আমির-রিয়াজ আমাদের ফাঁকি দিয়েছে : ওয়াকার
মোহাম্মদ আমির ও ওয়াহাব রিয়াজ পাকিস্তান টেস্ট দলকে ‘বিদায়’ বলে তাদেরকে ‘ফাঁকি’ দিয়েছেন বলে মনে করেন বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনুস। সীমিত ওভারের ক্রিকেটের প্রতি নজর দিতে টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছেন আমির, আর ‘অনির্দিষ্টকালের বিরতি’ নিয়েছেন রিয়াজ।
ওয়াকারের মতে, তাদের প্রতি ‘ক্ষোভ’ না থাকলেও ‘ভুল সময়ে’ তারা চলে গেছেন। ‘ক্রিকেটারদের খেলা না খেলা তাদের পছন্দের ব্যাপার’ উল্লেখ করে ওয়াকার বলেছেন, “এসব ব্যাপারে একটি প্রক্রিয়া থাকা উচিৎ।”
পিসিবি আয়োজিত এক ভিডিও কনফারেন্সে ওয়াকার বলেছেন, “অস্ট্রেলিয়া সিরিজের ঠিক আগ দিয়ে তারা আমাদের ফাঁকি দিয়েছে, এরপর আমাদের হাতে তরুণদের নেওয়া ছাড়া অপশন ছিল না কোনও। আমাদের এই ম্যানেজমেন্ট নতুন তখন, তরুণদের নিয়ে এরপর সেখানে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমরা। মিসবাহ (উল হক) এ ব্যাপারে আগে বলেছে, যে ক্রিকেটারদের কোনটি খেলা এবং কোনটি না খেলা- সে ব্যাপারে একটি পলিসি থাকার ব্যাপারে।”
নাসিম শাহকে টেস্ট ক্যাপ পরিয়ে দিচ্ছেন ওয়াকার/ক্রিকইনফো ভায়া গেটি
“অবশ্যই কে খেলবে কে খেলবে না সেটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই, তবে আমাদের যাতে জানা থাকে, এমন একটা প্রক্রিয়া থাকা উচিৎ। ক্রিকেটাররা শেষ মুহুর্তে (দল) ছেড়ে চলে যাবে, এটা কখনোই হওয়া উচিৎ নয়। কাউকে না জানিয়ে এমন করা বা ব্যাক-আপের জন্য পর্যাপ্ত সময় না দিয়ে চলে যাওয়াও ঠিক নয়।”
আমির-রিয়াজের অবসরের পর অস্ট্রেলিয়া সফরে তরুণ পেস আক্রমণ নিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। ইমরান খান, নাসিম শাহ এবং শাহিন আফ্রিদি খেলেছিলেন প্রথম টেস্ট, দ্বিতীয় টেস্টে ইমরাসহ খেলেছিলেন মোহাম্মদ আব্বাস ও মোহাম্মদ মুসা। পাকিস্তান দুই টেস্টেই হেরেছিল ইনিংস ব্যবধানে।
অবশ্য আমির-রিয়াজ থাকলে ফল খুব বদলাতো, তেমন মনে করেন না ওয়াকার, “এমন নয় যে তারা থাকলে আমরা অস্ট্রেলিয়ায় জিততাম, তবে এর চেয়ে ভাল করতে পারতাম। এখন আমাদের বেঞ্চ শক্ত হচ্ছে, এবং এগিয়ে যেতে সমস্যা নেই। আমি জানি, আপনারাও জানেন, বিশ্বজুড়ে অনেক লিগ আছে, এবং তারা মাত্র চার ওভার বোলিং করে টাকা নিয়ে আরামে থাকতে চায়, যা দেশের ক্ষতি করে।”
“এমন না, আমরা অনেক হারিয়েছি, তবে তারা ভুল সময়ে আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। তবে যাই হোক, তাদের প্রতি কোনও ক্ষোভ নেই আমাদের। আমি এখনও মনে করি, সাদা বলে তাদের ক্রিকেটকে অনেক কিছু দেওয়ার আছে, এবং তাদের পাকিস্তানে হয়ে খেলা চালিয়ে যাওয়া উচিৎ। তবে আমাদের এখন অনেক ফাস্ট বোলার আছে, পিএসএল থেকে আমরা সম্ভাবনাময় পেসার পেয়েছি। অনেক মেধা আছে, স্কিল আছে আছে। ভবিষ্যতে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের একটা ভূমিকা আছে।”
করোনাভাইরাস সঙ্কটে সব থমকে না দাঁড়ালে ৬ এপ্রিল হতো পাকিস্তান-বাংলাদেশ দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিন। অবশ্য ওয়াকার বলছেন, আর এক-দুই মাসের মতো এমন থাকলেও তাতে খুব একটা সমস্যা হবে না ক্রিকেটারদের। তবে রমজান ও ঈদের পর ঝামেলা শুরু হতে পারে। আপাতত ক্রিকেটারদের ফিট থাকার পরামর্শ দিয়েছে পিসিবি, আর ওয়াকার এ সময়টা কাজে লাগাতে বলেছেন তাদের।