নাটকীয় জয়ে মৌসুমের প্রথম শিরোপা মাদ্রিদের
বেল, রোনালদো নেই। নেই মধ্যমাঠের সেনানী ক্রুস ও ডিফেন্সের অতন্দ্র প্রহরী পেপে। বেনেমা, হামেস, মদ্রিচরা ম্যাচ ফিট না হওয়ায় শুরু করেছিলেন বেঞ্চে। কিন্তু তাতে শেষ পর্যন্ত সমস্যা হয়নি রিয়াল মাদ্রিদের। হোর্হে সাম্পাওলির ইউরোপীয়ান অভিষেকে মাদ্রিদের অভিজাতদের বিপক্ষে সেভিয়ার লড়াইটা হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি। শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত সময়ের গোলে সেভিয়াকে ৩-২ গোলে হারিয়ে মৌসুমের প্রথম শিরোপা পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
শুরু থেকেই অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করার ফলে গোলমুখে কোনো দলই বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। রামোসের হেড এবং অভিষিক্ত মার্কো অ্যাসেন্সিওর দূরপাল্লার শট ছাড়া রিকো, ক্যাসিয়া-কাউকেই তেমন বেগ পেতে হয়নি। ম্যাচের ২১ মিনিটের মাথায় ৩৫ গজ দূর থেকে অ্যাসেন্সিওর দুর্দান্ত এক শট রিকোকে দর্শক বানিয়ে জড়ায় সেভিয়ার জালে। গোলের পর শ্লথগতিতে খেলতে থাকা রিয়ালের সম্বিৎ ফেরে ফ্রাঙ্কো ভাজকেজের নিঁখুত ভলিতে। প্রথমার্ধটা শেষ হয় ১-১ সমতায়।
দ্বিতীয়ার্ধে শুরু থেকেই রিয়ালকে চেপে ধরে সেভিয়া। ম্যাচের ৭২ মিনিটে দৃষ্টিনন্দন ড্রিবলিংয়ের পর ভিতোলোকে ডিবক্সে ফেলে দিয়ে সেভিয়াকে পেনাল্টি উপহার দেন রামোস। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন ‘ইউক্রেনিয়ার মেসি’ কনোপ্লিয়াঙ্কা। এরপর থেকেই অন্য এক রিয়ালের দেখা মেলে নরওয়ের লারকেন্ডাল স্টেডিয়ামে। একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকা রিয়াল অবশেষে সাফল্য পায় ম্যাচের ৯৩ মিনিটে। লুকাস ভাজকেজের চিপক্রসে মাথা ছুঁইয়ে আবারো কোনো ফাইনালে রিয়ালকে তীরে এসে তরী ডুবানো থেকে বাঁচান অধিনায়ক রামোস। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত সময়ে প্রথমার্ধে সেভিয়ার কোলোজিজাক দ্বিতীয় হলুড কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে রিয়ালের জয়টা যেন সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। এর কিছুক্ষণ পরেই আবারো রামোসের গোলের পর রিয়াল সমর্থকেরা যখন বুনো উল্লাসে মত্ত, তখনই লাইন্সম্যানের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে বাতিল হয় গোলটি। এতে যেন আরো তেতে ওঠে মাদ্রিদ। হামেস, বেনজেমার হাফ চান্স পেলেও গোলটাই যেন আসছিলো না। এরপর ম্যাচের ১১৮ মিনিটে এক দুর্দান্ত একক প্রচেষ্টায় বল জালে জড়ান ম্যাচে রিয়ালের অন্যতম সেরা পারফরমার দানি কারভাহাল। রেফারির শেষ বাঁশিতে নিশ্চিত হয় গত তিন বছরে রিয়ালের দ্বিতীয় উয়েফা সুপার কাপ।