'জুনিয়র' তামিমের ব্যাটে হার দিয়ে শুরু মোহামেডানের
২৫৮ রানের লক্ষ্যকে ঠিক বড় লক্ষ্য বলা যায় না। তবে ব্যাটিং উইকেটে দলের ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে চাওয়াটা হয়ত আরেকটু বেশিই ছিল। যদিও সেই লক্ষ্য নিয়েও লড়াই হয়, যদি ব্যাটিংয়ের অভাব পুষিয়ে দেওয়া যায় বোলিং দিয়ে। তবে আজ ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই জ্বলে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে মোহামেডান। সেটার মাশুল দিয়েই আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শাইনপুকুরের কাছে ৫ উইকেটে হেরে গেছে তারা। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে নজর কাড়া তানজিদ হাসান তামিম আলো ছড়িয়েছেন ব্যাট হাতে।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার অভিষেক মিত্র এবং আবদুল মজিদের ব্যাটে ভালো শুরু পায় মোহামেডান। দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মিলে প্রথম উইকেটে ৬১ রান যোগ করেন। তবে তাদের কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি। ব্যক্তিগত ২৯ রানে অভিষেক এবং ফিফটি থেকে ৮ রান দূরে থাকা অবস্থায় রান আউট হয়ে ফিরে গেছেন মজিদ। এরপর তিন এবং চারে নেমে যথাক্রমে ইরফান শুক্কুর এবং শামসুর রহমানও শুরুটা পেয়েছেন, তবে তারাও বড় কিছু করার আগেই দিয়ে এসেছেন উইকেট। ৪০ বলে ৪৬ রান করেছেন শুক্কুর, আর শামসুর ৩৭ বলে আউট হয়েছেন ২৫ রান করে।
পাঁচে নামা মাহমুদুল হাসান লিমনই যা একটু চেষ্টা করেছেন, ৫ চার ১ ছয়ে ৬৩ বল খেলে ৫৮ রান করেছেন তিনি। শেষ দিকে শুভাগত হোমের ২৫ বলে ৩১ রানের ইনিংসে আড়াই শ পেরিয়েছিল মোহামেডান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসের ঝলক দেখা যায় শাইনপুকুরের ব্যাটসম্যানদের মাঝে। তানজিদ হাসান তামিম এবং সাব্বির হোসেন উদ্বোধনী জুটিতে করেন ৫৩ রান। এরপর সাব্বির ফিরে গেলেও দ্বিতীয় উইকেটে ৫২ রানের জুটি গড়ে তোলেন তামিম এবং রবিউল ইসলাম। ফিফটি পেয়েছেন তারা দুজনই। ৭৭ বল খেলে ৫৯ রান করেছেন তামিম এবং ৫১ বলে ৫৪ রান করেছেন রবিউল। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে নজর কাড়া পারফরম্যান্স দিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন তামিম, তারপর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচেও দারুণ এক সেঞ্চুরি করেছিলেন এই ওপেনার। সেই ধারা এই আসরেও অব্যাহত রেখেছেন তিনি।
তারকবহুল বোলিং লাইনআপ নিয়েও আজ শাইনপুকুরের রানের চাকা স্লথ করতে পারেনি মোহামেডান। তাসকিন আহমেদ, আবু জায়েদ রাহি, আবু হায়দার রনিদের বোলিং আক্রমণকে তুচ্ছ করে এরপর ফিফটি তুলে নিয়েছেন শাইনপুকুর অধিনায়ক তৌহিদও। তবে ৪৮.১ ওভারে ৪৯ রান করে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন আউট হলেন, শেষ ৮ বলে ১১ রান দরকার ছিল শাইনপুকুরের। তবে ম্যাচে মোহামেডানের নাটকীয় প্রত্যাবর্তনের সব আশা এরপর ধূলিসাৎ করে দেন সাজ্জাদুল হক রিপন। ৬ বলে ১০ রান করে ৩ বল বাকি থাকতেই দলকে লক্ষ্যে পৌঁছে দেন তিনি।