সহজ জয়ে শুরু করল মাশরাফিদের শেখ জামাল
খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতির জন্যে লক্ষ্যটা অসম্ভব ছিল না মোটেই। তবে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের দেওয়া ২৭৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে তাদের হাপিত্যেশ অবস্থা। একের পর এক উইকেট হারানোয় সোমবার সাভারে বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে লক্ষ্য থেকে ৫৫ রান দূরেই থামতে হয় তাদের।
অথচ দুই ওপেনার মিলে খেলাঘরের শুরুটা কিন্তু একেবারে খারাপ করেননি। ইমতিয়াজ হোসেন চৌধুরী এবং সাদিকুর রহমানের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৩৫ রান। নাসিরের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে সাদিকুরের মাধ্যমে আসা যাওয়ার সেই যে শুরু তা চলতে থাকে প্রায় ম্যাচের পুরোটা সময়। সঙ্গী ফিরে যাওয়ার পর ব্যক্তিগত ২৯ রান করে আউট হন অপর ওপেনার ইমতিয়াজও। তবে ইনিংস সর্বোচ্চ ৫১ রান করা জহুরুল ইসলাম অমি এরপর হাল ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু অপর প্রান্তে কেউ তাকে সঙ্গ দিতে পারলেন কই!
ইমতিয়াজ ফিরে যাওয়ার পর ফরহাদ হোসেন এবং মেহেদী হাসান মিরাজও দুই অঙ্কের ঘর ছোঁয়ার আগেই সাজঘরের পথ ধরেছেন। ১৯.৫ ওভারে মিরাজ যখন আউট হন, তখনও ২০০ রান দরকার খেলাঘরের। হাতে ওভার থাকলেও উইকেট ছিল মোটে ৬ টি। সেই অবস্থা থেকে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে মোহাম্মদ সালমানকে নিয়ে ৪৩ রানের জুটি গড়েন জহুরুল। এই জুটিতে চাপ কাটিয়ে উঠে লক্ষ্যের পথে ঠিকঠাক এগুতে থাকে খেলাঘর। তবে এরপরই দলীয় ১১৮ রানে ইলিয়াস সানির বলে বোল্ড হন সালমান। ব্যক্তিগত ৫১ রানে ইলিয়াসের বলেই শেষ হয় জহুরুলের ইনিংস।
শেষের দিকে মাসুম খান ৩২ এবং ইফরান হোসেন ২৪ রান করে হারের ব্যবধান কমাতে পারলেও লক্ষ্য অধরাই থেকেছে খেলাঘরের। শেখ জামালের হয়ে সোহরাওয়ার্দি শুভ, ইলিয়াস এবং সালাউদ্দিন শাকিল দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। মাশরাফি ৩৪ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য।
তার আগে ম্যাচে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতে মোহাম্মদ আশরাফুলকে হারিয়েছিল শেখ জামাল। তবে অন্য ওপেনার সৈকত আলি খেলেছেন হাত খুলে। ৭৯ বল খেলে ৮৩ রান করার পথে ১০ টি চার এবং ২ টি ছয় মেরেছেন তিনি। দলীয় ১১১ রানে টিপু সুলতানের বলে ক্যাচ দিয়ে তিনি ফিরে গেলেও রানের চাকা এগিয়েছে সমান গতিতে।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে নাসির এবং নুরুল হাসান সোহানের ৯৬ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে যায় তারা। নাসির এবং সোহান, দুজনই ফিফটি পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি কেউই। ৫৭ বল থেকে ৫৬ রানে নাসির এবং ৬৭ বলে ৫৮ রান করে আউট হয়েছিলেন সোহান। শেষের দিকে জিয়াউর রহমান ২১ বলে ২৪ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভালো সংগ্রহ পেয়েছিল শেখ জামাল। খেলাঘরের হয়ে বোলিংয়ে আলো ছড়িয়েছেন ইফরান হোসেন, পুরো ১০ ওভার বোলিং করে ৪৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট পেয়েছেন তিনি।