• বঙ্গবন্ধু বিপিএল
  • " />

     

    গিবস কীভাবে ইংরেজি ভাষার সমস্যার কথা বলেন, বোধগম্য নয় ফ্লেচারের

    গিবস কীভাবে ইংরেজি ভাষার সমস্যার কথা বলেন, বোধগম্য নয় ফ্লেচারের    

    সিলেট থান্ডারের স্থানীয় ক্রিকেটাররা হেড কোচ হার্শেল গিবসের ইংরেজি বুঝতে পারেন না, এমন কথাকে উড়িয়ে দিয়েছেন তাদের অধিনায়ক আন্দ্রে ফ্লেচার। তিনি বলেছেন, কেউ এমন কিছু কীভাবে বলেন, সেটি বোধগম্য নয় তার কাছে। ইংরেজি ভাষায় যোগাযোগের ঘাটতির কারণে তাদের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলেছে, মানতে চান না সেটিও। 

    বিপিএলের ইতিহাসে এক আসরে এর চেয়ে বাজে পারফরম্যান্স নেই আর কোনও দলের। ১২ ম্যাচ খেলে মাত্র ১টি জয় সিলেট থান্ডারের, খুঁজতে গেলে তাদের ভুলের হয়তো শেষ হবে না। ব্যাটিং, বোলিং বা ফিল্ডিং- তাদেরকে ভুগিয়েছে সবকিছুই। অবশ্য হেড কোচ হার্শেল গিবস বলেছিলেন, ম্যাচ পরিস্থিতির সঙ্গে স্থানীয় ক্রিকেটাররা ইংরেজি বুঝেন না বলে সমস্যা হয় তাদের। 

    এবার ফ্লেচার বললেন, তার দলের ক্রিকেটাররা তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন, এতে কোনোই সমস্যা হয় না তার, “যদিও আমি কোচ না। তবে ছেলেরা আমাকে খুব ভাল বোঝে আমাকে। কোচ হিসেবে তার এই কথা বলাটা একটু বিস্ময়কর। কিন্তু, আমাদের দোষের ভার আমাদেরই নিতে হবে, আমরা অন্য কাউকে দোষারোপ করতে পারব না।”
     


    শুধু সিলেট নয়, বাংলাদেশ জাতীয় দল বা অন্যান্য দলে বিদেশী কোচ আছেন, যারাও কথা বলেন ইংরেজিতে। ফ্লেচার মনে করিয়ে দিয়েছেন সেটিও, “আমার বিশ্বাস, বাংলাদেশীদের এমন কোচ আছে, যারা ইংরেজি বলে। বাংলাদেশী ক্রিকেটাররা ইংরেজি বুঝে। কেউ এমন কিছু (ইংরেজি ভাষার সমস্যা) বললে, সেটি আসলে আমার কাছে বোধগম্য হবে না।”

    অবশ্য দলের বাজে পারফরম্যান্সের পুরো দায় ক্রিকেটারদেরই নিতে হবে, ফ্লেচার বলেছেন সেটিও। সিলেটে গিয়ে টানা তিন ম্যাচ খেলার পর ঢাকায় প্রথম দিনও তাদের ম্যাচ, গ্রুপপর্বের কয়েকদিন বাকি থাকলেও সিলেটের খেলা বাকি নেই আর। 

    ফ্লেচার দোষ চাপাতে চান না সূচির ওপরও, “আমরা পেশাদার ক্রিকেটার। টানা তিনটি বা দুটি ম্যাচ থাকুক না কেন, কিছু যায় আসে না। আমরা খেলতে এসেছি। পার্টি করতে নয়।”