• বুন্দেসলিগা
  • " />

     

    বর্ণবাদী আচরণের স্বীকার ফুটবলারকেই দেখতে হল লাল কার্ড

    বর্ণবাদী আচরণের স্বীকার ফুটবলারকেই দেখতে হল লাল কার্ড    

    সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপীয় ফুটবলে আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বর্ণবাদ। গত কয়েক বছরে কৃষ্ণাঙ্গ ফুটবলারদের দিকে গ্যালারি থেকে বর্ণবাদী আচরণের মাত্রা আশংকাজনক হারে বাড়ছে। মাঠে প্রায়শই বর্ণবাদী আচরণের স্বীকার হয়ে মনোযোগ হারাচ্ছেন ফুটবলাররা। এই যেমন গতকাল বুধবার জার্মানিতে ডিএফবি পোকাল কাপের ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে হার্থা বার্লিনের ডিফেন্ডার জর্ডান টরুনারিঘার দিকে ইঙ্গিত করে গ্যালারি থেকে “বানরের ডাক” দেয় কিছু দর্শক। কিন্তু রেফরি তো কোনো পদক্ষেপ নেননি, উল্টো অতিরিক্ত সময়ে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন টরুনারিঘাকে।

    ম্যাচের ৭০ মিনিটের সময় গ্যালারি থেকে ওই বর্ণবাদী মন্তব্য শুনেছিলেন টরুনারিঘা। তখনই বেশ ভেঙে পড়েছিলেন, এমনকি কেঁদেও ফেলেছিলেন। হার্থা বার্লিনের সতীর্থরা সান্ত্বনা দিয়ে শান্ত করেছেন তাঁকে। টরুনারিঘা চেয়েছিলেন খেলা বন্ধ থাকুক, কিন্তু রেফারি কান দেননি তার কথায়। উপেক্ষিত হওয়ার হতাশাটা ভুলতে পারেননি এই ডিফেন্ডার। ম্যাচে অতিরিক্ত সময়ে সাইডলাইনে পানির বোতলের বাক্স ছুঁড়ে মেরেছেন। এরপরে রেফারি দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখিয়ে তাকে মাঠ থেকে বের করে দিয়েছেন। তবে মাঠে বর্ণবাদী আচরণের কারণে খেলোয়াড়ের মানসিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে রেফারি কার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে আরেকটু সহিষ্ণু হতে পারতেন বলে মনে করেন বার্লিনের ম্যানেজার ইউর্গেন ক্লিন্সমান, “অতিরিক্ত সময়ের আগে জর্ডান আমাদের বিষয়টি জানিয়েছিল। আমার তার জন্য খারাপ লাগছে। এমনটা কখনোই করা উচিত না। আমরা তাকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলাম, রেফারিকেও বিষয়টি জানিয়ে তার ব্যাপারে খেয়াল রাখার জন্য বলেছিলাম। কিন্তু মাঠে তার উল্টোটাই ঘটেছে।“

    মাঠে খেলা চলাকালে কোনো ধরনের বর্ণবাদী আচরণের ঘটনা ঘটলে ফিফার নিয়ম অনুযায়ী মাঠে দায়িত্বে থাকা রেফারি তিন ধাপে ব্যবস্থা নিতে পারেন। প্রথমে স্টেডিয়ামের পিএ সিস্টেম ব্যবহার করে দর্শকদের এ ধরনের আচরণ থেকে বিরত থাকতে বলা, এতে কাজ না হলে কিছুক্ষণের জন্য ম্যাচ বন্ধ রাখা এবং শেষ ধাপটি হচ্ছে ম্যাচ পরিত্যক্ত করে দেয়া। তবে বার্লিনের কোচিং স্টাফরা বিষয়টি রেফারিকে জানালেও তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি।

    জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বর্তমানে ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে। তবে ইদানিংকালে ইউরোপীয় ফুটবলে বর্ণবাদের ঘটনা যেভাবে বেড়েই চলেছে, দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়াটা এখন ফিফা এবং উয়েফার জন্য মূল চ্যালেঞ্জ।