• ক্রিকেট, অন্যান্য
  • " />

     

    করোনায় ভেস্তে যেতে পারে ডি ভিলিয়ার্সের ফেরার পরিকল্পনা

    করোনায় ভেস্তে যেতে পারে ডি ভিলিয়ার্সের ফেরার পরিকল্পনা    

    যদি এবি ডি ভিলিয়ার্স অবসর থেকে ফিরে আসেন তাহলে ধন্যবাদ পাবেন দক্ষিণ আফ্রিকা কোচ মার্ক বাউচার, আর যদি ফিরে আসতে না পারেন তার জন্য দায়ী থাকবে করোনাভাইরাস। বাউচারের কথায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ক্রিকেটে আবারও ফিরে আসতে নিজেকে প্রস্তুত করে তুলছিলেন ডি ভিলিয়ার্স, কিন্তু বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস আপাতত তার ফেরার পরিকল্পনাকে থমকে দিয়েছে। করোনা মহামারী আকার ধারণ করার আগে বাউচারের কথায় উজ্জীবিত হয়ে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার বিষয়ে নিজেকে একরকম মানিয়ে নিয়েছিলেন তিনি।

    দক্ষিণ আফ্রিকার সংবাদপত্র রাপোর্টে-র সঙ্গে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ডি ভিলিয়ার্স ক্রিকেটে তার পুনরায় ফিরে আসার আগ্রহের পেছনে বাউচারের অবদানের কথা তুলে ধরেন, “শুধু ক্রিকেটেই না, সার্বিকভাবে আমার জীবনে বাউচির প্রভাব নিয়ে আমি একটা বই লিখে ফেলতে পারব। আমি এই জিনিসটি নতুনভাবে আবিষ্কার করেছি ডিসেম্বরে মাজানসি সুপার লিগে স্পার্টানসে তার অধীনে খেলার সময়। সে একজন দারুণ কোচ।”

    দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সব ফরম্যাট মিলিয়ে বাউচারের খেলা ৪৬১ ম্যাচের ১৭৬ টিতেই তার সঙ্গে খেলেছেন ডি ভিলিয়ার্স। গত ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ হিসেবে বাউচারকে নিয়োগ দেওয়া হয়, আর তখনই তিনি ডি ভিলিয়ার্সকে তার ক্রিকেট ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে পুনরায় ভাবতে অনুরোধ করেন। সাক্ষাৎকারে এবি জানালেন সেই কথা, “বাউচি আমাকে বলেছে, আমার আবার চেষ্টা করা উচিৎ। সে এও বলেছে যে, যারা ক্রিকেট ভালোবাসে, তারা তোমাকে আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখতে চায়, এটা শুনে আমার ভালো লেগেছে। আমি যে কখনও ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে চাইনি, সেটা বাউচার জানে। বিষয়টি হচ্ছে যে, আমার জীবন বদলে গেছে। এখন আর শুধু ক্রিকেট স্বপ্ন নিয়ে পড়ে থাকলেই হবে না।  আমার এখন পরিবার আছে, এবং আরও কিছু বিষয় আছে,যেমন আমার স্বাস্থ্য। আমার ঠিক কতদিন খেলার ফিটনেস আছে সেটাও একটা বড় ভাবনার বিষয়।”

    এদিকে গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে স্কোয়াড ঘোষণার দিন ডি ভিলিয়ার্সের দলে ফেরার বিষয় নিয়ে কিছুটা জলঘোলা হওয়ায় এবার বেশ সচেতন তিনি, “আমি এই বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিতভাবে কথা বলা থেকে বিরত থাকতে চাই, কারণ এর আগে এই বিষয়টি নিয়ে আমি বেশ কষ্ট পেয়েছি। অনেকেই ভাবতে পারে যে আমি দেশের ক্রিকেটের পরোয়া করি না। আর আমি তো বললেই দলে সুযোগ পেয়ে যাব না। অন্য সব খেলোয়াড়ের মতো আমাকে নিজের জায়গা করে নিতে হবে। অনেকেই গত বছর ভেবেছিল যে, আমি হয়ত মনে করি ,আমার জন্য দলে একটা জায়গা আগে থেকেই তৈরি হয়ে আছে। আমি তৈরি, আমি হয়ত আবারও চেষ্টা করব, তবে আমার কোনও বিশেষ খাতিরের প্রয়োজন নেই।”

    তবে করোনাভাইরাসের কারণে বদলে যেতে পারে ডি ভিলিয়ার্সের ক্রিকেটে ফেরার সব পরিকল্পনা, জানালেন তা, “আগামী ৬ মাসে কী হবে, তা আমার জানা নেই। যদি বিশ্বকাপ পরের বছরে চলে যায়, অনেক কিছুই বদলে যেতে পারে। এখন আমি তৈরি, তবে এক বছর পর আমি শারীরিকভাবে কোন অবস্থায় থাকব, তখন আমি সম্পূর্ণ ফিট থাকব কিনা, সেটা তো আমার জানা নেই।”

    “অবস্থার পরিবর্তন হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। হয়ত এমন অবস্থা হতে পারে যে, বাউচারকে আমার বলতে হচ্ছে, আমি আগ্রহী ছিলাম। আমি দলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমি এখন খেলতে পারব না। তাই আমি প্রতিশ্রুতি দিতে ভয় পাই এবং কাউকে মিথ্যে আশা দিতে চাই না।”