শেষ মুহুর্তে গোল খেয়ে পাঁচেই থেকে গেল ইউনাইটেড
ফুলটাইম
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ২-২ সাউদাম্পটন
চেলসি হেরেছে, লেস্টার সিটিও হেরেছে- ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সামনে ছিল দারুণ সুযোগ। ওল্ড ট্রাফোর্ডে সাউদাম্পটনকে হারাতে পারলে এক লাফে পয়েন্ট টেবিলের তিনে উঠে যেত ইউনাইটেড। লিগে ৩ ম্যাচ বাকি থাকতে চ্যাম্পিয়নস লিগের সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনাটাও প্রবল হত আরও। সাউদাম্পটনের কাছে যোগ করা সময়ে গোল খেয়ে আর সেই সুযোগ আর লুফে নেওয়া হয়নি ইউনাইটেডের।
প্রিমিয়ার লিগের ৫ নম্বরে থেকে ম্যাচ শুরু করা ম্যান ইউনাইটেড আছে পয়েন্ট টেবলের পাঁচেই। তবে চারে থাকা লেস্টার সিটির সমান পয়েন্ট ৫৯ পয়েন্ট হয়েছে ইউনাইটেডের, আর তিনে থাকা চেলসির চেয়ে এক পয়েন্টে পিছিয়ে আছে ইউনাইটেড। চ্যাম্পিয়নস লিগের শীর্ষ ৪ লড়াইটা তাই আরেক প্রস্থ জমে উঠেছে প্রিমিয়ার লিগে।
ওল্ড ট্রাফোর্ডে শুরু আর শেষটা ছিল সাউদাম্পটনের। মাঝে ইউনাইটেড দেখিয়েছে ঝলক। ম্যাচের ১২ মিনিটেই এগিয়ে গিয়েছিল সাউদাম্পটন। অবশ্য তাতে পল পগবার দায় ছিল। বল পজেশন হারিয়ে সাউদাপম্পটনকে আক্রমণের সুযোগ করে দেন তিনি। পরে ডান দিক থেকে আসা ক্রস থেকে গোল করেন স্টুয়ার্ট আর্মস্ট্রং।
১৭ ম্যাচ অপরাজিত থেকে খেলতে নামা ইউনাইটেডের টনক নড়ে এরপর। অ্যান্থনি মার্শিয়াল সহজ এক সুযোগ নষ্ট করেছিলেন। তবে এরপর পল পগবার কাছ থেকে পাওয়া লং বলে দারুণ দৃঢ়তা দেখান তিনি। বক্সের ভেতর বাম পাশে থাকা র্যাশফোর্ড তার কাছ থেকে বল পেয়ে বাম পায়ের শটে ইউনাইটেডকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন।
মিনিট তিনেক পর মার্শিয়ালই গোল করে এগিয়ে নেন ইউনাইটেডকে। এবার গোল আসে দ্রুতগতির কাউন্টার অ্যাটাক থেকে। মার্শিয়াল পরে বক্সের ভেতর ঢুকে ডান পায়ের জোরালো শটে গোল করে ২৩ মিনিটে এগিয়ে দেন ইউনাটেডকে।
৩. চেলসি (৬০ পয়েন্ট)
বাকি ৩ ম্যাচ- নরউইচ, লিভারপুল, উলভস
৪. লেস্টার সিটি (৫৯ পয়েন্ট)
বাকি ৩ ম্যাচ- শেফিল্ড ইউনাইটেড, টটেনহাম, ম্যান ইউনাইটেড
৫. ম্যান ইউনাইটেড (৫৯ পয়েন্ট)
বাকি ৩ ম্যাচ- ক্রিস্টাল প্যালেস, ওয়েস্টহাম, লেস্টার সিটি
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য ম্যাচটা পুরোপুরি নিজদের করে নেওয়ার সুযোগও এসেছিল ইউনাইটেডের সামনে। তবে র্যাশফোর্ডের গোলের সামনে থেকে নেওয়া শট গোলে পরিণত হতে দেননি সাউদাম্পটন ডিফেন্ডার। সাউদাম্পটন অবশ্য শেষে গিয়ে হাল না ছাড়ার ফলই পেয়েছে। ডেভিড ডি গিয়াকে শেষদিকে ব্যস্তই রেখেছিল তারা। স্প্যানিশ গোলরক্ষক দারুণ এক সেভও করেছিলেন। তবে যোগ করা সময়ে কর্নার থেকে আর শেষ রক্ষা হয়নি ইউনাইটেডের। দূরের পোস্টে থাকা মাইকেল অবাফেম্বি ভিক্টর লিন্ডেলফকে হতাশ করে বল ঢুকিয়ে দেন ইউনাইটেডের জালে।