• এসএ গেমস
  • " />

     

    বিশ্রাম না পেলে এমন হতেই থাকবে : জেমি ডে

    বিশ্রাম না পেলে এমন হতেই থাকবে : জেমি ডে    

    ভুটানের কাছে হারের পরদিন মালদ্বীপের বিপক্ষে ড্র। এসএ গেমস ফুটবলে  বাংলাদেশের পদক পাওয়ার সম্ভবনাই এখন শেষ হতে বসেছে। অথচ এই ইভেন্টে ভারত, পাকিস্তান একদলও নেই। এর পরও বাংলাদেশের নড়বড়ে পারফর‍ম্যান্সের ব্যাখ্যা কি? বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ ছন্দে থাকা জাতীয় দলের নব্বইভাগের বেশি খেলোয়াড় এসএ গেমসের দলে থাকার পরও এমন অসহায় আত্মসমর্পণ কেন? 

    ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে বলছেন মালদ্বীপের বিপক্ষে ড্র তার দলের জন্য খারাপ ফল নয়।  তবে খেলোয়াড়দের ক্লান্তিকে বড় হিসেবে দেখছেন তিনি, "আমাদের খেলোয়াড়রা দিনের পর দিন, টুর্নামেন্টের পর টুর্নামেন্ট খেলে যাচ্ছে কোনো বিশ্রাম ছাড়া। আমি বার বার বলেছি, বিশ্রাম না নিলে এমনটা তো হবেই।"   

    গত আগস্টে লিগ শেষ হওয়ার পর শুরুতে কিছুদিন বিশ্রাম পেলেও বিশ্বকাপ বাছাই শুরু হওয়ার পর থেকেই খেলার ভেতর রয়েছেন ফুটবলাররা। এর ভেতর শেখ কামাল ক্লাব কাপেও খেলেছেন দলের বেশির খেলোয়াড়। এসএ গেমসের প্রস্তুতির জন্যও সময়মতো খেলোয়াড়দের না পাওয়ায় জেমি ডে আগেই হতাশার কথা জানিয়েছিলেন। 

    ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচে দলের পারফরম্যান্সের সমালোচনা করলেও মালদ্বীপের সঙ্গে ড্রয়ে সন্তুষ্ট বাংলাদেশ কোচ। তিনি বলছেন ম্যাচের আগে বাংলাদেশ সংবাদমাধ্যমই ছোট করে দেখেছে মালদ্বীপকে, "আমি আগেই বলেছিলাম নেপাল ও মালদ্বীপ কঠিন পরীক্ষা হবে। আমার মনে হয় আমাদের সংবাদমাধ্যম মালদ্বীপকে যথেষ্ট সম্মান করেনি।"

    এসএ গেমসে সোনা জয়ের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে বাংলাদেশ ফুটবল শ্রীলঙ্কা ও নেপালের বিপক্ষে পরের দুই ম্যাচেই জিততে হবে। বাংলাদেশ কোচ কিছুটা বিস্ময়ের জন্ম দিয়ে বলছেন সোনা জয় নয়, পদক জয়ের লক্ষ্য নিয়ে নেপালে  এসেছে তার দল, "আমি নিজেদের ফেভারিট দাবি করিনি। আপনারা আমাদের ফেভারিট বানিয়েছেন। আমি বলেছি, আমরা পদক জিততে পারলেই খুশি। গতকাল (ভুটানের বিপক্ষে) দল বাজে খেলেছে, কিন্তু আজ আমরা ভালো খেলেছি।" 

    ক্লান্তির পাশপাশি মালদ্বীপের সঙ্গে জিততে না পারার পেছনে রেফারির সিদ্ধান্তের বড় দায় দেখছেন ডে। ম্যাচের ২০ মিনিটে রেফারির উদ্ভট সিদ্ধান্তে গোল বাতিল হয়েছে বাংলাদেশের। ডে বলছেন ওই গোলটি বাতিল না হলে ২-০ গোলের লিড বাংলাদেশ, আর দুই গোলে এগিয়ে থাকলে আর পথ খুঁজে পেত না মালদ্বীপ।