করোনা ভাইরাসের কারণে বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর করা কঠিন : বিসিবি প্রেসিডেন্ট
করোনা ভাইরাস নিয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের আসন্ন পাকিস্তান সফর নিয়ে। করোনা ভাইরাসের ফলে সৃষ্ট দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় এই সফর করা উচিৎ হবে কিনা, সেটি ভেবে দেখছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। শনিবার সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে পাকিস্তান সফরে যাওয়ার বিষয়টিকে ‘কঠিন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
তিন দফায় পাকিস্তান সফরের অংশ হিসেবে এক টেস্ট এবং এক ওয়ানডের জন্য শেষ দফায় আগামী ২৯ মার্চ পাকিস্তান যাওয়ার কথা বাংলাদেশ দলের। টেস্ট এবং ওয়ানডের দুটি ম্যাচই হওয়ার কথা করাচির জাতীয় স্টেডিয়ামে। তবে সেটির সম্ভাবনা আপাতত বেশ কম বলেই জানিয়েছেন নাজমুল, “চলাচল যেভাবে সীমাবদ্ধ করা হচ্ছে চারদিকে, কাজেই অনিশ্চিয়তা তো আছে। আমরা অপেক্ষা করছি, আশা করছি যে কাল পরশুর মধ্যেই চূড়ান্ত একটা কিছু হয়ে যাবে। এটা ইতোমধ্যেই প্রক্রিয়াধীন আছে। তবে যেটা বললাম সব জায়গায় ভ্রমণে কড়াকড়ি যেভাবে হচ্ছে তাই সুযোগ কম আরকি- খুবই কঠিন।”
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্ব অনেকটা থমকে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা, গণ জমায়েত নিষিদ্ধ করাসহ ভাইরাসের বিস্তার রোধ করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে এরই মধ্যে বাংলাদেশ ফুটবল দলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সব ম্যাচ আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। মুজিব বর্ষের দুই টি টোয়েন্টিও অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রয়েছে।
এছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকার ভারত সফর, ইংল্যান্ডের শ্রীলংকা সফরও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। বিশ্বের চলমান প্রায় সব শীর্ষ ক্রীড়া আয়োজন স্থগিত বা অনির্দিষ্টকালের জন্যে পেছানো হয়েছে। বিসিবি সভাপতিও সেগুলোর উদাহরণ টেনে সিরিজ পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়ে জোর দিয়েছেন, “আপনি যদি দেখেন বাইরের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ সিরিজই এখন বন্ধ হয়ে গেছে। আইপিএলের মত টুর্নামেন্টও পিছিয়ে দিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই সবাই যখন পিছিয়ে দিয়েছে, শুধু আমাদের জন্য নয়, এটা সবার জন্যই চিন্তার বিষয়।”
করোনা ভাইরাসের কারণে প্রতিদিন নতুন নতুন প্রতিবন্ধকতা হাজির হওয়ায় শেষ পর্যন্ত এই সফর পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই মনে করেন তিনি, এবং সেটি কোন ভেন্যুতে খেলা হবে সেটির ওপর আপাতত নির্ভর করছে না, “ভেন্যুর সাথে তো ভ্রমণের কড়াকড়ি আরোপের সম্পর্ক নেই। কেউ তো বলতে পারবে না, ঐ দেশে যেতে পারবা কিন্তু ঐ ভেন্যুতে যেতে পারবে না। এমন তো আর না। দেশের বাইরে যাওয়া আসা এটাই তো সীমাবদ্ধ এখন।”
“এই যে আপনার শ্রীলঙ্কা, ভারতে যেটা হয়েছে, বাইরে থেকে দেশে গেলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন। আমাদের ক্রিকেটারদের যদি ফিরে এসে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়, তাহলে তো কঠিন পরিস্থিতি। এইগুলো আপনাদের জানতে হবে, বুঝতে হবে। যতদিন যাচ্ছে তত কড়াকড়ি বাড়ছে। এজন্য হয়ত এটা আমাদের অন্য সময় করতে হতে পারে।”