রুশো আর মুশফিকের উইকেট নিয়ে নিজের পরিকল্পনা বললেন হাসান
বলটা ছিল অনেকটা স্বপ্নের মতো। ব্যাক অফ দ্য লেংথ থেকে বাড়তি লাফিয়ে ওঠা। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের জন্য ওভার দ্য উইকেটে আসা বলটা বুঝতেই পারেননি রাইলি রুশো। গ্লাভস লাগিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটের পেছনে। খুলনার বিপক্ষে আরও ৩ উইকেট নিয়েছেন ঢাকার পেসার হাসান মাহমুদ। নিয়েছেন মুশফিকের মহাগুরুত্বপূর্ণ উইকেট। তবে রুশোর ওই ডেলিভারিটাই এগিয়ে রাখছেন সবার চেয়ে।
রুশো শুরুটা আজও করেছিলেন ভালো। ১২ বলে ১৮ রান করে ফেলেছিলেন, দিচ্ছিলেন বড় কিছুর আভাস। তখনই হাসান মাহমুদের ওই ডেলিভারি। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘এটা অবশ্যই সেরা ডেলিভারি না হলে উইকেটা তো পেতাম না। রাইলি রুশোকে প্ল্যান ছিল স্টাম্প টু স্টাম্প বল করা। ও তো বাইরে ভালো খেলে। তাই সেরকমই ট্রাই ছিল।’
তবে ম্যাচের প্রেক্ষিতে মুশফিকের উইকেট ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ওই ওভারের শুরুটা ভালো হয়নি। মুশফিক চারের পর মেরেছিলেন একট ছয়। এরপর একটি ওয়াইড ইয়র্কার। তার পরেই স্লোয়ার ফুলটসে ক্যাচ দিয়ে এলেন মুশফিক। হাসানের ভাষায়, ‘মুশফিক ভাইকে বল করা খুব টাফ। উনি অলমোস্ট ৩৬০ খেলে। উনার জন্য প্ল্যান ছিল ওয়াইড ইয়র্কার মারা হবে আর অফসাইডে তিন জন ফিল্ডার রাখা। এরপর উনি একটা স্লো ফুলটসে আউট হয়ে গেলেন। ডিফারেন্ট কিছু ট্রাই করেছি।’
এই ওয়াইড ইয়র্কার দিয়েই শুরুটা করেছিলেন। হাসানের বিশ্বাস, মোমেন্টাম তখনই সেট করে দিতে পেরেছেন, ‘প্রথম বল থেকে মোমেন্টামটা হয় আর কী। আপনি যদি প্রথম বল থেকে ভালো জায়গায় বল করতে থাকেন, ব্যাটসম্যানরা বিট হতে থাকে তাহলে আপনার জন্য ভালো একটা স্টার্ট হবে। তখন ভালো কিছু করা সম্ভব আর কী।’
এখন পর্যন্ত হাসানের মধ্যে মিলেছে সম্ভাবনার আভাস। সহজাত গতি আছে, অ্যাকশনটাও বেশ স্বচ্ছন্দ। জানালেন, দলের সিনিয়রদের কাছ থেকে সাহায্য পাচ্ছেন অনেক, ‘জাতীয় দলের অনেকে আছেন। মাশরাফি ভাই আছেন, তামিম ভাই আছেন, মুমিনুল ভাই আছেন, ভালো একটা সাইডে আছি। উনারা বলেছেন আত্মবিশ্বাসী থাকতে, নার্ভাস না হতে। ভালো জায়গায় বল করে গেলে তুই সফল হবি।’
আজ উইকেটের পেছনে থাকা এনামুল হক বিজয়ের কথা বললেন বিশেষ করে। ফ্রাইলিংককে দেওয়া স্লোয়ারটা বিজয়ের পরামর্শেই বলে জানালেন হাসান, ‘ইমার্জিং কাপ থেকে এই ব্যাকহ্যান্ড স্লোয়ার প্র্যাকটিস করছি। বিজয় ভাই পিছন থেকে হেল্প করেছে, উনি বলেছে চেঞ্জ আপ করার জন্য, উনাকে একটু ফলো করেছি মাঝে মাঝে।উনি (বিজয় ভাই) মোটামুটি সব প্লেয়ারদেরই বুঝে কে কোন বলটা খেলালে কিছু হবে। উনি মাঝেমাঝে ইশারা করে বলে এটা চেঞ্জ করে ওটা করতে। কারও সাহায্য নিয়ে নয়, এটা নিজে নিজেই করেছি।’
সামনে হাসান মাহমুদের ওপর নজর বেশি থাকবে, তা অনুমান করাই যায়।