলের অনুশীলন শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস খেলোয়াড় ছাড়তে রাজি হয়নি সময়মতো, তাই নির্দিষ্ট দিনে শুরু করা যায়নি অনুশীলনও। আপাতত সেটা পিছিয়ে গেছে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য।
ডিসেম্বরের ১ তারিখ থেকে নেপালে অনুষ্ঠিত হতে ১৩তম এসএ গেমসের আসর। নেপালের আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে দেশের ক্যাম্প শেষ করে আগে ভাগে দেশ ছাড়তে চেয়েছিলেন কোচ জেমি ডে, "আমাদের ২১ তারিখে ক্যাম্প শুরুর করার ছিল। সময়মতো ১০ জন রিপোর্ট করেছে। বসুন্ধরা কিংসের একজন প্রতিনিধি আমাদের জানিয়েছে তাদের খেলোয়াড় ৩০ তারিখের আগে আসতে পারবে না। এখন আমাদের পরিকল্পনা বদলাতে হবে।"
এর আগে ১৯ নভেম্বর এসএ গেমসের জন্য ২০ সদস্যের বাংলাদেশ অলিম্পিক দল ঘোষণা করেছিল ডে। ২০ সদস্যের বাংলাদেশ দলের বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড় আছেন ৮ জন। দেশ ছাড়ার আগে শেখ রাসেলের সঙ্গে একটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলার কথা ছিল অলিম্পিক দলের। আপাতত এর কিছুই হচ্ছে না। অনুশীলন শুরু দিন-তারিখও নিশ্চিত করা হয়নি বাফুফের পক্ষ থেকে।
এ ব্যাপারে প্যাভিলিয়ন যোগাযোগ করেছিল বসুন্ধরা কিংস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। ক্লাব প্রেসিডেন্ট ইমরুল হাসান জানিয়েছেন, প্রাক-মৌসুম অনুশীলনের জন্য আপাতত দলের খেলোয়াড়দের ছাড়ছেন না তারা।
"সেপ্টেম্বরের পর থেকে টানা দুইদিনও দল একসঙ্গে অনুশীলন করার সুযোগ পায়নি। এখন বিদেশী খেলোয়াড়েরাও আছে, মৌসুম শুরুর আগে অন্তত দশদিন আমাদের একসঙ্গে অনুশীলন করা প্রয়োজন।"
এর আগেও ওমানের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আমরা ফিফার নিয়ম মেনে চারদিন আগে খেলোয়াড়দের ছাড়তে চেয়েছিলাম। তবে, বাফুফের অনুরোধে রাজি হয়ে আমরা আগে-ভাগেই খেলোয়াড় ছেড়েছিলাম তখন। এবার এসএ গেমসের জন্য ৩০ তারিখ খেলোয়াড় ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।"
বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়দের ছাড়া ক্যাম্প করার ইচ্ছা নেই জেমি ডেরও। খেলোয়াড়রা ফেরত আসার পরও কোনো ধরনের শাস্তি বা নিষেধাজ্ঞার পক্ষেও হাঁটছেন না তারা, "কিংসের খেলোয়াড়রা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যদিও আমরা এই পরিস্থিতি নিয়ে খুশি না, কিন্তু তারা জাতীয় দলে খেলার মতো ফুটবলার, এবং খুবই ভালো ফুটবলার।"
"জাতীয় দলে সব ক্লাবের প্রতিনিধি থাকে। শুধুমাত্র কিংস ছাড়বে না অন্যরা ছাড়লে- সেটা অবিচার হবে। আমরা ১০ জন নিয়ে অনুশীলন করতে চাই না। এতে কোনো লাভও নেই। আমাদের মনে হয়েছে ক্যাম্পটা বাতিল করাই সঠিক সিদ্ধান্ত।"- বাংলাদেশ কোচ নিজেই জানিয়েছেন নতুন সিদ্ধান্তের কথা।
"আমরা তারিখ পরিবর্তন করেছি, এখন নতুন সময়ের সঙ্গে আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। ওরা ফেরত এলে তাদের দলে নেওয়া হবে না বা কোনো ধরনের শাস্তি দেওয়া হবে- এমন ভাবার সুযোগ নেই।"
এর আগেরদিনও জেমি ডে জানিয়েছিলেন সোনা জয়ের জন্যই নেপালে যাবে তার দল। তবে অনুশীলনের সময় কমে আসায় নতুন ঝামেলায় পড়ে এখন প্রস্তুতিতেই ঘাটতি থাকার সংশয় জেগেছে। ডে বলছেন, বাস্তবতা মেনে এখন নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে চান তারা, "আমরা আগেই শুরু করতে চেয়েছিলাম। যেহেতু পারিনি তাই আমাদের পারফরম্যান্স লেভেলে এটার একটা প্রভাব তো পড়বেই।আমরা আমাদের সেরা চেষ্টাটাই করব। এমন একটা অবস্থায় আমরা পড়তে চাইনি। এখন এটার সঙ্গেই মানিয়ে নিতে হবে।"