• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ইউনাইটেডের ৭ বছরের খরা কাটালেন মার্শিয়াল

    ইউনাইটেডের ৭ বছরের খরা কাটালেন মার্শিয়াল    

    স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন বিদায় নেওয়ার পর প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অনেক কিছুই বদলে গেছে। এই ৭ বছরে ২১ ক্লাবের খেলোয়াড়রা হ্যাটট্রিক করেছেন, ওই তালিকায় ছিল না ইউনাইটেডের নাম। সেই খরা এতোদিন পর কাটিয়েছিলেন অ্যান্থনি মার্শিয়াল। শেফিল্ড ইউনাইটেডেকে ৩-০ গোলে হারানোর ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছেন ফ্রেঞ্চম্যান।

    ইউনাইটেডের হয়ে সবশেষ হ্যাটট্রিক করেছিলেন রবিন ফন পার্সি। অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে ২০১৩ সালের হ্যাটট্রিকে রেকর্ড ২০ তম শিরোপা নিশ্চিত হয়েছিল রেড ডেভিলদের। এখনের চিত্র অবশ্য ভিন্ন। ফন পার্সির সঙ্গে মার্শিয়ালের হ্যাটট্রিক তুলনা দেওয়ার জো নেই। তবে বহুদিন অপেক্ষার হ্যাটট্রিকের পর দিন বদলের স্বপ্ন দেখতেই পারেন ইউনাইটেড সমর্থকেরা।



    রোমেলু লুকাকু আর অ্যালেক্সিস সানচেজকে দুইজনকে একসঙ্গে ছাড়ার পর নতুন কোনো স্ট্রাইকার দলে ভেড়াননি ওলে গানার সোলশার। তা নিয়ে সমালোচনাও হয়েছে অনেক। তবে আজকের পর নিজের জায়গায় সোলশারের অবস্থান আরেকটু জোরালো হলো। এমন কিছুই তো দেখতে চেয়েছিলেন তিনি।

    মার্কাস র‍্যাশফোর্ডের সঙ্গে মার্শিয়ালের সমন্বয় দেখতে চেয়েছিলেন সোলশার। ইউনাইটেডের প্রথম গোলও ওই দুইজনের অবদান। র‍্যাশফোর্ডের ডান প্রান্তের নিচু ক্রস কাছের পোস্ট থেকে পা ছুঁয়ে জালে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন মার্শিয়াল। এরপর প্রথমার্ধেই আরেকবার প্রায় একইভাবে গোল করেছেন তিনি। ওই দফায় অ্যারন ওয়ান বিসাকা করেছেন নিচু ক্রস।

    জানুয়ারিতে ব্রুনো ফার্নান্দেজ দলে আসার পর ইউনাইটেডের পরিবর্তনটা হয়েছে চোখে পড়ার মতো। প্রথমবারের মতো পল পগবা আর ফার্নান্দেজ দুইজনই একাদশে নেমেছিলেন। ওল্ড ট্রাফোর্ডে দুইজনের দারুণ বোঝাপড়াও সোলশারের আরেক তৃপ্তির কারণ। বেশ কিছু ভালো সুযোগ তৈরি করেছিলেন এই দুইজন। ফার্নাদেজ আসার পর ৭ ম্যাচে মার্শিয়ালের গোল আজকের পর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ এ। আর সব প্রতিযোগিতায় গোল ১৯টি। ৫ বছরের ইউনাইটেড ক্যারিয়ারে গোলের হিসেবে মার্শিয়াল কাটাচ্ছেন তার সেরা মৌসুম।

    ম্যাচের ১৩ মিনিট বাকি থাকতে হ্যাটট্রিক পূরণ হয়েছে মার্শিয়ালের। এমনিতে মার্শিয়ালকে হাসতে দেখা যায় না। তবে অমন কিছুর পর হাসি ফুটেছে তার মুখেও। র‍্যাশফোর্ডের ফিরতি পাস বক্সের ভেতর থেকে চিপ করে শেফিল্ড গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে জড়িয়ে তৃতীয় গোলটি করেছেন মার্শিয়াল।  এরপরেই সোলশার একসঙ্গে পাঁচজনকে বদলি করে চমকে দিয়েছেন। করোনা ভাইরাসের পর বদলির সংখ্যা তিন থেকে পাঁচ করা হয়েছিল। তবে একসঙ্গে পাঁচজনকে নামানোর রেকর্ডটা সোলশারই গড়লেন। মার্শিয়াল, রাশফোর্ড, পগবা, ব্রুনো, গ্রিনউডকে তুলে নামিয়েছেন জেমস, পেরেরা, ইঘালো, ম্যাকটমিনে, মাতাকে।

    এই জয়ের পর চেলসির দুই পয়েন্ট দূরত্বে চলে এসেছে ইউনাইটেড। পয়েন্ট টেবিলে তাদের অবস্থান পাঁচে। আর চেলসির হাতে আছে এক ম্যাচ বেশি। আগামীকাল ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে খেলবে চেলসি।