• ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯
  • " />

     

    তার অবসর নিয়ে বিসিবির তড়িঘড়ি ভাল লাগেনি মাশরাফির

    তার অবসর নিয়ে বিসিবির তড়িঘড়ি ভাল লাগেনি মাশরাফির    

    বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে লর্ডসেই অবসর নিতে চেয়েছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। সেটা না হওয়ার পর দুই কোটি টাকা খরচ করে আলাদা এক ম্যাচ আয়োজন করে তাকে বিদায় জানানোর বিসিবির পরিকল্পনায় ‘লজ্জিত’ হয়েছিলেন তিনি। ক্রিকবাজ ও ক্রিকইনফোকে দেওয়া আলাদা দুটি সাক্ষাতকারে এমন জানিয়েছেন বাংলাদেশের সদ্য বিদায়ী ওয়ানডে অধিনায়ক। 

    “আমি বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচেই অবসর নিতে চেয়েছিলাম, তবে সেটা হয়নি। কেন হয়নি, সেটা বিস্তারিত বলতে চাই না। তবে ইংল্যান্ডেই অবসরের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলাম, তবে আমার যেটা মনে হয়, আল্লাহ যা করেন, ভালর জন্যই করেন”, ক্রিকবাজের সাক্ষাতকারে বলেছেন তিনি। 

    বিসিবি এরপর তাকে বিদায় দিতে ‘তড়িঘড়ি করছিল’ জানিয়ে মাশরাফি বলেছেন, তার বিদায়ী ম্যাচে দুই কোটি টাকা খরচ করতে চেয়েছিল বিসিবি, যেটি পছন্দ হয়নি তার, “সত্যি বলতে কী, তারা আমাকে বিদায় দিতে তাড়াহুড়ো করছিল। প্রথমত, আমাকে বিদায় দিতে একটি ম্যাচ আয়োজন করতে চাচ্ছিল, যেটি সাধারণ কোনও ম্যাচ নয়। মানে কোনও দ্বিপক্ষীয় সিরিজের ম্যাচ নয়, তড়িঘড়ি করে একটা বিশেষ ম্যাচ আয়োজনের চেষ্টা করা হচ্ছিল।” 

    “দ্বিতীয়ত, সে ম্যাচে তারা দুই কোটি টাকার মতো খরচ করতে প্রস্তুত ছিল। নীতিগত দিক দিয়ে এটা ঠিক নয়, বিশেষ করে আমাদের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটাররা যখন যথেষ্ট টাকা পাচ্ছে না সেদিক দিয়ে ভাবলে।”
     


    জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে অধিনায়কত্বকে বিদায় বলেছেন মাশরাফি/বিসিবি, রতন গোমেজ


    বিশ্বকাপের পর শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার কথা ছিল মাশরাফির, তবে শেষ পর্যন্ত চোটের কারণে যেতে পারেননি। ক্রিকইনফোকে মাশরাফি বলেছেন, শ্রীলঙ্কায় গেলে কী হতো, সেটা ভেবে পান না তিনি, “আমাকে দুশ্চিন্তায় ফেলেছিল এটি। আমার এটাও মনে হয়, শ্রীলঙ্কায় যদি বিশ্বকাপের পরপরই যেতাম, তাহলে কী ঘটতো। কারণ তখন এ নিয়ে কোনও আলোচনা ছিল। তবে হুট করেই জিম্বাবুয়ে টি-টোয়েন্টির জন্য আসতে চাইল, এরপরই সংবাদমাধ্যমে এসব আসা শুরু করলো।” 

    ক্রিকবাজকে মাশরাফি বলেছেন, বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে তার কথা হয়েছিল অবসর প্রসঙ্গে, “পাপন ভাই আমার সঙ্গে কথা বলেছিলেন অবসর নিয়ে। এটাও বলেছিলেন, তিনি শুধু আমার সঙ্গেই কথা বলবেন, এ প্রসঙ্গে অন্য কারও সঙ্গে নয়। তিনি ক্রমাগত আমাকে ফোন করে গেছেন, সিদ্ধান্ত নিতে বলেছেন। আমি তখন তাকে বলেছিলাম, বিপিএল পর্যন্ত খেলে যাই। এরপরই তিনি সংবাদমাধ্যমে গিয়ে সেটি বলেন। আমার মনে আছে, তিনি সবাইকে রুম ছেড়ে যেতে বলেছিলেন আমার সঙ্গে কথা বলবেন বলে। তিনি এক্ষেত্রে আমাকে যথেষ্ট সম্মান দিয়েছেন। তবে সমস্যা হলো, ওখানে যারা ছিলেন না, তারাই গুজব ছড়িয়েছেন। পাপন ভাই ও আমার মধ্যে কী কথা হয়েছে, তারা সেটা জানেনও না।” 

    বিশ্বকাপের আগে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন মাশরাফি, পরে নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ সদস্যও। রাজনীতি তার খেলার ওপর কোনও প্রভাব ফেলেনি বলেই জানিয়েছেন তিনি। শেষ জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে ওয়ানডে অধিনায়কত্বকে বিদায় বলেছেন এখনও অবসর না নেওয়া মাশরাফি। অবসর প্রসঙ্গে বারবারই বলে এসেছেন, জাতীয় দল নয়, আপাতত ক্রিকেট খেলা নিয়ে ভাবনা তার।