টেস্টে পাকিস্তানকে এক নম্বর দল বানানো লক্ষ্য আজহারের
মিসবাহ-উল-হকের নেতৃত্বে ২০১৬ সালে টেস্টের এক নম্বরে উঠেছিল পাকিস্তান। মিসবাহ অবসর নিয়েছেন, এখন দলের হেড কোচের সঙ্গে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্বও তার। মিসবাহর অধীনে সেই এক নম্বরের স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে চান পাকিস্তান টেস্ট অধিনায়ক আজহার আলি। ‘ভয়ডরহীন’ ক্রিকেট খেলে টেস্টে এক নম্বরে ওঠার ইচ্ছা তার।
“লক্ষ্য হলো সেরা টেস্ট দলগুলির একটি হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করা, দেশে বা দেশের বাইরে আমাদের অসাধারণ পারফর্ম করতে হবে”, ভিডিও কনফারেন্সে বলেছেন আজহার, “আমার লক্ষ্য হলো ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলা। ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে সামর্থ্য দেখাতে হবে আমাদের। এক নম্বর দল হওয়ার পথে এটি সামনের দিকে অনেকখানি এগিয়ে দেবে আমাদের।”
সম্প্রতি পাকিস্তানের মাটিতে ফিরেছে টেস্ট সিরিজ, বাংলাদেশ গিয়ে খেলে এসেছিল একটি টেস্ট। তৃতীয় দফার সফরে খেলার কথা ছিল আরেকটি টেস্ট। আজহার বলছেন, শুধু দেশের মাটিতে ভাল খেলে লক্ষ্য অর্জন হবে না তাদের, “শুধু দেশের মাটির সিরিজ জিতে তো এক নম্বর হতে পারব না। বাইরেও আমাদের অসাধারণ ফল আনতে হবে। দেশে প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিতে হবে। যদি সবাই ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলে, নিজের কাঁধে দায়িত্ব তুলে নেয়, ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে, কেউই আমাদের আটকাতে পারবে না।”
অবশ্য নিজে ভয়ডরহীন ক্রিকেটের কথা বললেও আজহারের অধিনায়কত্ব নিয়ে আছে সমালোচনা, রক্ষণাত্মক হিসেবে। আজহার বলছেন, তিনি ও মিসবাহ- দুজনের মানসিকতায় খেলার সময় রক্ষণাত্মক, তবে এসব কন্ডিশন অনুযায়ী বদলায়।
“আমি ছন্দে থেকে ব্যাটিং করতে চাই, সময় নিই। তার মানে এই না যে আমি রক্ষণাত্মক অধিনায়ক। দুবাইয়ে পেসারের বোলিংয়ে আপনি চারজন স্লিপ রাখতে পারবেন না। পাকিস্তানেও কন্ডিশন বেশ ফ্ল্যাট, এখানেও ভারসাম্য বের করতে হবে।”
“আমি ভয়ের ব্যাপারটা দূর করতে চাচ্ছি। সবারই খোলাখুলি মন নিয়ে খেলা উচিত। দলের সংস্কৃতিরও উন্নতি করতে হবে। সবাই যাতে দলের কথা ভাবে, ভেতরে যাতে একটা প্রাণবন্ত পরিবেশ থাকে। চাপ নিয়ে পারফর্ম করতে পারবেন না, মাথা ঠিকঠাক রেখে এগুলে ধারাবাহিকতা আসবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণেও কাজে দেবে তা।”