• ইউয়েফা সুপার কাপ
  • " />

     

    ইউরোপিয়ান প্রীতি ম্যাচ: রোনালদোর ১০২, প্রীতি ম্যাচ নিয়ে ডি বোরের প্রশ্ন ও ফিনল্যান্ডের কাছে ফ্রান্সের হার

    ইউরোপিয়ান প্রীতি ম্যাচ: রোনালদোর ১০২, প্রীতি ম্যাচ নিয়ে ডি বোরের প্রশ্ন ও ফিনল্যান্ডের কাছে ফ্রান্সের হার    

    ইউয়েফা নেশনস লিগের আগে ইউরোপিয়ান আন্তর্জাতিক ফুটবলের শুরুটা হয়েছিল প্রীতি ম্যাচ দিয়ে। বড় দলগুলোর মধ্যে নেমেছিল কমবেশি সবাই। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো গোলসংখ্যাটা এগিয়ে নিয়েছেন আরও, তবে প্রীতি ম্যাচের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ডাচ কোচ ফ্রাংক ডি বোর।

    অ্যান্ডোরার বিপক্ষে বদলি হিসেবে নেমে গোল করেছেন রোনালদো। তার আগেই অবশ্য পর্তুগালের জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল, এর মধ্যেই এগিয়ে গিয়েছিল ৫-০ গোলে। নেতো, রেনাট সানচেজ ও পাউনলিনহোর জোড়া গোলে পর্তুগাল অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল। রোনালদো হেড থেকে পেয়েছেন নিজের ১০২ তম গোল। ইরানের আলি দাইয়ির রেকর্ড ১০৯ গোল থেকে মাত্র সাত গোলের দূরত্বে আছেন এখন রোনালদো।

    দিনের সবচেয়ে বড় ম্যাচ ছিল সম্ভবত স্পেন-নেদারল্যান্ডস। ১-১ গোলে ড্র হওয়া সেই ম্যাচে দুজন খেলোয়াড়কে হারানোর পর ডাচ কোচ ফ্রাংক ডি বোর প্রশ্ন তুলেছেন প্রীতি ম্যাচের যৌক্তিকতা নিয়ে। ম্যাচের প্রথমার্ধেই পেশীর চোতে মাঠ ছেড়েছেন ম্যান সিটির ডাচ ডিফেন্ডার নাথান আকে। সঙ্গে সঙ্গেই মাঠ ছেড়েছেন, পরে নিশ্চিত হয়েছে নেশনস লিগের ম্যাচে আর খেলতে পারবেন না। ফিরে যাচ্ছেন সিটির অনুশীলনে, সেখানেই বোঝা যাবে চোট কতটা গুরুতর। প্রথমার্ধে স্পেনের হোসে গায়ার সঙ্গে ধাক্কা লেগে মাঠ ছেড়েছেন রাইট ব্যাক হান্স হাটবোয়ের ও গায়া দুজনেই। ম্যাচে সার্জিও কানালসের গোলের পর সমতা ফিরিয়েছেন ডাচ মিডফিল্ডার ডনি ভ্যান ডি বিক।

    ডি বর ম্যাচ শেষে তাই অভিযোগ করেছেন, ‘আমার মনে হয় না এসব ম্যাচ খেলার কোনো দরকার ছিল। সবার বসে এটা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।’

    দিনের সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে ফ্রান্স। ফিনল্যান্ডের কাছে ২-০ গোলে হেরে শেষ হয়েছে তাদের অপরাজিত যাত্রা। তাও আবার নিজেদের মাঠে হেরে। এর আগে ফিনল্যান্ড ফ্রান্সের কাছে আট ম্যাচ খেলে সবগুলোতেই হারলেও কাল বদলে গেছে ছক। মারকাস ফোরস ও অনি ভালাকারির গোলে জয় পেয়েছে ফিনল্যান্ড। ফ্রান্সের হয়ে চোতে ছিলেন এমবাপে। পল পগবা, অ্যান্থনি মার্শিয়ালরা ছিলেন নিষ্প্রভ; তাদের জায়গায় নেমে অলিভিয়ের জিরুরাও তেমন কিছু করতে পারেননি। অবশ্য প্রথমার্ধে মার্কাস থুরামের হেড পোস্টে না লাগলে এগিয়ে যেতে পারত ফ্রান্স। সব মিলে ২০১৯ সালের পর থেকে এটা তাদের প্রথম পরাজয়, সর্বশেষ তুরস্কের কাছে ইউরোর বাছাপর্বে সেবার হেরেছিল ২-০ গোলে।

    জার্মানি ১-০ গোলে হারিয়েছে চেক প্রজাতন্ত্রকে, ইতালি ৪-০ গোলে হারিয়েছে এস্তোনিয়াকে আর মিশি বাতশুইর জোড়া গোলে সুইজারল্যান্ডকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছে বেলজিয়াম।