অভিষেকে উজ্জ্বল অভিষেক, নাটকীয় ধসের পরও জয় ডিওএইচএসের
ওপেনিংয়ে দারুণ শুরুর পর নাটকীয় ধসে ২৩০ রানে আটকে গিয়েও বোলারদের কৃতিত্বে লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জকে ২৫ রানে হারিয়েছে ওল্ড ডিওএইচএস। লিস্ট ‘এ’ অভিষেকে আলো ছড়িয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন অ-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের পেসার অভিষেক দাস।
১৫৮ রানে ২ উইকেট থেকে ১ ওভার বাকি থাকতে ২৩০ রানে গুটিয়ে যাওয়া- টসে হেরে ফিল্ডিং করতে নামা ওল্ড ডিওএইচএস হুট করেই ভেঙে পড়েছিল তাসের ঘরের মতো। আনিসুল ইসলাম ইমন ও রাকিন আহমেদের ওপেনিং জুটি শক্ত ভিত এনে দিয়েছিল তাদের, তবে মিডল অর্ডার কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে সেটি। এক মাহমুদুল হাসান জয়ের ৩৫ ও প্রীতম কুমারের ৩৫ রান ছাড়া ১৪ রানই পেরুতে পারেননি কেউ।
সোহাগ গাজি ও আল-আমিন হোসেনের পর শহিদুল ইসলামের তোপের মুখে পড়েছিল ডিওএইচএস। ইমন করেছিলেন ৭৬ বলে ৫৯, ৭৭ বলে ৪৮ ছিল রাকিনের। ইমনকে ফিরিয়ে প্রথম রূপগঞ্জকে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছিলেন গাজি। মিডল অর্ডার বা লোয়ার অর্ডারে কোনও জুটি বড় হয়নি, ৪০ রানের ব্যবধান শেষ ৫ উইকেট হারিয়েছে ডিওএইচএস। ৫৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন গাজি, শহিদ ও আল-আমিন ২টি করে নিয়েছেন যথাক্রমে ৪১ ও ৫১ রানে। ৪৭ রানে ১টি নিয়েছেন সানজামুল ইসলাম। উইকেট না পেলেও ৯ ওভারে মাত্র ২৯ রান দিয়েছেন শফিউল।
ডিওএইচএসের মতো বড় ধস না নামলেও ছোট ছোট ধসে ইনিংস গড়া হয়ে ওঠেনি রূপগঞ্জের। ওপেনার পিনাক ঘোষ একপ্রান্ত আগলে রেখে করেছেন ৯৩ বলে ৫৩, ফিরেছেন মোহাম্মদ রশিদের বলে ক্যাচ দিয়ে। ছয় ও সাতে নামা জাকির আলি অনিক ও সানজামুলের যথাক্রমে ২৮ ও ৪০ রানের পর নয়ে নামা গাজির ২৯ বলে ৩২ রান প্রতিরোধ গড়েছিল রূপগঞ্জের, তবে শেষ রক্ষা হয়নি।
অনিক ও সানজামুলের আগে ওপেনার মেহেদি মারুফের উইকেট নিয়েছেন অভিষেক, ৩ উইকেট নিতে তিনি খরচ করেছেন ৪৪ রান। রশিদ ৩ উইকেট নিয়েছেন ৩৫ রানে, আলিস আল ইসলাম ও রাকিবুল হাসান ২টি করে নিয়েছেন যথাক্রমে ২৮ ও ২৩ রান করে দিয়ে।