• ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ২০১৯-২০
  • " />

     

    তাইবুরের সেঞ্চুরির পর জুনায়েদের ব্রাদার্সের বিপক্ষে ৮ রানের জয় দোলেশ্বরের

    তাইবুরের সেঞ্চুরির পর জুনায়েদের ব্রাদার্সের বিপক্ষে ৮ রানের জয় দোলেশ্বরের    


    পুরো স্কোরকার্ড দেখুন


     

    তাইবুর রহমান সেঞ্চুরি পেলেন, ৩ রানের জন্য মাইলফলক থেকে থামতে হলো জুনায়েদ সিদ্দিককে। তবে সেঞ্চুরির চেয়েও বড় ছিল দলের জয়, ওপেনিংয়ে নামা জুনায়েদ যে টিকে ছিলেন শেষ ওভার পর্যন্ত। শেষ পর্যন্ত তাইবুরের প্রাইম দোলেশ্বরের কাছে অল্প ব্যবধানেই- ৮ রানে- হারতে হলো জুনাইদের ব্রাদার্স ইউনিয়নকে। রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচে ফতুল্লায় ২ বল বাকি থাকতে জিতেছে দোলেশ্বর। 

    টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা দোলেশ্বর বেশ চাপে পড়েছিল শুরুতে, ১৮তম ওভারে ৫২ রান তুলতে তারা হারিয়েছিল ৩ উইকেট। পাঁচে নামা তাইবুর বলতে গেলে একা এরপর টেনেছেন দোলেশ্বরকে, দলের ২১৬ রানের ভেতর তিনি একাই করেছেন অপরাজিত ১১০ রান। ৭ চারের সঙ্গে মেরেছেন ৫ ছয়, লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে এটি তৃতীয় সেঞ্চুরি এই বাঁহাতির। 

    সেঞ্চুরি ইনিংসের পথে চতুর্থ উইকেটে মার্শাল আইয়ুবের সঙ্গে ৪৮ রানের জুটির পর ৫ম উইকেটে শরিফুল্লাহর সঙ্গে ৩২ ও ৬ষ্ঠ উইকেটে শামিম হোসেনের সঙ্গে ২২ রানের জুটির পর এনামুল হক জুনিয়রের সঙ্গে তাইবুর এরপরের উইকেটে যোগ করেছিলেন আরও ৬২ রান। ১৭ বলে ২৩ রান করেছেন এনামুল। ৭ বোলার ব্যবহার করা ব্রাদার্সের সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন সাকলাইন সজিব, ২৭ রানে তিনি নিয়েছেন ২ উইকেট। ১টি করে নিয়েছেন আলাউদ্দিন বাবু, রাহাতুল ফেরদৌস জাভেদ, মাইশুকুর রহমান ও আব্দুল কাইয়ুম তুহিন। 

    রানতাড়ায় ৩৫ রানের ভেতর ২ উইকেট হারিয়ে ফেললেও তৃতীয় উইকেটে তুষারের সঙ্গে জুনাইদের ৯৭ রানের জুটি অনেকটা এগিয়ে দিয়েছিল ব্রাদার্সকে। ৬৩ বলে ৫১ রান করা তুষারকে এলবিডব্লিউ করে ব্রেকথ্রু এনেছিলেন শরিফুল্লাহ, ঠিক পরের বলে তুহিনকেও ফেরান তিনি। এক ওভার পর জাহিদুজ্জামান সাগর ফেরেন শামিমের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে, ৯ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে ব্রাদার্স। 

    সে চাপ অনেকখানি সামাল দিয়ে জুনায়েদ ও রাহাতুল ফেরদৌস- ৬ষ্ঠ উইকেটে ৫৮ রান যোগ করে। সাইফ হাসানের বলে ভেঙেছে সে জুটি। এরপর শেষ ৪৭ বলে ৪ উইকেট নিয়ে প্রয়োজন ছিল ৪৪ রান, এনামুলের ১৭ বলে ২৩ রানের ক্যামিওতেও সেটি তুলতে শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে ব্রাদার্স। সাতে নামা শামিমের ১৬ বলে ৪ ইনিংসও সহায়তা করেনি তাদের। 

    শেষ পর্যন্ত আশা হয়ে ছিলেন জুনায়েদই, ৩ বলে প্রয়োজন ছিল ৯ রান। রেজাউর রহমান রাজার ফুললেংথের বলটা মিস করে এলবিডব্লিউ হলেন জুনায়েদ, উল্লাসে মাতল দোলেশ্বের। 

    শেষ পর্যন্ত দিনটা তো দোলেশ্বেরেরই। দিনটা তাইবুরের।