লিভারপুলের রেকর্ডে বার্নলির বাগড়া, চেলসি ডুবল শেফিল্ডে
লিভারপুলের লিগ জয় হয়ে গেছে আগেই, এখন সব ম্যাচ এক অর্থে আনুষ্ঠানিকতাই। তবে বার্নলির সঙ্গে ১-১ গোলের ড্রতে একটা রেকর্ড খুইয়ে বসল চ্যাম্পিয়নরা। তাতে অবশ্য তাদের খুব একটা ক্ষতি হয়নি, যতটা হয়েছে শেফিল্ডের কাছে ৩-০ গোলে হারের পর চেলসির। শীর্ষ চারে থাকার সম্ভাবনা একটা ধাক্কা খেয়েছে তাদের, অন্যদিকে আরেকটু উজ্জ্বল হয়েছে লেস্টার সিটি ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের আশা। ইংলিশ লিগের ঘটনাবহুল দিনে প্রথম ক্লাব হিসেবে রেলিগেশন নিশ্চিত হয়েছে নরউইচের।
লিভারপুলের গল্পটা আগে বলা যাক। নিজেদের মাঠ অ্যানফিল্ডে এই মৌসুমে তারা ছিল অবধ্য। লিগে এর আগে সবকটি হোম ম্যাচ জিতেছিল তারা, সব মিলে অ্যানফিল্ডে জিতেছিল টানা ২৪ ম্যাচ। বার্নলির জন্য আজ এক পয়েন্ট নিয়ে আসাটা ছিল প্রায় সিংহের গুহা থেকে অক্ষত অবস্থায় ফিরে আসার মতো কঠিন। কিন্তু সেই কঠিন কাজটা তো তারা করেছেই, এমনকি শেষ দিকে পোস্ট বাধা না হলে জিতেও যেতে পারত তারা।
অবশ্য এমন নয় বার্নলি দাপটের সাথে খেলেছে। লিভারপুল স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের মাঠে ছড়ি ঘুরিয়েছে, তবে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বার্নলি কিপার নিক পোপ। একের পর এক সেভ করে বাঁচিয়েছেন দলকে। বার্নলিকে অবশ্য হারানোটা বেশ কঠিনই ছিল, লিগ শুরুর পর টানা পাঁচ ম্যাচ অপরাজিত তারা। ৩৪ মিনিতে অ্যান্ডি রবার্টসনের গোলে আজ এগিয়ে গিয়েছিল লিভারপুলই। ৬৯ মিনিটে সমতা ফেরান জে রদ্রিগেজ। শেষ পর্যন্ত আর গোল পাওয়া হয়নি লিভারপুলের। লিগে এক মৌসুমে নিজেদের মাঠে সবচেয়ে বেশি ১৯টি জয়ের রেকর্ডটা তাই হচ্ছে না লিভারপুলের। তবে এক মৌসুমে ১৮টি হোম ম্যাচ জয়ের চেলসির রেকর্ডটা এখনো হতে পারে।
আজকের জয়ের পর ক্লপ অবশ্য আরেকটা কারণে বাকি ম্যাচগুলো জিততে চাইবেন। প্রিমিয়ার লিগে দুই মৌসুম আগে সিটির গড়া ১০০ পয়েন্টের রেকর্ডটা হাতছানি দিচ্ছিল সালাহদের। আজ ড্র করার পর এখন ৩৫ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৯৩, সিটিকে ছাড়াতে বাকি ৩ ম্যাচ থেকে দরকার ৮ পয়েন্ট। তার মানে বাকি তিন ম্যাচ জয় পেতে হচ্ছে ক্লপদের।
চেলসির অবশ্য চ্যাম্পিয়নস লিগের আশাটা আরেকটু উজ্জ্বল করতে আজ জিততে হতো। উল্টো শেফিল্ডের কাছে তিন গোল খেয়ে গোল ব্যবধানটা আরেকটু কমেছে তাদের। হাকিম জিয়েচ আজ প্রথম অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন, নতুন ক্লাবে দর্শক হিসেবে দিনটা ভালো গেল না। আর চেলসি আজকের ম্যাচের পর ডিফেন্ডার কেনার কথা ভাবতেই পারে সামনে। ১৭ মিনিটে ম্যাকগোল্ডরিকের প্রথম গোলটা অবশ্য একটু দুর্ভাগ্যের ছোঁয়া ছিল, ডিফ্লেকশন না হলে গোলটা নাও হতে পারত। কিন্তু ম্যাকবার্নি আর ম্যাকগোল্ডরিকের দ্বিতীয় গোল দুইটিই ডিফেন্সের ভুল। প্রথমবার বক্সে হেড করার জন্য যথেষ্ট জায়গা দিয়েছে চেলসি, আর দ্বিতীয়বার রুডিগারের দুর্বল ক্লিয়ারেন্সের সুযোগ নিয়েছেন ম্যাকগোল্ডরিক। অবশ্য হারটা আরও বড় হতে পারত চেলসির জন্য। তার চেয়েও বড় কথা, ৩৫ ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে এখনো তিনে আছে বতে, তবে লেস্টার আর ইউনাইটেড নিজেদের ম্যাচ জিতলেই চেলসি চলে যাবে পাঁচে।