• বুন্দেসলিগা
  • " />

     

    গেরেরো-হাকিমিতে ক্লাসিকার আগে পথ হারালো না ডর্টমুন্ড

    গেরেরো-হাকিমিতে ক্লাসিকার আগে পথ হারালো না ডর্টমুন্ড    

    ফুল টাইম

    ভলফসবার্গ ০ -  ২ বরুশিয়া ডর্টমুন্ড


    গেল সপ্তাহে গতিময় আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে রেভিয়ের ডার্বিতে হেসেছিল বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। তবে ভলফসবার্গের বিপক্ষে ম্যাচের বড় একটা সময় সেই ডর্টমুন্ডকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। যদিও শেষ পর্যন্ত স্বাগতিক ভলফসবার্গকে ২-০ গোলে হারিয়ে পূর্ণ পয়েন্ট পেয়ে গেছে হলুদ-কালোদের দল। জয় পেলেও অবশ্য আগামী সপ্তাহের ‘ডের ক্লাসিকারে’র আগে এই ম্যাচের পারফরম্যান্স নিয়ে খুব বেশি সন্তুষ্ট হওয়ার কথা নয় ডর্টমুন্ড কোচ লুসিয়েন ফাভরের।

    ডর্টমুন্ডের জোড়া গোল এসেছে দুই উইংব্যাকের কাছ থেকে। রাফায়েল গেরেরো গেল সপ্তাহে জোড়া গোলের পর আবারও নাম লিখিয়েছেন স্কোরশিটে। আর আশরাফ হাকিমিও তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন পরে।

    ভলফসবার্গের ভোকসওয়াগন অ্যারেনায় ম্যাচের আগে করোনায় প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন মাঠে থাকা সবাই। এরপরই রেফারির বাঁশি বেজে ওঠে। উড়ন্ত ডর্টমুন্ডের কাছ থেকে আরেকটি দুর্দান্ত শুরুর অপেক্ষাতেই ছিলেন সমর্থকরা। কিন্তু শুরু থেকেই স্বাগতিকদের রক্ষণ কাঠামোর সামনে কুলিয়ে উঠতে পারছিলেন না তারা। বক্সের ভেতরে যাওয়া তো দূরের কথা, মধ্যমাঠেই সাঙ্গ হচ্ছিল সব প্রচেষ্টা। প্রথম ৩০ মিনিটের সারাংশ এটাই। তেমন একটা আক্রমণে উঠতে না পারলেও রক্ষণে আলো ছড়াচ্ছিল স্বাগতিকরা।


    তবে এরপরই রক্ষণকাজে স্বাগতিকদের এক মুহূর্তের মনোযোগে ছেদ। ৩২ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে হুলিয়ান ব্র্যান্ডটের স্কয়ার পাস ধরে বক্সের ভেতর বল বাড়ান আশরাফ হাকিমি। সেই বল ধরে অনেকটা বাইলাইনের পাশ থেকে এরলিং ব্রুট হালান্ডের দিকে কাটব্যাক করেন থরয়ান হ্যাজার্ড। গোলের সামনে থেকে শট নিতে গিয়েও স্লিপ করেন হালান্ড, তবে রাফায়েল গেরেরো প্রস্তুত ছিলেন ফার পোস্টে। ট্যাপ-ইন ফিনিশে ডর্টমুন্ডকে ম্যাচে এগিয়ে দিতে এরপর মোটেই পরিশ্রম করতে হয়নি তাকে। অনেকটা ধারার বিপরীতে সেই গোল পেয়েও এরপর প্রথমার্ধের বাকি অংশে আর তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি ডর্টমুন্ড। গোল হজমের পর স্বাগতিকদের মনোবলও যেন কিছুটা ভেঙে পড়ে। 

    শালকের বিপক্ষে গোল উদযাপনের সময় সব নিয়ম-কানুন ঠিকঠাক পালন করেছিলেন ডর্টমুন্ডের খেলোয়াড়রা। তবে ভলফসবার্গের বিপক্ষে গেরেরোর গোল উদযাপন করতে গিয়ে শুধু হাতটাই যা মেলাননি তারা। উদযাপনের সময় সতীর্থদের কাঁধে হাত রেখেছেন, নিজেদের মাঝে যথেষ্ট দূরত্ব রাখতেও সচেষ্ট দেখা যায়নি ডর্টমুন্ড খেলোয়াড়দের।

    দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটেই অবশ্য ম্যাচে ফিরে আসার দারুণ সুযোগ পেয়েছিল স্বাগতিকরা। ডর্টমুন্ড রক্ষণের ভুলের সুযোগ নিয়ে রেনাতো স্টেফেন সফরকারী গোলরক্ষক রোমান বুরকিকে ওয়ান-অন-ওয়ান অবস্থায় পেয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু বিধি বাম! সেখান থেকে তার শুন্যে ভাসানো শট ক্রসবার ছুঁয়ে বাইরে বেরিয়ে যায়। তবে এরপর আর ঝুঁকি না নিয়ে ৬৫ মিনিটে জেডন সানচোকে মাঠে নামিয়ে দেন লুসিয়েন ফাভরে। সানচো নামার পর থেকেই আক্রমণে ধার বেড়ে যায় সফরকারীদের।

    এরপর ৭৮ মিনিটে দারুণ এক প্রতি আক্রমণ থেকে গোল করে জয় নিশ্চিত করে ডর্টমুন্ড। মধ্যমাঠ থেকে সানচো দারুণভাবে দৌড়ে বক্সের মাঝে গিয়ে ডান দিকে থাকা হাকিমির দিকে বাড়িয়ে দেন বল। ডান পায়ের জোরালো শটে জাল কাঁপিয়ে ডর্টমুন্ডের জয় নিশ্চিত করেন তিনি।

    ২৬ মে বায়ার্নের বিপক্ষে সিগনাল ইদুনা পার্কে ক্লাসিকো খেলবে ডর্টমুন্ড। সেই ম্যাচের আগে ভলফসবার্গের বিপক্ষে এই জয়ে বেশ ভালো একটা মহড়া হয়ে গেল লুসিয়েন ফাভরের শিষ্যদের।